বিশেষ সংবাদদাতা : অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার তিনি। ফেনী থেকে উঠে আসা পেস বোলার সাইফউদ্দিন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শিকার করেছেন ১৩ উইকেট, টেল এন্ডে ব্যাট করে রান সেখানে ৭৫। পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট আসর বিসিএল এবং লিস্ট ‘এ’ আসর প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগেও। বিসিএলে ইস্ট জোনের হয়ে ২ ম্যাচে ১১১ রানের পাশে ৭ উইকেট। সেখানে প্রিমিয়ার ডিভিশনে সিসিএস’র হয়ে ৫ ম্যাচে ১১০ রান ও ৭ উইকেট। অথচ যাকে ঘিরে ভবিষ্যতের পেস অলরাউন্ডারের ঘাটতি দূর করার কথা ভাবছেন নির্বাচকরা, সেই সাইফউদ্দিন সদ্য সমাপ্ত প্রিমিয়ার ডিভিশনে ত্রæটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের সন্দেহে আছেন। বোলিং রিভিউ কমিটির হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে তাকে। পাশাপাশি হাই পারফরমেন্স স্কোয়াডের ক্যাম্পে মনোনীত ২৫ জনে আছেন এই পেস অল রাউন্ডার।
বোলিং অ্যাকশন নিয়ে তাকে সন্দেহ করে যে রিপোর্ট দিয়েছে আম্পায়াররা, সেই সন্দেহ থেকে নিজেকে মুক্ত করাটাই আপাতত: সাইফউদ্দিনের প্রধান চ্যালেঞ্জÑ ‘আমি সন্দেহের মধ্যে আছি। তবে এখনো তা প্রমাণিত হয়নি। আমার বোলিংয়ের ফুটেজ তারা দেখবে। যদি দেখে সমস্যা আছে তাহলেই কেবল কাজ করবে। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না। তবে এটা আমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।’
ইনজুরির কারণে প্রিমিয়ার ডিভিশনে নিয়মিত খেলতে পারেননি। খেলেছেন মাত্র ৫ ম্যাচ। তারপরও অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট গÐি থেকে উঠে এসে হাই পারফরমেন্স স্কোয়াডে সুযোগকে ভবিষ্যতের সিঁড়ি হিসেবে দেখছেন সাইফউদ্দিনÑ ‘ইনজুরির কারণে প্রিমিয়ার লিগে সব ম্যাচ খেলতে পারিনি। তারপরও বিসিবি আমাকে এইচপিতে সুযোগ দিয়েছে, চেষ্টা করবো যতটা শিখে নিতে। অনূর্ধ্ব-১৯-এর পর আমার লক্ষ্য ছিল এইচপিতে সুযোগ পাওয়া। সিনিয়র খেলোয়াড় সাকলাইন সজীব, রনি (আবু হায়দার) ভাইরা আছে। প্রিমিয়ার লিগের টপ পারফরমাররা আছেন। ওনাদের কাছ থেকে যতটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যায়। অনূর্ধ্ব-১৯ একটা লেভেল, এটা আরও বড় একটা লেভেল। চেষ্টা থাকবে ভালো কিছু শেখা এবং নিজেকে প্রমাণ করা।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন