রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

‘সবাই বাড়িঘরেই থাকুন’

চট্টগ্রামে শোকের ছায়া : জালালের পিতৃহারা ছেলেটির আবেগঘন ফেইসবুক স্ট্যাটাস

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৫২ এএম

করোনাভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারানো দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক জালাল সাইফুর রহমান চট্টগ্রামবাসীকে শোক সাগরে ভাসালেন। শোকাচ্ছন্ন চট্টগ্রামে তার পরিবার-পরিজন, পাড়া-পড়শী, বন্ধুজন সবাই। দুদকের ঊর্ধ্বতন উচ্চ এই কর্মকর্তা জালাল সাইফুরের বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন বাদুরতলায়।
তিনি স্থানীয় মরহুম নুরুর রহমানের ছেলে। করোনা কেড়ে নিল জালালের তরতাজা জীবন মাত্র ৪৫ বছর বয়সেই। দাফনও হলো ঢাকার আজিমপুর গোরস্তানে। শেষ মাটির ঠিকানা হলো না তার প্রিয় চট্টগ্রামে।
জালালের একমাত্র সন্তান সামিন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী। বাবাকে হারানোর তার সকরুণ আর্তি তুলে ধরেন গতকাল রাতে পোস্ট দেওয়া তার আবেগঘন ফেইসবুক স্ট্যাটাসে।
সামিন লিখেন, ‘আমার বাবা জীবিকার তাগিদে সরকারি আদেশ না আসা পর্যন্ত ২২ মার্চ পর্যন্ত অফিস করেছিলেন। তারপর থেকে তিনি বাসাতেই ছিলেন। কিন্তু তবুও রক্ষা পাননি। তাই আমি বলবো- এখনও যারা ঘরে থাকার বিধিনিষেধ মানছেন না, তাদের সবাইকে নিজ বাড়িঘরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই না বর্তমানে এই মুহূর্তে আমার এবং আমার পরিবারের উপর দিয়ে যা যাচ্ছে, সেটা আমার শত্র“কেও মোকাবেলা করতে যাতে না হয়’।
ফেইসবুকে সামিন আরও বললেন, বাবার করোনাভাইরাস টেস্টের ফল পজেটিভ আসার পর থেকেই আমি ও মা কোয়ারেন্টাইনে আছি। সেলফ আইসোলেশনের কারণে না বাবার জানাজার অংশ হতে পেরেছি, না উনাকে কবর দেওয়ায় অংশ নিতে পেরেছি। এর চেয়ে কঠিন কিছু আর নেই। আমি উনার একমাত্র সন্তান। আমার কোনো ভাইেেবান নেই। আমি এবং আমার আম্মু দুজনই সুস্থ আছি। আমরা গত ৭ দিন ধরে সেলফ আইসোলেশনে আছি। কোন হাসপাতালে না। আমাদের এভাবে আরও ৭ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে।’
বাবার কথায় তিনি বললেন, ‘উনি একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষ ছিলেন। উনার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি’।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
দুদকের একজন কর্মকর্তা করুনা ভাইরাসে মৃত্যবরন করার পর ও চট্রগ্রামে তার সমাধি হলো না,হলো ঢাকায়,তার পরিবারের পক্ষ থেকে চট্রগ্রামে যাতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব না ঘটে সে জন্য চট্রগ্রামে আনা হয় নাই। সুতরাং চট্রগ্রামবাসীদের রক্ষার জন্য যদি এত বড় ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন,তাহলে আমরা নিজেরাই স্বেচ্ছায় লকডাউন করে চট্রগ্রামবাসীদের করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচাতে পারি না।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন