করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে অঘোষিত লকডাউনের মধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক কারবারিরা। মহামারী থেকে মানুষের জীবন রক্ষার মতো কাজে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যস্ততার সুযোগ নিচ্ছে তারা। টানা দশ দিনের ছুটিতে বন্দরনগরীসহ চট্টগ্রাম অঞ্চলেও থেমে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষায় মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বাড়িঘরে। সড়ক-মহাসড়কে বন্ধ সব ধরনের যানবাহন চলাচল। বন্ধ রেল ও নৌপথের যোগাযোগও। একান্তই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে আসছে না। সুনসান নীরবতা সড়ক মহাসড়কে। সাগরপথেও নেই আগের মতো ব্যস্ততা। রাতের বেলায় একেবারে জনশূন্য হয়ে পড়ছে সড়ক। এই নির্জনতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্যরা ছোট বড় চালান পাচার করছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস আতঙ্কে সব দেশের সীমান্তে পাহারা এখন অনেকটাই ঢিলেঢালা। এর সুযোগে মিয়ানমার সীমান্ত হয়ে ইয়াবার চালান আসছে। সাগর, পাহাড় আর সড়ক পথে নানা কৌশলে পাচার হচ্ছে এ ভয়ঙ্কর নেশার ট্যাবলেট।
ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, দুর্যোগের সময় দুষ্টচক্র সক্রিয় হয়ে উঠে, এখনো থেমে নেই। এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান কঠোর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দুষ্ট চক্রকে কোন সুযোগ দেবো না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন