শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সিলেটজুড়ে আতংক

সিলেট ব্যুরো: | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম

সিলেটে করোনাভাইরাসের রোগী ধরা পড়ার মধ্যে দিয়ে নতুন মোড় নিয়েছে আতঙ্ক। ভেঙ্গে গেছে মনোবল। মানসিক শক্তি এখন উদ্বেগ, উৎকন্ঠায় পরিণত হয়েছে। সর্তকতা বেড়েছে মানুসের মধ্যে। লোকসমাগমে ভাটা পড়েছে। স্ব-উদ্যোগেই ঘরমুখী মানুষ। ব্যক্তিগত যান চলাচল একেবারেই হাতেগোনা। অথচ গত রোববারও নগরীতে মানুষের চলাচল ছিল উল্লেখ্যযোগ্য। 

সকাল থেকে প্রশাসনের লোকজন মোটরসাইকেলে দুইজন যাত্রী দেখলে একজনকে নামিয়ে দিতে দেখা গেছে। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশায় দুই জনের বেশী যাত্রী বহন করতে দিচ্ছে না প্রশাসনের লোকজন। গাড়ীর দুই পাশে দুই জনকে বসিয়ে মাঝখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিত করতে দেখা গেছে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর লোকজনদের।
গ্রামীণ জনপদেও পুলিশের তৎপরতায় ঘরে অবস্থান করছে মানুষ। দোকান পাঠ বিকেল ৫টায় বন্ধ করতে প্রশাসনের লোকজন সরব ভ‚মিকা রাখছে। গত ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি থাকলেও নগরীতে মানুষের চলাচল অপ্রত্যাশিত বেশিই ছিল। শনিবার রাতে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম সিলেটের সকল জায়গায় বিকেল ৫টার মধ্যে প্রয়োজনীয় দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ দেন। ঝুঁকি এড়াতে জেলা প্রশাসকের এমন পদক্ষেপ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছেন। এমন নির্দেশনার পরও রোববার সিলেট শহরে মানুষকে চলাচল থেমে যায়নি। তবে করোনা আক্রান্ত খবরে চলাচলে ভিন্নতা এসেছে। যেন হুঁশ ফিরে ফিরেছে সচেতনতা সর্তকতা রক্ষায়। একান্ত প্রয়োজনেই বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হল্ওে অন্যরা সুনসান নিরতার মধ্যেই বাসা-বাড়িতে অবস্থান করছেন।
গত রোববার রাতে গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে সিলেটের একজন। মুহূর্তের মধ্যে সিলেটের সকল শ্রেণির মানুষের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। মুখে মুখে দ্রুত পৌঁছে যায় করোনার ছোবল ঘটনা সিলেটে। সন্দেহ সংশয় ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপকভাবে। সিলেটে ওই ব্যক্তি আক্রান্তের খবর প্রকাশের দুই ঘণ্টার মধ্যে আসে অপর একটি দুঃসংবাদ। পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় মারা যাওয়া এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন এমন খবরে বৃহত্তর সিলেটে ছড়িয়ে পড়তেই জড়োসড়োভাবে মানুষকে আকড়ে ধরে। একইদিনে বৃহত্তর সিলেটে দুই জন আক্রান্তের খবরে মানুষের মাঝে চিন্তায় নতুন মাত্রা পায় আতঙ্কের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক ডা. আনিছুর রহমান জানান, সিলেটে আক্রান্ত ব্যক্তি কোন প্রবাসীর কাছে যাননি। কমিউনিটির কারো কাছ থেকে ওই ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। এক্ষত্রে যদি কমিউনিটির কাছ থেকে আক্রান্ত হন তিনি, তাহলে সিলেটে আরো করোনা আক্রান্ত লোক থাকতে পারেন এমন ধারণা ডা. আনিছের ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন