শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ৩ এপ্রিল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১০:০১ এএম | আপডেট : ১০:০৫ পিএম, ৩ এপ্রিল, ২০২০

দৌলতখানে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন এমপি মুকুল
দৌলতখান(ভোলা)উপজেলা সংবাদদাতা
ভোলা-২(দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল ব্যক্তিগত অর্থায়নে নিজ নির্বাচনী এলাকার অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটায় তিনি দৌলতখানের নিজ বাসভবনে ২ হাজার অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় এমপি মুকুল বলেন, করোনা ভাইরাস ঠেকাতে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সবাই নিজ ঘরে অবস্থান করুন। আমি সবসময় আপনাদের পাশে ছিলাম। দুর্যোগের সময়ও আপনাদের পাশে থাকবো। করোনা বৈশ্বিক ব্যাপার। এ সমস্যা মোকাবেলায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়টার সাথ কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা দৌলতখানের কোনো মানুষ অনাহারে থাকবেনা ইনশাআল্লাহ। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ লিটার সয়াবিন, ২ কেজি ডাল, ২ টি সাবান। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীতন্দ্র কুমার নাথ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মনজুর আলম খান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জাহাঙ্গীর, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নবী নবু, ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান টিপু, উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রবাসে থেকেও কর্মহীনদের পাশে গরীবের বন্ধু লিটন
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের অসহায় ও দুস্থ মানুষের বন্ধু আ,লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ লিটন।কারো দুরবস্থার কথা জানলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন এই নেতা।এই সময়ে প্রবাসে থাকলেও করোনার প্রভাবে দেশে কর্মহীন ১২শ ৫০পরিবারে খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন তিনি।ইতিমধ্যে উপজেলার শতশত গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার খরচ, অসুস্থ ও অসহায় মানুষকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি সামাজিক এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও অনুদান দিয়ে আসছেন তিনি।এছাড়া জনদুর্ভোগ লাগবে ব্যক্তিগত অর্থায়নে এলাকার রাস্তার উন্নয়ন ও সংস্কারও করে থাকেন লিটন। এতে মির্জাপুর উপজেলায় তিনি গরীবের বন্ধু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

আবুল কালাম আজাদ লিটন মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও হংকং শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি। দুই যুগেওর বেশি সময় ধরে তিনি চীনের প্রাদেশিক শহর হংকং এ স্বপরিবারের বসবাস করে ব্যবসা করছেন।ব্যবসার প্রয়োজনে হংকং থাকলেও কয়েক মাস পর পর দেশে এসে সক্রিয় রাজনীতি ও জনসেবায় অংশ নিয়ে থাকেন।

জানা গেছে, বর্তমান সময়ে তিনি হংকং এ অবস্থান করলেও করোনার প্রভাবে নিজ উপজেলার কর্মহীন মানুষের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।তিনি তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১২শ ৫০কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন।তাঁর দেয়া প্রতিটি পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ ১ কেজি লবন ও ১টি সাবান।তাঁর অনোপস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীরা খোলা ট্রাকে খাদ্যসামগ্রী উঠিয়ে প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদকের কাছে পৌছে দিচ্ছেন।আর আবুল কালাম আজাদ লিটনের পক্ষে ইউনিয়নের নেতারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা পৌছে দিচ্ছেন।

আওয়ামী পরিবারের সন্তান আবুল কালাম আজাদ লিটন ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।ছাত্রত্ব শেষে তিনি প্রবাসে পাড়ি জমান। দুই যুগের বেশি সময় ধরে হংকং এ ব্যবসা করছেন। সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন রাজনীতির সঙ্গেও।ব্যবসার প্রয়োজনে বছরের বেশির ভাগ সময় হংকং থাকলেও কয়েক মাস পর পর দেশে আসেন তিনি।অংশ নেন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মকান্ডে। প্রবাসে থাকা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে উপজেলা বাসীর খোঁজ খবর রাখেন।এসব মাধ্যমে উপজেলার গরীব মেধাবী শিক্ষার্থী, অসুস্থ ও অসহায় মানুষের দুরবস্থা সম্পর্কে খবর জানলে নিজে অথবা লোকের মাধ্যমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন লিটন।

বিগত দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে এভাবে উপজেলার অসহায় দুস্থ মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন তিনি।পাশাপাশি এলাকার মসজিদ-মাদরাসা, কবরাস্থান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নিজ অর্থায়নে রাস্তা-ঘাটও সংস্কার করে থাকেন।এতে মির্জাপুর উপজেলায় তিনি গরীবের বন্ধু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
যুবলীগ নেতা শরীফুল ইসলাম রৌদ্র ও ছাত্রলীগ নেতা টুটুল চৌধুরী জানান, লিটন ভাই তাঁর ব্যক্তিগত উপার্জন থেকে যেভাবে মির্জাপুরের অসহায় দুস্থ মানুষকে নানাভাবে সাহায্য করে থাকেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।তিনি যে এ উপজেলাবাসীর কাছে গরীবের বন্ধু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তা তাঁর কর্মের ফল বলেই তারা মনে করেন।
এ ব্যাপারে আবুল কালাম আজাদ লিটন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে লালন ও পালন করি।বিশ্বাস করি মানুষ মরণশীল।তাই মৃত্যুর পূর্বে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সামর্থ অনুযায়ী মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।# মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর, ৩-৪-২০২০

 

 

কাঁকনহাট পৌরসভার মেয়রের নিজস্ব অর্থায়নে ১০০০ জনের মধ্যে খাবার তুলে দিলেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি

রাজশাহী (গোদাগাড়ী) সংবাদদাতা
করোনা ভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্ব আজ নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে। যত সময় যাচ্ছে, ততই মৃত্যুর হার বাড়ছে । লাগামহীন হয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধকেও হার মানাতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এর বাহিরে নেই। বাংলাদেশে মৃত্যু ও আক্রান্তের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে, দেশের জন্য সুখবর অনেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছে।

প্রতিদিন নতুন করে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। সেদিক থেকে বাংলাদেশও এখন কম ঝুকিতে আর নেই। এই ঝুকি ও মৃত্যু কমাতে এবং সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ ঘরে অবস্থান করছে দেশের মানুষ। বর্তমানে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা বাণিজ্য, বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠান, দিন মজুরী ও যানবাহন চলাচলও। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালকসহ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের সদস্যরা। খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে তাদের ঘরে।

রাজশাহীর কাঁকনহাট পৌর মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ এর নিজস্ব তহবিল হতে এই পরিবারের লোকদের মুখে একমুঠো ভাত ও একটুকরো রুটি তুলে দিতে আজ শুক্রবার সকালে অসহায় ও কর্মহীন ১০০০ জনের মধ্যে চাল, ডাল, আটা ও আলুসহ প্রায় ১০ কেজি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। রাজশাহী ১ আসনের সংসদ সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরনের উদ্বোধন করেন। পরে প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নেতাদের মাধ্যমে অসহায় পরিবারের বাড়িতে যেয়ে এই খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন মেয়র আব্দুল মজিদ।

প্রধান অতিথি বলেন, মেয়র আব্দুল মজিদের নিজস্ব তহবিল থেকে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। তিনি বলেন, দেশ এখন অত্যন্ত সংকট মুহুর্ত সময় অতিবাহিত করছে। সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, যাবনবাহন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জনগণ র্কমহীন হয়ে পড়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জনগণ যেন এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে পারে তার জন্যই এই পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন।

সেইসাথে তিনি সকল মানুষকে অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন। এর ফলে মানুষের রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরকারীভাবে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছেন। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বীত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। সেই সাথে তিন ফিট দুরত্ব বজায় রেখে জনগণকে চলাচল করতে অনুরোধ করেন তিনি। রাস্তায় আসলেই মাস্ক এবং দিনে ১০-১২ বার ক্ষার জাতীয় সাবান কিংবা হ্যান্ড ওয়াস দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দেন প্রধান অতিথি। পরে তিনি কাঁকনহাট পৌর জনগণের মধ্যে মাস্ক বিতরণ ও ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি ছিটানো কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

মেয়র আব্দুল মজিদ বলেন, বিশ্বের ২০৩টি দেশ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আমেরিকার মত দেশ এই ভাইরাস প্রতিরোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে। সচেতনতাই পারে এই ভাইরাস থেকে জনগণকে মুক্ত রাখতে। সরকারী নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকার জন্য জনগলণকে আহবান জানান তিনি। সেইসাথে চোখ, নাক ও মুখে অপরিস্কার হাত না দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে কাঁকনহাট পৌরবাসীর সাথে সর্বদা আছেন এবং আগামীতেও থাকবেন বলে জানান মেয়র।

 

কেরানীগঞ্জে নয়’শ কর্মহীন শ্রমজীবী পরিবারের মাঝে পুলিশের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
ঢাকার কেরানীগঞ্জে নয়’শ কর্মহীন শ্রমজীবী পরিবারের মাঝে ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া বিআরটিএ মাঠে ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার জিনজিরা পীএম পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়। দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার মাধ্যমে ছয়’শ কর্মহীন শ্রমজীবি পরিবারকে খুঁজে বের করে তাদের প্রতিটি পরিবারের হাতে প্রথমে একটি করে কার্ড দেয়া হয়। এসব কার্ডধারী পরিবারের লোক জনদের সবাইকে সামাজিক দুরুত্বে বসানো হয়। পরে তাদের প্রত্যেকের হাতে খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট পোঁছিয়ে দেয়া হয়। অপরদিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মাধ্যমে তিন’শ কর্মহীন শ্রমজীবি পরিবারকে একই পদ্ধতিতে তাদের প্রত্যেকের হাতে খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট পৌঁছিয়ে দেয় হয়। প্রতিটি পরিবারকে ৫ কেজি চাউল, ১কেজি ডাল,২কেজি আলু,১কেজি পিঁয়াজ,১লিটার তৈল ও ১টি সাবান দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কেরানীগঞ্জ সার্কেল রামানন্দ সরকার,কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান প্রমুখ।

 

 

২ হাজার পরিবারের মাঝে ঢাকা জেলা প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর করাইল বস্তির দিনমজুর, রাজমিস্ত্রী, রিক্সাওয়ালা, ভ্যানচালক, ছুটা বুয়া ও কর্মহীনসহ খেটে খাওয়া গরীব ও অসহায় ২ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল ও ২ কেজি আলু বিতরণ করা হয়।

ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন আকবর হোসেন খান পাঠান (চিত্রনায়ক ফারুক), ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, গুলশান রাজস্ব সার্কেলের এসিল্যান্ড ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমে রেডক্রিসেন্ট ঢাকা জেলা ইউনিটের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য সমগ্র ঢাকা জেলাতেই পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পয়েন্ট ও এলাকা নির্বাচন করে গত মাসের ২৭ তারিখ ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। ত্রাণ বিতরণকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ৩৩৩ কল সেন্টার ও জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের (ফোন-০২৪৭১১০৮৯১, মোবাইল-০১৯৮৭৮৫২০০৮) প্রাপ্ত ফোন কলের ভিত্তিতে এরআগে ঢাকা সিটির মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটি, রায়েরবাজার, মিরপুরের আদাবর, বেগুনতলা, যাত্রাবাড়ী, লালবাগ ও মালিবাগ এলাকায় মোট ১০৩ টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।

 

খাদ্য সহায়তা নিয়ে লুছিয়ার বাড়িতে কলাপাড়ার ইউএনও আবু হাসনাত

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
চরম অসহায়, হতদরিদ্র, বিধবা, অশীতিপর লুছিয়া বেগমের ঘরে চাল, ডাল, তেলসহ খাদ্য সহায়তা নিয়ে হাজির হলেন কলাপাড়ার ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর নির্দেশে ইউএনও আবু হাসনাত শুক্রবার বেলা ১১টায় উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের বেতমোড় গ্রামের খালের পাড়ে লুছিয়ার বাড়িতে ছুটে গেলেন। এসময় কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ, স্থানীয় মেম্বার আব্দুল খালেক খান উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, চরম অসহায়, বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়া লুছিয়া বেগম জীবন সায়াহ্নে এসেও জীবনের তাগিদে ভিক্ষে করতেন। করোনার কারণে ওই পথও রুদ্ধ হয়ে যায়। স্বামী নেই বহু আগেই। দুই মেয়ে গার্মেন্টস এ কাজ করেন, ঢাকায় থাকেন। তাঁদেরই চলেনা সংসার। শহরে ভিক্ষাবৃত্তি করে দুবেলা-দু’মুঠো অন্নের সংস্থান মেলানো অশীতিপর লুছিয়া বেগমের অসহায়ত্ব নিয়ে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।

কলাপাড়ার ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, যতদিন কর্মহীন থাকবেন লুছিয়া বেগমের মতো অসহায় মানুষগুলো, তাদের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেয়া হবে।

 

 

ঘরে থাকুন, খাবার পৌঁছে দেব: ইউএনও সখিপুর
সখিপুর(টাঙ্গাইল)উপজেলা সংবাদদাতা

করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত ‘ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন’ কর্মসূচির কারণে স্বল্প আয়ের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এসব কর্মহীন দরিদ্র অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে ভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আপনার জানা মতে ভিক্ষুক, দিন মজুর, গরীব চা বিক্রেতা, নির্মাণ শ্রমিক, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, ভ্যান/রিকশা চালক, কুলি, মুচি, গরিব দর্জি, বাদাম বিক্রেতা, ঝালমুড়ি বিক্রেতা, দিন আনে দিন খায়, পরিবহন শ্রমিক, পাগল ও ভবঘুরে ব্যক্তির তালিকা দিন। যার ঘরে খাবার নেই, এখন পর্যন্ত যার কাছে সরকারি কিংবা বেসরকারি সাহায্য পৌঁছেনি তাদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা ও মুঠোফোন নম্বর আহ্বান করেন ওই পোস্টে।ইউএনও বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে আপনারা ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন, আমরা ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিবো।এ সময় যারা ১০ টাকা দরে চাল, ভিজিডি/ভিজিএফ, সংসদ সদস্য প্রদত্ত ত্রাণ সহায়তা, বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছেন তাদের নাম প্রস্তাব না করার অনুরোধ করেন তিনি।এ বিষয়ে ইউএনও আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলাব্যাপী ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। তারপরও কেউ যেনো বাদ না পড়ে, কোনো মানুষ যেনো অভুক্ত না থাকে সেজন্যে আমাদের এ আহ্বান। এতে বেশ সাড়া মিলছে।তিনি আরো বলেন, বাড়ি বাড়ি সহায়তা পৌঁছে দিতে পৌরসভা ও প্রতিটি ইউনিয়নে ৩০ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা নিরলস কাজ করে ঠিকানা অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।

 

সখিপুরে করোনা মোকাবেলায় ত্রাণ সহায়তায় মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব
সখিপুর(টাঙ্গাইল)উপজেলা সংবাদদাতা

টাঙ্গাইলের সখিপুরে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সচেতন ব্যক্তিগণও মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার সকালে সখিপুর বাজারে। এর আগেও এ ধরনের অহরহ ঘটনা ঘটেছে। সখিপুর সদর বাজার মার্কেট মালিক সমিতির উদ্যোগে সখিপুর পৌরসভার হতদরিদ্র ৩২০ টি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আজ শুক্রবার(০৩.০৪.২০২০) সকাল সাড়ে দশটায় সখিপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের রেনাজ সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় সখিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ ও সমিতির অন্যান্য সদস্যরা ত্রাণ দেওয়া শুরু করে।দিনব্যাপী পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লার জনসাধারণের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করে সখিপুর বাজার মার্কেট মালিক সমিতির সদস্যরা।

বাজার মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদ ইকবাল জাহাঙ্গীর বলেন, সখিপুর পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের মোট ৩২০ টি পরিবারের মাঝে এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

সখিপুর বাজার মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদ ইকবাল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক তারেক সিরাজ, সমিতির সাধারন সদস্য আহাম্মদ আলী মিয়া,তাহমিনা পারভীন,কামরুল হাসান, আলমাস আজাদ ,মঞ্জুরুল হক মজনু, টাইগার নজরুল, জাকির হোসেন রাজু, কামরুল হাসান আজাদ, রায়হান রাসেল,আহমেদ শফী, শেখ মোহাম্মদ হাসনাত, হামিদুল ইসলাম সহ সমিতির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ পৃথকভাবে পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লায় ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করে।

 

ময়মনসিংহে পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
বিশেষ সংবাদদাতা, ময়মনসিংহ ব্যুরো
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ময়মনসিংহে কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন জিলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব ও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আমিনুল হক শামীম।

শুক্রবার দুপুরে নগরের মাসকান্দা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের অন্তর্ভুক্ত ৩৫০ জন মোটরযান শ্রমিককে ৯ কেজি পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়।
এ সময় ময়মনসিংহ জিলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তা, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কোচ বিভাগের সম্পাদক বাবু সোমনাথ সাহাসহ মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে র‌্যাব-৮ কর্তৃক পটুয়াখালীতে বেদে সম্প্রদায়, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা
র‌্যাব -৮ ক্যাম্প পটুয়াখালী কর্তৃক পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।র‌্যাব -৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ মো: রইছ উদ্দিন এর নেতৃত্বে জেলার বিভিন্ন এলাকার বেদে সম্প্রদায়, অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

বিতরণ করা ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাউল-৫ কেজি, ডাল-১ কেজি, আলু-২ কেজি, তেল-১ লিটার, মুড়ি-২ কেজি, চিড়া-১ কেজি, সাবান- ২ টি, বিøচিং পাউডার -১ প্যাকেট, ওরস্যালাইন-৫ টি, গ্লুকাজ -১ প্যাকেট, মাস্ক-১টি। এ সময় করোনা ভাইরাসের কারনে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরিধান করা,জনসমাগম এড়িয়ে চলা ইত্যাদি বিষয়ে সকলকে সচেতন করা হয়।

 

 

শেরপুরে দরিদ্র অসহায়দের হাতে ত্রাণ তুলে দিলেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নেতৃবৃন্দ
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা
শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখায় মানুষ ঘরে অবস্থান করছে। এতে দরিদ্র অসহায় মানুষ শ্রমদিয়ে উপার্জন করতে পারছেনা। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাজীবি ও সামাজিক সংগঠনও দাড়াচ্ছে দরিদ্র অসহায় মানুষ গুলোর পাশ্বে। আজ দুপুরে শেরপুরে বিভিন্নস্থানে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের ত্রানসামগ্রী পৌছে দেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন শেরপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। সামাজিক নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে চাল, ডাল, আলো, সাবান তুলে দেয়া হয় দরিদ্র অসহায়দের হাতে। জেলা শহরের উত্তর গৌরীপুর, সজবরখিলা, শেখহাটি, নৌহাটা, বাগরাকসা ও সদর উপজেলার দড়িপাড়ায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ নুরুল আমীন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেরাজ উদ্দিন, সহসভাপতি অধ্যক্ষ মাওঃ আব্দুল হালিম মিয়া, আলহাজ্ব মাও: অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুর রেজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক মাওঃ শরাফত আলী।

এসময় জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি এ করোনার আক্রন্ত থেকে যেন আল্লাহ পাক আমদের দেশ ও জাতিকে হেফাজত করেন। আমরা সাধারণ মানুষের পাশ্বে থেকে খেদমত করে যাবো।

 

অনিরাপদ ত্রাণ বিতরণে করোনা হুমকিতে সিলেট !
সিলেট ব্যুরো
বৈশ্বিক করোনা সংকট। সংক্রমণ এ ভাইরাসের অপ্রতিরোধ্য শক্তি এখনও। বিশে^র ক্ষমতাধর মোড়ল, পরাশক্তি কুপোকাত করোনার গতিপ্রকৃতির নিকট। কেবল সর্তকতা, সচেতনতার মন্ত্র ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সর্বত্র। বাইরের চিরায়িত কার্যকর জীবন এখন গৃহবন্দি। একই নির্দেশনা আপামর মানবজাতির উপর। সেকারনে শুরু হয়েছে খাদ্য সংকটের হাকাকার। প্রয়োজন মেঠাতে উন্নত দুনিয়ার কল্যানমুখী দেশগুলো নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঘরে ঘরে পৌছে দিচ্ছে খাবার সহ অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রি। একইভাবে আমাদের দেশের সরকার সহ এগিয়ে এসেছে সামাজিক সংগঠিত মানুষ। এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি সহ সচেতন মহল মাঠে নেমেছে। কিন্ত তাদের সেই পদক্ষেপ করোনা সংক্রমের বার্তাকে আরো বেগবান করছে এমন চিত্র ভেসে উঠছে। করোনা প্রতিরোধে নিরাপদ দুরত্ব, সামাজিক দুরত্ব সহ নিজ নিজ নিরাপত্তাই এখন মূখ্য। তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ত্রান বিতরনের নামে প্রকাশ্যে নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছেন বিতরনে জড়িত দায়িত্বশীল উদ্যোক্তরা। এছাড়া ফটোসেশনের মারাতœক একটি ঝোঁক ক্রীয়াশীল হয়ে গেছে মন-মগজে। ছবি তোলে প্রকাশ না করলেই যেন ত্রান বিতরনের যোলআনা পূরণ হয় না। করোনা সংকটে পতিত লোকদের অনেকে ছবি যন্ত্রনার কারনে ক্ষিধের হাহাকার থাকার পরও আতœমর্যাদা রক্ষায় গ্রহন করতে পারছেন না ত্রান বা প্রয়োজনীয় খাদ্য সমাগ্রি। এছাড়া ছবির পোজ দিতে গিয়ে কেবল মাত্র নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা রক্ষার পর পুনরায় একে অপরের কাছাকাছি মিলে যাচ্ছেন। মাস্ক বা গ্লাভস ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বেমালুম ভূলে যাচ্ছেন বেশিরভাগ উদ্যোক্তারা। মনে হ্েছ এ নির্দেশনা যেন খাদ্য সংকটে গৃহবন্দি মানুষের জন্য, এর আ্ওতায় নয় তারা ? এতে করে সচেতনার নির্দেশনা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ক্ষিধের জ¦ালা মেঠাতে গিয়ে করোনার ঝুঁকি যে বাড়াচ্ছেন না এমন প্রশ্ন কি অমুলক। কথায় বলে ‘যারা পথ দেখায় তারা তাকে এগিয়ে’। চলমান ত্রান বিতরন কার্যক্রমে মনে হচ্ছে, পথ যারা দেখাচ্ছে তারাই করোনার মুখপাত্রে পরিনত হয়ে উঠছেন হয়তো ! সেকারনে ত্রান বিতরনকারীদের সচেতনতা ও সর্তকতার মোড়কে আবদ্ধ হয়ে সহযোগিতায় অংশ নেয়া দরকার। তাদের নিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ সাধারন মানুষকে করোনা সর্তকতায়, আরো মনোযোগী করবে। অপরদিকে, উন্নত দুনিয়ার মতো আমাদের ঘরবাড়ি ছবি মতো, সুন্দর বা শৃংখলিত নয়। পরিস্কার পরিচ্ছনতার কথা বাদই দেন। কয়টা ঘরে যেতে পারবেন জনপ্রতিনিধিরা। দলবেঁধে ত্রান বিতরনের রেওয়াজ আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ সংস্কৃতি। মানুষের স্বাভাবিক আতœমর্যাদার চরিত্র, ধনী-গরিবের ব্যবধানে হারিয়ে য্ওায়ার কথা নয়। কিন্তু বন্টন রীতির অসুস্থ ধারায়, তাও আড়াল হয়ে যাচ্ছে, সামাজিক রীতিনীতির কারনে ত্রান গ্রহনের প্রয়োজনীয়তা, আগামী দিনে ওই ব্যক্তি বা তার পারিবারিক ঐতিহ্যকে খান খান করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশনা ত্রানের সংগ্রহে উপেক্ষিত হ্ওয়ার উপক্রম হচ্ছে, সেই সাথে ত্রান বঞ্চিত দিনমজুর ত্রান নিশ্চিত করতে লবিং করছে বা উদ্যোক্তাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। চলমান এহেন তৎপরতা গভীর থেকে চিন্তা করে করোনা প্রতিরোধ উপযোগী বিহীত ব্যবস্থা গ্রহন জরুরী বলে মনে করছেন অনেকে। করোনা আছে, ত্রান বিতরনও চলবে, তবে পরিস্থিতির আলোকে, নিরাপত্তার চাদরেই তা নিশ্চিত করতে হবে সু-শৃংখল বাহিনীর সমন্বয়ে। করোনার তান্ডবের এই মুর্হূতে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনে কথিত জনপ্রতিনিধি বা সমাজেসেবী হওয়ার অসুস্থ মানসিকতার প্রতিযোগীতা এখনই রুখতে হবে। দূর্যোগে সামর্থ্যশালীদের সহযোগিতা বা জনপ্রতিনিধিদের পাশে থাকা করুনা নয়, এটা আমজনতার অধিকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান এব্যাপারে বলেন, করোনা সর্তকতা রক্ষা না করে ত্রান বিতরনে অংশ গ্রহন করলে হুমকি থাকবেই। ছবি তোলার প্রবনতা, বিতরন কাজে সরকার প্রদত্ত নিদের্শনা অমান্য করলে পরিনাম কারো জন্য ভালো হবে না। যে প্রকাশ্যে অরিক্ষিত অবস্থায় বিরতন করছেন বা যে গ্রহন করছেন তার মধ্যে করোনা ভাইরাস নেই, এর নিশ্চয়তা কে দিবে। সেকারনে পরিস্থিতি অনুধাবন ও মান্য করে যেকোন পদক্ষেপে অংশ নেয়া জরুরী।

 

পাঁচ টাকায় কেনাকাটা
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা
পাঁচ টাকা দিয়ে একটি টিকিট কিনলেই পাওয়া যাবে ৮টি পণ্য। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি তেল, এক কেজি পেঁয়াজ, দুই কেজি আলু, এক কেজি ডাল, একটি মাস্ক, একটি সাবান ও এক প্যাকেট লবণ। ঝালকাঠির একটি সমাজকল্যাণ সংস্থা করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় কর্মহীন হয়ে যাওয়া মানুষকে খাদ্যসামগ্রী দিতে এ ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে। এমনকি সেলফোনে কেউ নাম পরিচয় দিয়ে কল করলেও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এসব খাদ্যসামগ্রী। বিনিময়ে তাকে দিতে হবে মাত্র পাঁচ টাকা। অসহায় মানুষ গর্বের সাথে পণ্যগুলো নিতে পারবেন। এতে তাঁরা কেউ ভাববে না, যে দান গ্রহণ করছে, কিংবা অনুগ্রহ নিয়েছে। শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকায় ‘স্বপ্নপূরণ সমাজকল্যাণ সংস্থার’ কার্যালয়েও পাওয়া যাচ্ছে এ পণ্য। শুক্রবার থেকে সংস্থার সভাপতি রিয়াজ খান অশ্রæ কর্মহীন মানুষের মাঝে পণ্যগুলো তুলে দিচ্ছেন। যারা এ পণ্য নিচ্ছেন, তাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেন তিনি। অতিপ্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কাউকে বের না হওয়ার কথা জানিয়ে দেন দরিদ্র মানুষগুলোকে। প্রথম দিনে তিনি একশ’ প্যাকেট তৈরি করেছেন। এজন্য তাকে সহায়তা করেছেন, তাঁর বন্ধু, আত্নীয়-স্বজন ও পরিচিতজনরা। তাদের প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অশ্রু।

স্বপ্নপূরণ সামজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি রিয়াজ খান অশ্রæ জানান, শুক্রবার থেকে প্রত্যেক ক্রেতার বাসায় (হোম ডেলিভারি) অথবা টিকিট জমা দিয়ে তাদের পণ্য নিতে পারবেন। অবশ্যই নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব (৩ফুট দূরত্ব) বজায় রেখে তাদের পণ্য তুলে দেওয়া হয়। সামাজিক এ কর্মকান্ডে যুক্ত রয়েছেন সংস্থার সদস্য সুমন সমাদ্দার, হাসানুজ্জামান হিরা, জামাল, মিজান, রানা, এসএম সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, নজরুল ইসলাম নান্নু, নুরুল ইসলাম, আল আমিনসহ সকল সদস্যবৃন্দ। সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছেন সংস্থার উপদেষ্টা ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বঙ্কিম চন্দ্র সমাদ্দার, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সুলতান হোসেন খান ও সৈয়দ রাজ্জাক আলী সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন কবীর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জানে আলম জনি, শওকত হোসেন মিলা এবং আমিনুল ইসলাম লিটন তালুকদার।

 

কুড়িগ্রামে কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা
কুড়িগ্রামের সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলায় করোনা ভাইরাস সচেতনতায় কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় আড়াই হাজার পরিবারের মধ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাল, ডাল, আলু বিতরণ করেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ।

অন্যদিকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কুড়িগ্রাম পৌর সভার মেয়র আব্দুল জলিলের ধারাবাহিক ত্রাণ বিতরণের অংশ হিসেবে পুরাতন রেল ষ্টেশন এলাকায় প্রায় এক হাজার পরিবারের মধ্যে চাল, ডাল, তেল ও সাবান বিতরণ করা হয়। পৌর মেয়রের পক্ষে তার পতœী মাহবুবা সুলতানা মিলা এসব ত্রাণ সামগ্রী কর্মহীন মানুষের হাতে তুলে দেন।
শুক্রবার এসব ত্রাণ বিতরণ কালে স্থানীয় সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ জানান যতদিন প্রয়োজন ততদিন সরকারের পাশাপাশি অসহায় কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার

খুলনা ব্যুরো
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে খুলনা জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ফার্মেসি ডিসিপ্লিনে তৈরি হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ফর্মুলায় বিশ্বমানের হ্যান্ড স্যানিটাইজার।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাশের নেতৃত্বে ১০ জন শিক্ষক ও ২০ জন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে গঠিত টিম দুটি ল্যাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রথম পর্যায়ে তারা ১০০ মিলি লিটারের সাড়ে ছয় হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করবে।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি কার্যক্রমের সার্বক্ষণিক সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন খুলনার কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার প্রকল্পের জেলা সমন্বয়ক মোঃ ইকবাল হাসান।

খুলনা জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও এ কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, এসব হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, স্বাস্থ্যকর্মী ও গ্রাম পুলিশসহ যারা সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছেন তাদের বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।

 

মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান খুলনার ক্রিকেটার সালমার

খুলনা ব্যুরো
করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন খুলনার মেয়ে বাংলাদেশ নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সালমা খাতুন।

শুক্রবার খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নের মিল্কি দেয়ারায় তার নিজ বাড়ির আশপাশের মানুষের মাঝে খাবার বিতরণের সময় এ আহŸান জানান তিনি। সালমা নিম্ন আয়ের ৬০টি পরিবারের মধ্যে এক সপ্তাহের খাবার বিতরণ করেন।

এ সময় ২৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডার জানান, তার এই সাহায্য অব্যাহত থাকবে। তিনি সকল নারী ক্রিকেটার-সহ ক্রীড়াঙ্গনের সকলকে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়ার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহŸান জানান। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বাড়িতে থাকার এবং বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে সালমা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

 

ফুলবাড়ীতে ডেকোরেটর শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
করোনার প্রাদুর্ভাবে খেটে খাওয়া মানুষদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের সাহায্যার্থে ফুলবাড়ীতে ডেকোরেটর শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতর

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন