শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

যশোর হাসপাতালে ওসির স্বামীর বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ

‘পুলিশ এতো সেবা দিচ্ছে, অথচ সেবা পেল না পুলিশ পরিবার’

বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫০ পিএম

‘পুলিশ এতো সেবা দিচ্ছে অথচ পুলিশ পরিবারের সদস্যের বিনা চিকিৎসায় মত্যু হলো’-যশোর হাহপাতালে স্বামীর লাশ নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এ অভিযোগ তুললেন নারী ওসি রোকসানা খাতুন। তিনি বলেছেন, ডাক্তার নার্সদের অবহেলায় তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ছটফট করলেও অক্সিজেন পর্যন্ত দেয়া হয়নি। নারী ওসি কেঁদে বলেছেন, ‘এই শুনছো, তোমার মেয়ে নিয়ে এখন আমি কী করবো? তোমার মেয়ে একা একা খায় না তুমি ছাড়া। এই ডাক্তাররা কোনো ট্রিটমেন্ট দিলো না। পুলিশ এতো সেবা দিচ্ছে অথচ পুলিশ পরিবার আজকে সেবা পেল না।’
নারী ওসি নড়াইলের নড়াগাতি থানার। স্বামী পাবনার সুজানগরের আহসানুল হক (৫০)। থাকতেন যশোর কোতয়ালি মডেল থানা স্টাফ কোয়ার্টারে। চাকরি করতেন বেনাপোলের রেলওয়েতে। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সকালে তার বুকে ব্যাথা হয়। একজন পুলিশ সদস্য তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৭টা ৩০মিনিটে নেয়। হাসপাতালে ইমারজেন্সী মেডিকেল অফিসার দ্রæত তাকে করোনারীতে পাঠান ৭টা ৩৫মিনিটে। ৮টা ২০মিনিটে তিনি মারা যান।
ওসি রোকসানা খাতুন বুকের ব্যাথা ও শ্বাসকষ্টের রোগীর অক্সিজেন না দেয়ার অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘তারা কিছুই করেনি। তারা ওয়ার্ডে রেখে চলে গেছে। রোগীর কাছে কোনো ডাক্তার, নার্স বা কোনো আয়া ছিল না। আমার দুনিয়াডা অন্ধকার করে দিলো তাদের অবহেলা।’ তার কথা, ‘আমার ছোট বাচ্চা। সে (স্বামী) হাসপাতালে আসতে ভয় পায়। আমার স্বামী হাসপাতালে আসার আগে বলছিলো ‘সবাই আমাকে করোনা রোগী ভাববে।’ আমি বলেছি, ‘যা ভাবে ভাবুক। তুমি যাও।’ বললো ‘ডাক্তাররা আমারে কোথায় ফেলায় রাখবেনে।’ আমি কই, ‘না ডাক্তাররা ফেলায় রাখবে না।’ কয়, ‘তুমি ফোন করো, ফোন করো।’ আমি বলে দিছি, তারপরও কোনো ডাক্তার আসেনি। একটি ইমারজেন্সী রোগীকে আইসিইউতে না নিয়ে কীভাবে ওয়ার্ডে ফেলে রাখে? ডাক্তার আইছে পরে। এসে দেখাচ্ছে যে, আমরা অক্সিজেন দিছি, এ দিছি, সে দিছি। কিচ্ছু না। কীভাবে একটা মানুষকে বিনা চিকিৎসায় মারে?’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, চিকিৎসায় কোন অবহেলা হয়নি। হাসপাতালের সুপার ডা. দীলিপ কুমার রায় বলেছেন, তিনি কার্ডিয়াক অ্যাটাকে মারা যান। করোনারীর ডা. সোহান তাকে চিকিৎসা দেন। রোগীর ছটফটের কারণে ইসিজি পর্যন্ত করা যায়নি। নার্সরা অক্সিজেন দেয়নি কেন বিষয়ে তিনি বলেন অক্সিজেন গ্রহণের অবস্থা ছিল না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (13)
Mijanur Rahman ১১ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৩ এএম says : 0
হে আল্লাহ বোনটিকে ধৈর্যধরনের তৌফিক দেন আর আপনি বোনটির অলি হয়েযান
Total Reply(0)
Nazera Zahir Chowdhury ১১ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৪ এএম says : 0
Now a days police patratiosom and respect for people really high. So every body should respect them .
Total Reply(0)
Mojibur Rahman ১১ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৪ এএম says : 0
আজ পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয় কথা মিথ্যা নয় | কিন্তু একমাস পূর্বে ও কি এমন ছিল?? আল্লাহ্ ন‍্যয় বিচারক কোন সন্দেহ নাই |
Total Reply(0)
Dipu Hasan ১১ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৪ এএম says : 0
আমাদের দেশের ডাক্তার বাবুরা বর্তমানে রোগি দেখলে পালানোর প্রতিযোগিতা করছে
Total Reply(0)
Sohel Sarker ১১ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৬ এএম says : 0
Bangladeshi Doctors are more powerful alien in the earth. They don't care politicians, judgement, police and people's of Bangladesh. So we can't do anything in this regard...
Total Reply(0)
Bulbul Khan ১১ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৬ এএম says : 0
একজন সরকারি কর্মকর্তার এ অবস্থা হলে সাধারন জনগনের কি অবস্হা হচ্ছে।
Total Reply(0)
Md. Rayhanul Islam ১১ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৭ এএম says : 0
যারা মারা যাচ্ছে তারা সবাই বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। কারণ এর চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিস্কার হয় নি। যদি কেউ চিকিৎসা পায় তাহলে তা ভূল চিকিৎসা। হায়াত থাকলে বাচবে না থাকলে কেউ তাকে বাঁচাতে পারবে না...
Total Reply(0)
Shahanur Islam Rana ১১ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৭ এএম says : 0
ডাক্তার রাহাত যে কসাই এদেরকে এবার চেনা যাবে এরা কি রকম ছাগল দুর্যোগ মোকাবেলায় ম্যাক্সিমাম ডাক্তার হাসপাতাল ক্লিনিক সবকিছু ছেড়ে পালিয়েছে এদের ব্যবস্থা একদিন হবেই এই বাংলার মাটিতে যদি দুনিয়া ঠিকঠাক ভাবে চলতে থাকে
Total Reply(0)
Kazi Delower Hossain ১১ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৭ এএম says : 0
একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্বামী যদি বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। তাহলে দেশের সাধারণ মানুষের কপালে কি দুর্গতি তা সহজেই অনুমেয়।
Total Reply(0)
Sikder Sahid ১১ এপ্রিল, ২০২০, ২:৫৮ এএম says : 0
পুলিশের স্বামীর সংসার আজ বিপন্নতায় তাতে আমি নিজেও মর্মাহত দোয়া করি মহান আল্লাহ ভাইয়াকে জান্নাতুল ফেরদাঊসের উচ্চতর মর্যাদা দান করুন,আমীন। আমি অসি ভোনকে বলবো আপনি কি সত্যি জানেন না? আপনার প্রশাসন কিভাবে সাধারণ মানুষগুলোকে অন্যায়ভাবে নির্যাতন করে সরকারের পাচাটা গোলামের মত? আজ আপনার মনে অনেক ব্যথা লুকিয়ে আছে,হয়তো আপনি আরেকটি বিয়ে করে নিজেকে পুষিয়ে নেবেন। ভোন একটি বার চিন্তা করেছেন? আল্লাহ ন্যায় বিচার! মহান আল্লাহ আপনাকে উত্তম সিদ্ধান্ত নিতে তাওফিক দান করুন। আপনার মত বর্তমান অনেক আমার বোনেরা অসহা, শুধু আল্লাহর নিকট বিচার দিচ্ছে।
Total Reply(0)
এসো ইসলামের পথে ফিরুজ হোছাইন ১১ এপ্রিল, ২০২০, ৩:২৬ এএম says : 0
কঠিনবিচারচাই
Total Reply(0)
shohidul islam ১১ এপ্রিল, ২০২০, ৮:১০ এএম says : 0
যেখানে একজন পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যর এই অবস্থা হয়।থাহলে আমাদের মত সাধারণ মানুষের কী হবে,একবারও কী কেহ ভাবছেন। যে দেশে করোনা সন্দেহে রোগী না দেখেই রোগীক মিত্থুর দিকে ঠেলে দেয় । না হোক এই রোগ যদি ব্যাপক হারে দেখা দেয় থাহলে কী হবে জনগনের,আর ডাক্তারে কী ভুমিকা কী হবে তার প্রতিফলন আমরা সকলে দেখছি
Total Reply(0)
Jahir Laskar ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৫৩ এএম says : 0
পুলিশ শ্রেণির হয়েও সেবা পায় না। শুধুই ভাবছি আমার মত রুগীদের ক্ষেত্রে কপালে কি না জানি ঘঠবে! হায় বাংলাদেশ! মুসলিমের দেশ!
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন