সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রফিকুল ইসলাম সুমন (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত যুবক সিএনজি চালক ছিল।
সোমবার ভোরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত রফিকুল ইসলাম সুমন চাষীরহাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড দক্ষিণ পোরকরা গ্রামের খাশের বাড়ীর নজির আহমদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে চাষীরহাট ইউনিয়নের পোরকরা গ্রামের এক সিএনজি চালক যাত্রী নিয়ে বোগাই গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। পথে একই ইউনিয়নের কাবিলপুর উত্তরপাড়া এলাকায় পৌঁছে এক পথচারীকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় সে। রাতে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে কাবিলপুর উত্তরপাড়ার লোকজন তাকে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ পোরকরা গ্রাম থেকে কয়েকজন সিএনজি চালকসহ একদল যুবক কাবিলপুর উত্তর পাড়ায় গেলে স্থানীদের সাথে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং আটককৃত ওই চালককে নিয়ে আসে তারা।
সূত্রে আরও জানা গেছে, এ ঘটনার জের ধরে রোববার মাগরিবের নামাজের পরপর দক্ষিণ পোরকার গ্রাম থেকে রফিকুল ইসলাম সুমনসহ একদল যুবক পুনঃরায় কাবিলপুর উত্তরপাড়া গিয়ে স্থানীয়দের ওপর হামলা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয় মসজিদে ডাকাত বলে মাইকিং করা হলে এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে গেলেও সুমনকে আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। সংঘর্ষের খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মসজিদের পাশের সড়কের পাশে অচেতন অবস্থায় সুমনকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেওয়ার পথে সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রোববার রাতে ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় সিএনজি চালক সুমনকে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন