শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

জৈব সার আনছে কেরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের পর এবার জৈব সার উৎপাদন করবে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড। সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে প্রতিষ্ঠানটি বাজারে নিয়ে আসছে কেরুজ জৈব সার ‘সোনার দানা’। গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বল্পমূল্যে কৃষকদের কাছে উন্নতমানের কেরুজ জৈব সার পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এ সার ব্যাপকহারে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

এর আগে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২৩ মার্চ থেকে প্রথমবারের মতো অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। জৈব সার তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে ২০১২ সালে একটি কারখানা স্থাপিত হয়। চিনি কারখানার আখ থেকে বর্জ্য হিসেবে প্রাপ্ত ফিল্টার মাড, প্রেসমাড ও ডিস্ট্রিলারি ইফ্লুয়েন্ট স্পেন্টওয়াশ থেকে জৈব সার ‘সোনার দানা’ তৈরি হয়। এ জৈব সার ভেজালমুক্ত ও উন্নত মানসম্পন্ন। বর্তমানে জৈব সার কারখানাটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৭ হাজার মেট্রিক টন। জৈব সার ‘সোনার দানা’ ১ কেজি ও ৫০ কেজির প্যাকেটে বাজারজাত করা হচ্ছে। দেশের সর্বত্র এ সার পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যে ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে।

‘সোনার দানা’ ব্যবহারের ফলে কৃষি জমিতে ফসলভেদে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ২৫-৩০ শতাংশ পর্যন্ত কম প্রয়োজন হয়। একই সঙ্গে ফসলের রোগবালাই কম হওয়ায় ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহারও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে বলে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির সূত্রে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদ আলী আনছারী বলেন, বর্তমানে বাজারে পাওয়া জৈব সারসমূহের অধিকাংশ নিম্নমানের ও ভেজাল হওয়ার কারণে কৃষকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে তারা কৃষি জমিতে জৈব সার ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন এবং তাদের মধ্যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, জৈব সার ‘সোনার দানা’ ব্যবহারের ফলে ফসলের কান্ড, পাতা ও ফল পরিপুষ্ট হয়। এ সার ফলের মিষ্টতা বৃদ্ধি করে, রঙ বাড়ায় এবং গুদামজাত শস্য সংরক্ষণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
আ,ফ,ম,জামাল উদ্দিন ৭ এপ্রিল, ২০২০, ৭:১২ এএম says : 0
যে সকল বাইপ্রোডাক্ট থেকে সোনার দানা তৈরি করা হয় তাতে কি কি রাসায়নিক দ্রব্য বা দ্রব্যাংশ থাকে- যা মানবদেহ ও জমির মাটির জন্য ক্ষতিকর? সোনার দানার ইনগ্রেডিয়েন্ট গুলোর সংক্ষিপ্ত একটি বিশ্লেষণ দয়া করে আমার ইমেইলে পাঠালে এবং ফোন নম্বর দিলে যোগাযোগ করবো ইনশাআল্লাহ । ধন্যবাদ কর্তৃপক্ষকে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন