গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কথা হয় রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবির খোন্দকার ও জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হকের সাথে। এ সময় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার প্রধানমন্ত্রীকে জানান, রাজশাহী বিভাগ এখন পর্যন্ত করোনামুক্ত রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এখনো করোনা সংক্রমিত কোনো রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। সন্দেহভাজন ৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। কিন্তু রেজাল্ট নেভেটিভ এসেছে। প্রধানমন্ত্রী বিভাগীয় কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, প্রথমেই আপনাকে সুখবর দিতে চাই। তা হলো রাজশাহী বিভাগের কোনো জেলাতেই করোনা রোগী পাওয়া যায়নি। ৬ জন সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা আইইডিসিআরে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সবকটিই নেগেটিভ এসেছে।
বিভাগীয় কমিশনার প্রধানমন্ত্রীকে জানান, আগামীতে করোনা রোগী পাওয়া গেলে বা পরিস্থিতির প্রয়োজন হলে এক হাজার ৬৮০টি বেড প্রস্তুত আছে। পিপিই’র কোনো ঘাটতি নেই। এ বিভাগে পাঁচ হাজার মজুদ আছে। দরিদ্র মানুষের খাদ্য সহায়তায় জিআর থেকে ৯২১ মে. টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে ২৪০০ মে.টন চাল মজুদ আছে। আর নগদ ৮১ লাখ টাকা হাতে আছে। আগামী ৬/৭ মাস কোনো মানুষ কাজ না করলেও আমরা খাদ্য সহায়তা দিতে পারবো।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিভাগীয় কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, দরিদ্র মানুষের প্রয়োজনে আরো টাকা ও খাদ্য সামগ্রী পাঠাবো। পরে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা বলেন। তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় লিফলেট ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণসহ সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
এছাড়া, নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, রাজশাহী জেলায় এখনো করোনা আক্রান্ত কেউ নেই। সন্দেহভাজন একজন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু করোনার কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন