দীর্ঘ ৪৯ বছর পরে পবিত্র লাইলাতুল বরাতের রাতে ঘরে বসেই এবাদত বন্দেগী করবে দক্ষিণাঞ্চলের মুসুল্লীয়ানগন। ১৯৭১-এ মূক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সন্ধার পরে ঘর থেকে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এ অঞ্চলের বেশীরভাগ মানুষ যার যার ঘরে বসে শবেবরাতের এবাদত বন্দেগী করেছিলেন। আর এবার করোনা ভাইরাসের কারনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকলকে ঘরে বসেই লাইলাতুল বরাতের এবাদত বন্দেগী করতে হচ্ছে।
অন্যান্য বছরগুলোতে পবিত্র শবে বরাতে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ হত ফরিদপুরের বিশ^ জাকের মঞ্জিলে। সারা দেশ থেকে কয়েক লাখ ধর্মপ্রান মানুষ এ দরবারে সমবেত হয়ে মাগরিব থেকে ফজর নামাজ পর্যন্ত ওয়াক্তিয়া নামাজ ছাড়াও নফল নামাজ আদায়, ফাতেহা শরিফ, খতম শরিফ পাঠ সহ পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে শরিক হতেন। ফজর নামাজ বাদ ফাতেহা শরিফ ও খতম শরিফ আদায়ন্তে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং পুনরায় ফাতেহা শরিফ পাঠন্তে বিশ^ জাকের মঞ্জিলের পীর ছাহেব হজরত মাওলানা শাহসুফি খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের রওজা শরিফ জিয়ারতের মাধ্যমে শবে বরাতের কার্যক্রম সম্পন্ন হত। এবার সর্বত্রই ভিন্ন চিত্র।
বরিশালে চকবাজার জামে এবাদুল্লাহ মছজিদ সহ বিভিন্ন মসজিদে শবে বরাতের রাতে বিশাল জামাতে নামাজ আদায় ছাড়াও মিলাদ, জিকির ও দোয়া অনুষ্ঠিত হত। এবার সর্বত্রই হা হা শূণ্যতা। তবে বিশ^ জাকের মঞ্জিল সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন দরবার শরিফ থেকে সকল মুমিন মুসলমানকে ঘরে বসে বেশী করে বেশী বেশী করে এবাদত বন্দেগী করার আহবান জানান হয়েছে। সবাইকে বেশী করে তওবা সহ মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীনের কাছে পনাহ চেতেও অনুরোধ করেছেন বিভিন্ন বুজুর্গানে দ্বীন।
জামে এবাদুল্লাহ মছজিদের খতিব আলহাজ হজরত মাওলানা মির্জা নুরুর রহমান বেগ ছাহেব পবিত্র লাইলাতুল বরাতের রাতে মহান আল্লাহর এবাদতে সবাইকে বিশেষভাবে মনোনিবেশ করার অনুরোধ করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন