শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লকডাউন, আইসোলেশন এবং হোম কোয়ারেন্টিন ১২ এপ্রিল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২০, ৯:২১ এএম | আপডেট : ৫:২৫ পিএম, ১২ এপ্রিল, ২০২০

 

ঈশ্বরগঞ্জে ১নারী করোনায় আক্রান্ত আঠারবাড়ী ইউনিয়ন লকডাউন
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক গার্মেন্স নারী কর্মী (২২) করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। জানা যায় ওই নারী নারায়নগঞ্জে একটি গার্মেন্সে চাকুরি করতেন। গত ৭এপ্রিল তার গ্রামের বাড়ী উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর বনগাঁও গ্রামে আসে। ১১ এপ্রিল শনিবার তার করোনার পরীক্ষার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সেম্পল সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। রোববার ওই ব্যক্তির দেহে করনো ভাইরাস সনাক্ত হওয়ায় উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়ন লকডাউন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ডাঃ নূরুল হুদা খান।

সিলেটে হোম কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২৯১ জনে
সিলেট ব্যুরো
গত ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে আরো ২৯১ জনকে নেয়া হয়েছে হোম কোয়ারেন্টিনে। গত কয়েকদিনের পরিসংখ্যানের তুলনায় হোম কোয়ারেন্টিনের এ সংখ্যা উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে রাখাদের মধ্যে সুনামগঞ্জে ২৬০ জন, হবিগঞ্জে ২৯ এবং মৌলভীবাজারে ২ জন রয়েছেন। এই সময়ে সিলেট জেলায় নতুন করে কাউকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়নি। এরআগে শনিবার হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয় ৭০ জনকে, শুক্রবার নেয়া হয় ৪০ জনকে এবং বৃহম্পতিবার নেয়া হয়েছিল ১৪৮ জনকে। আর এই ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে সিলেট বিভাগে কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ১৪ জনকে। ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন তারা। আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পাওয়াদের মধ্যে সিলেটে ১১ জন ও ৩ জন রয়েছেন সুনামগঞ্জের ।

নীলফামারীর ডিমলায় এক ব্যক্তির করোনা পজেটিভ, ১৪ বাড়ি লকডাউন
নীলফামারী সংবাদদাতা
করোনা ভাইরাস সংক্রামন রোধে লকডাউন নীলফামারীতে আরো এক ছাত্রকে(১৭) আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তির করোনা পজেটিভের রির্পোট হাতে পায় স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে জেলাতে কোভিট-১৯ করোনা রোগীর সংখ্যা তিনজনে দাঁড়ালো।
জানা যায়, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্র। সে এবার এসএসপি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকার গাজিপুরে গিয়ে একটি বাড়িতে কেয়ারটেকার কাজ নিয়ে সেখানে অবস্থান করতো। গত ৬ এপ্রিল সে গাজিপুর থেকে নিজ এলাকায় ফিরে এসে করোনার উপসর্গের কবলে পড়ে। স্বাস্থ্য বিভাগ গত ৯ এপ্রিল ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তার মধ্যে ওই ছাত্র ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে রির্পোট আসলে ১১জনের মধ্যে শুধুমাত্র ওই ছাত্রের রির্পোটে পজেটিভ পাওয়া যায়। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন, উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে জানানো হলে এ্যাম্বুলেন্সে ওই যুবককে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন। পাশাপাশি ওই গ্রামের ১৪টি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়।
উল্লেখ যে, এর আগে গত ৭ এপ্রিল নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঢাকা থেকে আসা একজন চিকিৎসকের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়লে হাসপাতালটি অবরুদ্ধ করা হয়। অপরদিকে গত ৯ এপ্রিল নারায়ানগঞ্জ হতে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে আসার পর করোনা ভাইরাস আক্রান্তে হয় এক শ্রমিক।

ইতালি ফেরতের মৃত্যুতে আতঙ্ক, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়ন বিশেষ লকডাউন
নোয়াখালী ব্যুরো
সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ইতালী প্রবাসী মোরশেদ আলম (৪৫) সর্দি, জ¦র ও শ^াসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার পর তার করোনা উপসর্গ পরীক্ষায় পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে।

ওই প্রবাসীকে চিকিৎসা দেওয়া নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও তার পরিবারের সদস্যদেরও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এমনকি মৃত মোরশেদ আলমের জন্মস্থান সোনাপুর ইউনিয়নকে বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে ওই গ্রামের কেউ বের হতে পারছে না। এমনকি মৃতের ঘটনায় সোনাইমুড়ি উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শনিবার দুপুরে ওই প্রবাসীর করোনা রিপোর্ট প্রজেটিভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস। এরআগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে নিহতের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর। নিহত মোরশেদ আলম উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিম চাঁদপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে।

নিহতের স্বজন আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মোরশেদ আলম গত ৫নভেম্বর ইতালি থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন। এরপর কয়েক দফায় তার বিদেশ ফেরত বন্ধুদের সাথে দেখা করতে সে ঢাকা গিয়েছিলেন। এছাড়াও ইতালি দ্রুতাবাসে গিয়েছিল কয়েক বার। গত ১০-১২দিন আগ থেকে সে সর্দি ও জ¦রে ভুগছিলেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, গত বুধবার বিকালে ইতালি প্রবাসী মোরশেদ আলম বুকে ব্যাথা বলে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিল। তার শারীরিক অবস্থা দেখে তাকে প্রথমে একবার এক্সরে ও পরে দ্বিতীয় দফায় এক্সরে করা হয়। এক্সরে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে ওই ওয়ার্ড থেকে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। তার ফুসফুস তখনই সঠিক ভাবে কাজ করছিল না। পরবর্তীতে তাকে রাতেই ঢাকা নেওয়ার জন্য পরমার্শ দেওয়া হলেও তার পরিবারের লোকজন বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, ওই প্রবাসীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া তিন চিকিৎসক, দুই নার্স ও হাসপাতালের দুইজন স্টাফকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ৮নং ওয়ার্ডের আশপাশের সকল রোগীকে নিরাপদে সরিয়ে রাখা হয়েছে।

 করোনায় চট্টগ্রামে আরো ৮ বাড়ি লকডাউন

চট্টগ্রাম ব্যুরো
করোনায় চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা আরো আট বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। বাড়ির বাসিন্দাদের হোমকোয়রেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
নগরীর পাহাড়তলীতে এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্তের পর ওই এলাকার পাঁচটি ভবন লকডাউন করা হয়েছে শনিবার রাতে ।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈনুর রহমান জানান, এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর পাহাড়তলী থানার সিডিএ মার্কেট এলাকার ৫টি ভবন লকডাউন করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি যাদের সংস্পর্শে গেছেন তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে ।
একই সময়ে সাতকানিয়ার পশ্চিম ডেমশার একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া বৃদ্ধের নমুনায় সংক্রমণ পাওয়া যাওয়ার পর এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বৃদ্ধের বাড়ির লোকজন, চমেক হাসপাতালের কয়েক জন নার্সকে হোমকোয়রেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে শুক্রবার নগরীর ফিরিঙ্গি বাজারে করোনাভাইরাস সনাক্ত হওয়া কাঠ ব্যবসায়ীর দুই কর্মচারীর ফটিকছড়ির বাড়ি লকডাউন করে তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে সনাক্ত নয় জনের কারণে অর্ধশতাধিক বাড়ি এবং বেসরকারি একটি ব্যাংকের শাখা, একটি সুপার শপ লকডাউন করা হলো।

গত ২৬ মার্চ থেকে চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিতে করোনা ভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় এ প্রতিষ্ঠানে।

চট্টগ্রামে মৃত ব্যক্তির নমুনায় করোনা সনাক্ত : বাড়ি লকডাউন
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়ায় মৃত এক ব্যক্তির নমুনায়  করোনাভাইরাস শনাক্তের পর তার বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরে আলম জানান, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মারা যাওয়া বৃদ্ধের  উপজেলার পশ্চিম ডেমশার বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।দাফনসহ অন্য কাজে জড়িতদের কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম  জানান, সাতকানিয়ার ওই ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আসার পথে মারা যান। তার করোনা উপসর্গ থাকায় চমেক হাসপাতালে লাশ আনার পর তার নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয় । হাসপাতালে যেসব ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হবে।
মৃত ব্যক্তি ছাড়াও চট্টগ্রাম এবং লক্ষ্মীপুর জেলায় আরও দু’জন আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মৃত একজনসহ করোনায়া আক্রান্ত নয়জন রোগী পাওয়া গেছে।
শনিবার  চট্টগ্রামের ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকসাস ডিজিজেজ- বিআইটিআইডিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে সংগ্রহ করা ৭৯ জনের
নমুনা পরীক্ষায় তিনজনের সংক্রমণের বিষয়টি শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার করোনাভাইরাস সনাক্ত করণ পরীক্ষায় এ পর্যন্ত ৫৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রুগি সনাক্ত, কয়েক বাড়ি লকডাউন
লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দাসপাড়া গ্রামে কোতয়াল বাড়ীর ঢাকা থেকে আসা খোরশেদ আলম(৩২) নামের গার্মেন্টস কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার রাত ১০টায় বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার লোকজনদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি বাড়ী লকডাউন করা হয়ছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ঐ ব্যাক্তি ঢাকার একটি গার্মেন্টকর্মী।
গত কয়েকদিন পূর্বে অসুস্থ অবস্থায় সে বাড়ীতে আত্মগোপন করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিষয়টি ৬/৭দিন আগেই রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতাল কতৃপক্ষকে জানালেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

সিভিল সার্জন ডাক্তার আবদুল গফফার জানান, সম্প্রতি ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে চট্রগ্রামের বিআইটিআইডি তে পাঠানো হয়েছে। নমুনার ফলাফল পজেটিভ আসে। তিনি এতোদিন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এখন তাকে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর বাড়ী এলাকায় লকডাউন করা হয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন