চট্টগ্রামে ব্যাংকের একটি শাখা লকডাউন
চট্টগ্রাম ব্যুরো
করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার সহকর্মী ব্যাংকে যাওয়ায় ব্যাংক এশিয়ার চট্টগ্রামের একটি শাখা লকডাউন করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টিনে।
বৃহস্পতিবার বেসরকারি ব্যাংকটির আন্দরকিল্লা শাখার ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়ার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ শাখাটি ‘লকডাউন’ করে দেয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি ব্যাংক এশিয়ার আন্দরকিল্লা শাখায় কাজে গিয়েছিলেন।
তাই সতর্কতা হিসেবে ব্যাংকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোয়ারেন্টিনে যেতে বলা হয়েছে।
ব্যাংক এশিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আন্দরকিল্লা শাখার প্রধান আলী তারেক পারভেজ জানান, কোভিড-১৯ আক্রান্ত পোশাক কারখানার ওই কর্মকর্তা গত ২৫ মার্চ তার অফিসের কাজে ব্যাংকে এসেছিলেন। গত ৫ এপ্রিল তার এক সহকর্মীও ব্যাংকে এসেছিলেন।
এই কারণে এ শাখার সব কর্মকর্তা, কর্মচারীকে কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়। যেহেতু গত ৫ এপ্রিল ব্যাংকের ১৫ জন সবাই ব্রাঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সেজন্য পুরো শাখা লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১৪ দিন আন্দরকিল্লা শাখায় কোনো কার্যক্রম চলবে না বলে জানান ব্রাঞ্চ প্রধান আলী তারেক।
এদিকে ওই কর্মকর্তার সহকর্মীদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, যে কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি ওই গার্মেন্ট এর একজন কমার্শিয়াল অফিসার। তার ৫ সহকর্মীকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
যদিও ওই গার্মেন্ট এ হাজারের ওপরে শ্রমিক কাজ করেন। তবে সবার সঙ্গে তিনি কাজ করেন না- ফলে তাদের সবার সংস্পর্শে আসার সুযোগ ছিল না।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা লকডাউন
কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ৩টি প্রবেশ পথে ব্যারিকেড দিয়ে এ লকডাউন করা হয়। এরফলে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা এবং ভেড়ামারা উপজেলার সাথে সড়কপথে দৌলতপুরের যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি ব্রিজের ওপর এবং ধর্মদহ এলাকার কাজীপুর ব্রিজের ওপর ব্যারিকেড দিয়ে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাথে লকডাউন করা হয়ছাড়া আল্লারদর্গা বাজারে ব্যারিকেড দিয়ে পাশের ভেড়ামারা উপজেলাকে লকডাউন করা হয়। ফলে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় করোনাভাইরাস ছাড়ানো থেকে অনেকটা নিরাপদ থাকা সম্ভব বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, পাশের জেলা ও উপজেলার লোকজন এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করার ফলে করোনাভাইরাস ছাড়ানো সম্ভবনা রয়েছে।তাই ওইসব সড়কের প্রবেশ পথে ব্যারিকেড দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এসব ব্যারিকেড পুলিশ প্রহরায় রাখা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর লক্ষ্মীপুর গ্রাম লকডাউন ঘোষনা
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা
করোনা সংক্রমন ঠেকাতে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামটিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লকডাউন ঘোষনা করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসে বেশ কয়েকজন মৃত্যুবরণ করায় স্থানীয় প্রশাসন ঢাকা ও নারায়নগঞ্জকে লকডাউন ঘোষনা করে। লকডাউনের নিয়ম ভেঙে নারায়নগঞ্জ থেকে অর্ধশতাধিক লোক পালিয়ে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে তাদের গ্রামের বাড়ী নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী সদরের লক্ষীপুর গ্রামে চলে আসে। তারা হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে গ্রামের এ বাড়ী সে বাড়ী ও স্থানীয় হাট বাজারে ঘুরাফেরা করছে এ ধরনের সংবাদের ভিত্তিতে খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে মাইকিং করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লক্ষীপুর গ্রামটিকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য লকডাউন ঘোষনা করেন।
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমিত নারায়ণগঞ্জ থেকে অর্ধশতাধিক শ্রমিক গত মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে সেখান থেকে পালিয়ে লক্ষীপুর গ্রামে চলে এসেছে। তারা হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে স্থানীয় বাজারসহ এলাকায় অবাধে ঘুরাফেরা করছে। তাদের মাঝে যদি কারো শরীরে করোনা ভাইরাস থেকে থাকে, তা যেন ঘোটা হাওরাঞ্চল এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্যই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে লক্ষীপুর গ্রামটিকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। এখন থেকে এ গ্রামটিকে নিয়মিত পুলিশী প্রহরায় রাখা হবে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন গ্রামে ঢুকতে অথবা বের হতে না পারে।
সাতক্ষীরায় মহিলাসহ দুইজন আইসোলেশনে, ৯১ জনের করোনা পরীক্ষা
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরায় ৯১ জনের মধ্যে ৮ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রেরণ করেছে আইইসিডিআর। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) বিকাল পর্যন্ত সিভিল সার্জন অফিসে পৌঁছানো রিপোর্টগুলোর সবই নেগেটিভ। এছাড়া, সাতক্ষীরায় ১৩ জন প্রাতিষ্ঠানিক করেন্টাইনে ও ৩,২০২ জন হোমকরেন্টাইনে রয়েছেন। মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের আইসোলেশনে এক মহিলাসহ দুইজন ভর্তি রয়েছেন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ পর্যন্ত জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় আইইসিডিআরে প্রেরণ করা হয়েছিলো। এরমধ্যে সদরের নায়ারণপুরে মারা যাওয়া কলেজছাত্রেরও নমুনা ছিলো। তবে, পরীক্ষায় তার রিপোর্টে নেগেটিভ পাওয়া গেছে। এনিয়ে সাতক্ষীরায় ৮ জনের রিপোর্টের ফলাফল নেগেটিভ। পর্যায়ক্রমে অন্যদের রিপোর্টগুলো পাওয়া যাবে।
তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত সাতক্ষীরায় কোনো করোনা রোগী শনাক্ত না হলেও আমরা ঝুঁকিতে আছি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন ট্রাক ভরে লোকজন আসছেন। এটি জরুরিভাবে বন্ধ হওয়া দরকার।
লকডাউনে নতুন ৬৩ জন যুক্ত, দক্ষিণাঞ্চলে হোম কোয়ারিন্টিনের সংখ্যা ৩ হাজার ২৮
বরিশাল ব্যুরো
অঘোষিত লকডাউন পালনে কড়্কড়ির মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ৬৩ জন যূক্ত হবার মধ্যে দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে হোম কোয়ারিন্টিনের সংখ্যা ৩ হাজার ২৮’এ উন্নীত হয়েছে। এসময় সুস্থ্যবস্থায় ১৭ জন চৌদ্দ দিনের হোম কোয়ারিন্টিন শেষ করেছেন। এর ফলে মোট কোয়ারিন্টিন শেষ করার সংখ্যা ৩ হাজার ২০’এ উন্নীত হয়েছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত বরিশাল ও পিরোজপুরে ১২ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিল। এর মধ্যে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ জন ও পিরোজপুর সদর হাসপাতাল আরো ১ রোগী নিবিড় পর্যবেক্ষনে রয়েছে। এদের সবার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল মেডিকেল কলেজ ও ঢাকায় আইইডিসিআর-এ পাঠান হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ‘কেভিডÑ১৯’ রোগী পাওয়া যায়নি বলে একাধীক সূত্রে বলা হয়েছে।
এদিকে গত বুধবার বরিশালে মেডিকেল কলেজে স্থাপিত পিসিআর মেশিনটি চালু হবার মধ্যে দিয়ে করোনা সন্দেহের রোগীদের রক্তের নমুনা পরিক্ষা শুরু হলেও এখান থেকে ফলাফল জানান হবে না । মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল বৃহস্পতিবার সেল ফোনে জানান, তারা রক্ত পরিক্ষা করে পুরো ফলাফল ঢাকায় আইইডিসিআর-এ পাঠাবেন। সেখান থেকে ফলাফল জানান হবে। বরিশালে প্রতিদিন ৯০টি রক্তের নমুনা পরিক্ষা সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবারও বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলে অঘোষিত লকডাউনে স্থবির ছিল জনজীবন। তবে বরিশাল মহানগরীর দুটি বাস টার্মিনালের মধ্যবর্তি মহাসড়ক সহ আরো কয়েকটি এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রনে বৃহস্পতিবার কিছুটা ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ করা গেছে।
চাঁদপুর জেলা লকডাউন ঘোষণা
চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার
করোনার ঝুঁকি মোকাবেলায় চাঁদপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা থেকে লকডাউন কার্যকর শুরু হবে। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাজেদুর রহমান খান বৃহস্পতিবার দুপুরে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ জারি করেন।
গণবিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসক বলেন, এতদ্বারা জেলার সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড) সংক্রামক ঝুঁকি মোকাবেলায় ’করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটি, চাঁদপুর’ এর সভার সিদ্ধান্ত ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনাক্রমে এবং ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) ২০১৮ এর ১১(১)(২)(৩) ধারা মোতাবেক’ চাঁদপুর জেলাকে অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করা হলো। এ জেলায় জনসাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সড়ক ও নৌপথে অন্য কোন জেলা হতে কেউ এ জেলায় প্রবেশ করতে বা এ জেলা হতে অন্য কোন জেলায় গমন করতে পারবে না। জেলার অভ্যন্তরে আন্তঃউপজেলা যাতায়াতের ক্ষেত্রেও একইরূপ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হবে।
এতে আরো বলা হয়, ‘সকল ধরনের গণপরিবহন, জনসমাগম পূর্বের ন্যায় বন্ধ থাকবে। তবে জরুরী পরিসেবা যেমন চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ ইত্যাদি এর আওতা বহির্ভুত থাকবে।’
‘জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ ০৯/০৪/২০২০ খ্রিস্টাব্দ তারিখ সন্ধ্যা ০৭.০০টা হতে কার্যকর হবে। আদেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় ৪০ জনসহ ১০৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা
কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় ৪০ জনসহ ১০৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এরা সবাই ঢাকা ফেরত। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে ৩৩০ জনের।
এছাড়া করোনা উপসর্গ থাকার সন্দেহে কুড়িগ্রাম জেলায় মোট ৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে দুই দিনে ৬ জনের রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। বাকীদের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: মো: হাবিবুর রহমান।
সিভিল সার্জন জানান, সম্প্রতি যারা ঢাকা থেকে ফিরে এসেছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। উপসর্গ থাকায় এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে দুই দিনে ৬ জনের রিপোর্ট এসেছে। ৬ জনের রিপোর্টই নেগেটিভ।
নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরা ৬ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা
গত ২৪ ঘন্টায় নারায়াণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফিরে আসা ১৩৬ জনের মধ্যে ৬ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বাকী ১৩০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রবেশ মুখ দ্বারিয়াপুর চেক পোস্ট থেকে এদের পিটিআই স্বাস্থ্য ক্যাম্পে নিয়ে পরীক্ষার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১৩৬ জনের মধ্যে রয়েছেন, সদর উপজেলার ৩২ জন, শিবগঞ্জ উপজেলার৭৭ জন, গোমস্তাপুর উপজেলার ১৭ ও ভোলাহাট উপজেলার ১০ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২১ জনের মধ্যে সদরের ৬ জন, শিবগঞ্জের ৯ জন ও গোমস্তাপুরের ৬ জন রয়েছেন।
এনিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২১ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১০ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
ঝালকাঠি শহরের প্রবেশের সবগুলো পথ বন্ধ
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় ঝালকাঠি শহরে প্রবেশের সবগুলো পথ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। বৃস্পতিবার সকালে বাস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, কলেজ মোড়, ব্র্যাক মোড় ও ফায়ারসার্ভিস মোড় এলাকায় বাঁশ ও চটি দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল বন্ধ করার জন্য এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন।
জানা যায়, দুই দিন ধরে পুলিশ বাঁশ ও চটি দিয়ে শহরের সবগুলো প্রবেশ পথ আটকে দিচ্ছে। তবে লঞ্চঘাট থেকে হাসপাতাল ও বাসস্ট্যান্ড বের হওয়ার একটি পথ খোলা রাখা হয়েছে। পুলিশের অনুমতি নিয়ে জরুরী প্রয়োজনে এ পথ থেকে অ্যাম্বুলেন্স ও যানবাহন যেতে পারবে। শহরে অঘোষিত লকডাউনের খবর পেয়ে মানুষ রাস্তায় কম বের হচ্ছে। যারাও বের হচ্ছেন, তাদের পড়তে হচ্ছে পুলিশের চোকপোস্টে। অনেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হলে, পুলিশ তাদের বাড়ি ফিরিয়ে দেয়।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন বলেন, আমরা মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে প্রবেশপথসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়েছি। একটি পথ শুধু খোলা রাখা হয়েছে, জরুরী প্রয়োজনের জন্য। মানুষের মধ্যে সচেতনতা আসতে শুরু করেছে। বিগত কয়েকদিনের চেয়ে আজকে (বৃহস্পতিবার) রাস্তায় মানুষের যাতায়াত কমেছে।
দিরাইয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে দুটি পাড়াকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা
দিরাই উপজেলা সংবাদদাতা
করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা ঠেকাতে ও নিজেদের মধ্যে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভার দুটি পাড়ার বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভার দিরাই সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রোড ও আরামবাগ রোডের যুবকরা স্বপ্রণোদিত হয়ে এ লকডাউনের ঘোষণা দেন।
জানা যায়, দিরাই সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রোড নিবাসী কাওসার সর্দার, প্রভাকর দাস, কানন, সনি কান্তি তালুকদার, রনি কান্তি তালুকদার, পারভেজ মিয়া, সাজু মিয়া, অনুপম দাস, নাজু, রাজিব, রুবেল, মৃদুল এবং আরামবাগ নিবাসি, দিরাই সাংবাদিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া হোসেন জোসেফের উদ্যোগে এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন সাবেক কাউন্সিলর ও দিরাই সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ইয়াহিয়া চৌধুরী, দিরাই সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি ইকবাল আহমদ, মিলাদ, মোঃ মোস্তাহার মিয়া মোস্তাক, জাকির, জোহান, নূরে আলম, সাজু, লিমন, ইফতি প্রমুখ।
এদিকে আরামবাগের লকডাউন এলাকা পরিদর্শন করেছেন দিরাই পৌরসভার মেয়র মোঃ মোশাররফ মিয়া। তিনি এ মহতি কাজকে ধন্যবাদ দিয়েছেন বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।
দিরাইয়ে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফি উল্লাহ এ প্রতিবেদককে জানান, এখন পর্যন্ত দিরাইয়ে কেউ আক্রান্ত হয়নি, পরিস্থিতি এখনও ভালো আছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দিরাইয়ে ব্যক্তিগতভাবে দুটি পাড়ার লোকজন লকডাউন দিয়েছে, এতে কোন সমস্যা নেই।
যশোরে হাসপাতাল আইসোলেশনে ৮ ও কোয়ারেন্টাইনে ১৬, হোম কোয়ারেন্টাইনে মোট ২৬৩৪
যশোর ব্যুরো
যশোরে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত সর্বশেষ করোনভাইরাস পরিস্থিতি হাসপাতাল আইসোলেশনে ৮, হাসপাতাল কোয়ারেন্টাইনে ১৬ ও হোম কোয়ারেন্টাইনে ২৬৩৪জন। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, করোনাভাইরাস সন্দেহভাজন মোট ৬৮জনের তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে আইইডিসিআরে। এর মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া গেছে মো ২৮জনের। যাদের করোনা নেই।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান, সরকারি সিদ্ধান্ অনুযায়ী ভারত প্রত্যাগত সবার ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। এ পর্যন্ত কোয়ার্টোইনে রয়েছে ৬২জন। এর মধ্যে ১৬জনকে বুধবার রাতে বেনাপোল থেকে যশোর ২৫ কেড হাসপাতাল কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে। এদের বেশীরভাগই ভারতে ক্যান্সারের চিকিৎসা শেষে ফিরেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন