বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শাহবাগস্থ বাংলাদেশ বেতার ভবনের দ্বিতীয় তলায় স্থাপিত করোনাভাইরাস ল্যাবরেটরিতে আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হবে করোনা সনাক্তকরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুরে ডা. মিল্টন হলে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) থেকে পিপিই, এন্টিসেপটিক হ্যান্ডরাব সল্যুশনসহ করোনাভাইরাস সংশ্লিষ্ট সুরক্ষা সামগ্রী প্রদানকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া এ কথা জানান। ভিসি জানান, সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রোগীরা এই পরীক্ষাটি করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী আগামীকাল বুধবার থেকে করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণের টেস্ট কার্যক্রম শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অর্থাৎ বাংলাদেশ বেতার ভবনের নিচতলায় স্থাপিত ফিভার ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের পর যে সকল রোগীরা করোনাভাইরাস সনাক্তকরণের পরীক্ষার জন্য নির্দেশিত হবেন সে সকল রোগীরাই এই টেস্ট বা পরীক্ষাটি করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের নিচ তলায় ডা. মিল্টন হলে বিএমএ থেকে করোনা ভাইরাস সুরক্ষা সামগ্রী প্রদানকালে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া, বিএমএ’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বিএমএ’র মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, বিশ্ব আজ একটি দুর্যোগের মুখোমুখী। অদৃশ্য শত্রু করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সকল নাগরিকসহ সমগ্র বিশ্ববাসীকে লড়াই করতে হচ্ছে। চিকিৎসক, সাংবাদিক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও করণীয় নির্ধারণে ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গত ২ সপ্তাহ ধরে বেতার ভবনে ফিভার ক্লিনিকে জ্বর সর্দি-কাশির রোগীদের পৃথকভাবে চিকিৎসাসেবা চলছে। বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবা চালু রয়েছে। জরুরি সেবা চালু রয়েছে। রোগীদের সুবিধার্থে হেল্প লাইন চালু করা হয়েছে। রোগীদের পাশে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। আগামীকাল থেকে শাহবাগস্থ বেতারভবনে করোনা ভাইরাস ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাস সনাক্তকরণের টেস্ট কার্যক্রম শুরু হবে।
ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসা, করণীয় নির্ধারণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিশেনের পক্ষ থেকেও করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। বিএমএ করোনাভাইরাস বিষয়ে সর্বদা নজর রাখছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অবশ্যই আমাদের জয়ী হতে হবে।
এদিগে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের জন্য কিছু হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন