শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

স্বাধীনতা দিবস পালিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০২০, ১২:০৫ এএম

‘স্বাধীনতা-হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়’ (রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়)। সত্যিই মানুষ স্বাধীনভাবে বাঁচতে চায়। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে অঘোষিত লকডাউনের মধ্যেই পালিত হলো ৪৯তম স্বাধীনতা দিবস। সাভার স্মৃতিসৌধে কোনো ধরনের কর্মসূচি না থাকলেও দেশের কোথাও কোথাও ছোট পরিসরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় বীর সন্তানদের।

করোনাভাইরাসে ¤øান এবারের স্বাধীনতা দিবস। ৪৯ বছরের রীতি ভেঙে রাষ্ট্রীয় সব কর্মস‚চি বাতিল করেছে সরকার। তাই সাভারের স্মৃতিসৌধে ছিল না কোনো আয়োজন। তবে দেশের কোথাও কোথাও জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় বীর শহীদদের। নতুন ভোর, নতুন সূর্য। তবুও তার কিরণে যেন ¤øান লাল-সবুজের ঝিলিক। স্বাধীনতার ৪৯ বছরে কখনও এমন শ‚ন্যতা দেখেনি সাভারের এই স্মৃতির মিনার। করোনাভাইরাস আতঙ্কে এবার বাতিল করা হয়েছে সব ধরনের কর্মস‚চি। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণীতে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার আহŸান জানিয়েছেন।

করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি ছুটির মধ্যে জাতি মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সরকারি সব ধরনের কর্মসূচিসহ সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো কর্মসূচি বাতিল করা হয়। এর আগে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল জননিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে স্বাধীনতা দিবসের সকল কর্মসূচি বাতিল ঘোষণা করে। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে দৈনিক প্রত্রিকায় দুই পৃষ্ঠার ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। ঢাকায় ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তি পর্যায়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সরকারি ছুটি এবং নাগরিকদের ঘরে ঘরে অবস্থান করে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সরকারি নির্দেশনার মেনে অধিকাংশ দিবসটিতে মানুষ ঘরে বসেই ছিলেন। গণপরিবহন চলাচলে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। সবকিছু বন্ধ। নগরীর গুরুত্বপ‚র্ণ পয়েন্ট, ট্রাফিক সিগন্যাল ও মোড়গুলোতে ‘রাস্তা সাময়িকভাবে বন্ধ’ লেখা সাইনবোর্ড বসিয়ে দেয়া হয়। আনসার, পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ রাস্তার যানবাহন চলাচলে নজর রাখছেন। কোথাও কোথাও ব্যারিকেড দিয়ে একেবারে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রাস্তা। জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় জরুরি কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও অতি প্রয়োজন ছাড়া জনগণ ঘর থেকে বের হয়নি। রাজধানী ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটে অল্প কিছু রিকশা, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল এবং মিডিয়াকর্মীদের গাড়ি ছাড়া তেমন কোনো যানবাহন চলেনি।

ঢাকা শহরের যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, টিকাটুলি, ধানমন্ডি, সাইন্সল্যাব, কাঁটাবন মোড় ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মানুষজন নেই। এই এলাকার বিভিন্ন মোড়, গুরুত্বপ‚র্ণ স্থাপনা এবং ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে পুলিশের কড়া নজরদারি ও তৎপরতা রয়েছে। জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হননি সাধারণ মানুষ। যারা বের হয়েছেন তাদের পুলিশি জেরার মধ্যে পড়তে হয়েছে। নগরীতে এসময় সব ধরনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে টহল দিতে দেখা যায়। সাদা পোশাকেও নিয়োজিত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অনেকেই মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারে জরুরি প্রয়োজনে বের হলেও একেবারেই আমজনতারা প্রয়োজনীয় গন্তব্যে যাচ্ছেন রিকশায় অথবা হেঁটে।

তবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ব্যক্তি পর্যায়ে কিছু কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে সাংবাদিকরা জানিয়েছেন।
২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাÐের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে নামে বাঙালি। দেশমাতৃকাকে মুক্ত করতে ২৬ মার্চ থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করে বীর বাঙালি। সুসজ্জিত শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে এমন সাহসী প্রতিরোধ আর দেশপ্রেমই স্বাধীনতার লাল সূর্য এগিয়ে নেয় মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনী অত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় লাল-সবুজের পতাকা। বাঙালি পায় মুক্তির স্বাদ স্বাধীন এক ভ‚খন্ড।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন