স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে আজকের রোনালদো হওয়ার সবচেয়ে কাছের সাক্ষী তো তিনিই। সেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকেই তো রোনালদোর তারকা খ্যাতির অঙ্গনে প্রবেশ। সেখান ছিলেন দীর্ঘ ছয় বছর। সেসময় তার কোচ হিসেবে ছিলেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। তাই ফার্গুসন ভালো করেই জানেন রোনালদোর সক্ষমতা সস্পর্কে। সেই ফার্গুসনের এবার সাবেক শিষ্যকে ভূষিত করলেন ‘প্রজন্মের বিশেষ ফুটবলার’ হিসেবে।
সেই ২০০৯ সালে রেকর্ড ট্রান্সফার ফি’তে রিয়াল মাদ্রিদে আসা। এখানেও নিজের তারকা দ্যুতি ছড়িয়েছেন, ছড়াচ্ছেন। ক্লাব ফুটবলে ম্যানইউ ও রিয়ালের হয়ে ছোট বড় অনেক শিরোপাই জিতেছেন পর্তুগিজ তারকা। তবে জাতীয় দলের হয়ে সাফল্যের খাতাটা এতদিন ছিল শূন্য। এবার তা পূর্ণ হয়েছে কিছুদিন আগেই। ফ্রান্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোন বড় ট্রফি (ইউরো) জিতেছে তার দল পর্তুগাল। অধিনায়ক হিসাবে ফাইনালে খেলেছেন মাত্র ২৫ মিনিট। তবে দলের সাফল্যের অন্যতম কারিগর হিসাবে রোনালদোকে দেখছেন অনেকে।
সেই দলের একজন রোনালদোর সাবেক গুরু ম্যানইউ বস স্যার আলেক্স ফার্গুসন। ইউরোর ফাইনালটা গ্যালারীতে বসেই দেখেছেন ফার্গি। ট্রফি প্রদানের পর এক ফাঁকে শিষ্যকে জড়িয়ে ধরে বাহবাও দিয়েছেন তিনি। এবার মুখ খুললেন প্রিয় শিষ্যকে নিয়ে, বললেন, “ফুটবলের প্রতি তার (রোনালদো) আকাক্সক্ষা অবিশ্বাস্য। সে সব সময়ই সামনে তাকাতে পছন্দ করে। তার চেষ্টা থাকে ক্রমোন্নোতির ও জয়ের। সে বিশেষ করে ভালোবাসে এমন বড় টুর্নামেন্টকে (ইউরো)।” বিল্ডকে দেয়া সাক্ষাতকারে ৭৪ বছর বয়সী ফার্গি আরও বলেন, “ম্যানইউতে আমি থাকাকালীন ক্রিশ্চিয়ানো উন্নতি করেছে বহুলাংশে এবং সেটা কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে। সে একই সময়ে ডান ও বা পায়ের শুটিং টেকনিক অভ্যস্ত করেছে। দুর্দান্ত হেড, বাউন্স ইত্যাদির জন্য ওর মনোসংযোগ ছিল প্রশংসনীয়।” তিনি আরও বলেন, ‘শীর্ষসারির ফুটবলাররা পাঁচ কি ছয় বছর নিজেদের সেরাটা দিতে পারে। খেলতে পারেন শীর্ষ পর্যায়ে। তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, ক্রিশ্চিয়ানো সেই কাজটি করে আসছে প্রায় দশ বছর ধরে। যা তাকে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে। প্রতিটি প্রজন্মেই এমন স্পেশাল ফুটবলার পেয়ে থাকে। বর্তমান প্রজন্ম পেয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে।”
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন