ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে নারায়নগঞ্জ ও ঢাকায়। জেলাদুটিতে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ইতিমধ্যে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। জেলাগুলোতে চলছে লকডাউন। কিন্তু এতো কড়াকড়ির মধ্যেও বেশি আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ময়মনসিংহের ফুলপুরে আসছেন লোকজন। অটোরিকশা, সিএনজি, ট্রাক এমনকি দীর্ঘ রাস্তা পায়ে হেঁটে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে উপজেলাটির বিভিন্ন গ্রামে ঢুকছেন তারা। এসব লোকজন নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও ফুলপুর স্বাস্থ্যবিভাগের মাঝে অস্বস্তি বিরাজ করছে। স্থানীয়রাও পরিবার পরিজন নিয়ে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে আতঙ্কের মাঝে আছেন। এসব লোকজন মানছেনা সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি।
সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে, উপজেলার রুপসী, বালিয়া, পয়ারি, ভাইটকান্দি, সিংহেশ্বর, ছনধরা, ফুলপুর এবং রহিমগঞ্জসহ বিভিন্ন অঞ্চলের হাজার হাজার লোকজন নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার গার্মেন্টস ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করেন। গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত লকডাউনের মধ্যেই শ্রমিকরা নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করে। স্থানীয় প্রশাসন করোনা মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানে থাকলেও নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা ফেরতদের কারণে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে নতুন করে উপজেলায় সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, উপজেলার রুপসী, পয়ারি, ভাইটকান্দি, সিংহেশ্বর এবং ছনধরাসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা জেলা থেকে ফেরা লোকজনের খোঁজ-খবর নিচ্ছে ফুলপুর থানার পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে তাঁদের ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন ।স্থানীয় প্রশাসনও তাঁদের কে খোঁজে বের করছেন। নারায়ণগঞ্জ কঠোর লকডাউন থাকা পরও যারা ফুলপুরে এসেছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ফুলপুর সরকারি কলেজ রোড, দিউ গ্রাম, ভাইটকান্দি ইউনিয়নের জারুয়া গ্রাম, শ্যামপুর গ্রাম, রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের মাটিচাপুর গ্রাম, সাহাপুর টু কুঁড়েরপাড় রোড ও সিংহেশ্বর ইউনিয়নের মোকামিয়া, রূপসী ইউনিয়নের পাগলা গ্রামসহ বেশ কিছু এলাকা স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে সেচ্চায় লকডাউন করে দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছায় লকডাউন করে এসব এলাকায় বাহিরের কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেনা এবং এখান থেকে কাউকে বাহিরে যেতে দিচ্ছে না।
ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন বলে জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন