করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঘরে অবস্থান নেয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকার সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অবাধে বিচরণ করছে ফেনীর জনসাধারণ।
সরেজমিনে দেখা যায়,শহরের বড় কাঁচাবাজার,সুলতান মাহমুদ পৌর হকার্স মার্কেট, মুক্তবাজার, মহিপাল কাঁচাবাজার, দাউদপুর খাজা আহম্মদ পৌর পাইকারী বাজার, মহিপালে ফেনী-নোয়াখালী সড়কে ফল মার্কেটে প্রতিদিন নিত্যপণ্য সামগ্রী কেনার জন্য সকাল থেকে মানুষের প্রচন্ড ভীড় দেখা গেছে। একে অপরের গা ঘেষে বাজার করছেন অনায়াসে। নিত্যপণ্যের দোকানগুলোতেও একই চিত্র লক্ষ করা গেছে।
গ্রামের পাড়া মহল্লার হাট বাজার ও দোকানগুলোতে প্রতিদিন সকাল বিকেল একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। এদিকে শহরের বেশ কিছু জায়গায় পিকআপ ভ্যানে করে টিসিবি’র পণ্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রয় করতে দেখা গেছে। সেখানে সাধারন মানুষ স্বল্পমূল্যে পণ্য কেনার জন্য একে অপরের গায়ের সাথে গা লাগিয়ে লাইন ধরে পণ্য কিনতে দেখা গেছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সড়কে দুরপাল্লার বাস না থাকলেও ট্রাক লরী কাভার্ড ভ্যান চলাচল করছে। মহাসড়কের পাশে হোটেল রেস্টুরেন্ট খোলা থাকার কারণে প্রতিদিন এসব জায়গায় মানুষের আড্ডা বেড়ে গেছে। শহরেও সিএনজি অটোরিক্সা,টমটম ও মটরচালিত রিক্সা হরহামেশাই চলছে। এসব যানবাহনকে পুজি করে জনসাধারন বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ছেন। জেলা প্রশাসন থেকে জেলা ও উপজেলা শহরে ঘরথেকে জনসাধারণকে বের না হতে এবং সামাজিক দুরত্ব বাজায় রেখে চলাচলের জন্য মাইকিং করা হচ্ছে প্রতিদিন। কিন্তু কে শুনছে কার কথা। অবাধে চলাফেরা করছে মানুষ। প্রথম দুই একদিন মানুষজন ঘর থেকে বের না হলেও এখন মানুষের চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে তৎপর থাকলেও জনসাধারণকে দমানো যাচ্ছে না কোন মতেই। প্রশাসন পড়েছেন বিপাকে।
এ বিষয়ে ফেনীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (ডিডিএলজি) মো: মঞ্জুরুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, যেখানে সেখানে গণজমায়েত বন্ধে মাঠে সার্বক্ষনিক কঠোর অবস্থানে রয়েছেন সেনাবাহিনী,পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট। সড়কে পণ্যবাহী,জরুরী খাদ্র্য সামগ্রী ও জ্বালানী সরবরাহকৃত গাড়ী চলতে পারবে। জেলা প্রশাসনের লোকজন উপজেলা থেকে শুরু করে সব জায়গায় কাজ করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন