করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘন্টায় ১১ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নিউইয়র্কেই মারা গেছে ১০ জন। এ নিয়ে করোনা মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে ১২২ জন বাংলাদেশি মারা গেলেন। এছাড়া দেশটিতে কমপক্ষে আরও তিন শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি করোনাভারাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নিউইয়র্কের বাসিন্দা।
জানা গেছে, শনিবার নিউইয়র্ক শহরেই করোনাভাইরাসে দুই নারীসহ সাত বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। তারা হলেন- পুলিশের ক্যাপ্টেন খন্দকার আব্দুল্লাহর বাবা খন্দকার সাদেক, নিউইয়র্ক ট্রাফিক পুলিশের সদস্য জয়দেব সরকার (৫৫), শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কর্মকর্তা খন্দকার মোসাদ্দেক আলী, আসাদুজ্জামান লালা, দেওয়ান আফজাল চৌধুরী, শারমীন আহমেদ চৌধুরী নীলা (৫২), ষাটোর্ধ্ব আজিজুন্নেসা।
এ ছাড়া নিউইয়র্কের আপস্টেট বাফেলো সিটিতে মারা গেছেন আরও দুজন। তারা হলেন- মোহাম্মদ জাকির (৩৮) ও সামসুস জহির (৪০)। অপরদিকে নিউইয়র্ক সিটির পাশের শহর লং আইল্যান্ডের বাসিন্দা সিলেটের একটি চা বাগানের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার এ জামান (৭০) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। একইদিন নিউইয়র্কের বাইরে মেরিল্যান্ডে প্রথম করোনায় মারা যান এক বাংলাদেশি চিকিৎসক। নাম ডা. আব্দুল মান্নান (৮০)।
নিউইয়র্কের এলমহার্স্ট হাসপাতালে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এক বাংলাদেশি বলেন, হাসপাতালটিতে এখন যত রোগী ভর্তি আছে, তার ৯৫ শতাংশই হচ্ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। প্রচুর রোগী মারা যাচ্ছে সেখানে। হাসপাতালটির চারপাশে প্রায় ১০ মাইল ব্যাসার্ধের এলাকার অধিকাংশই অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। বেশিরভাগ অভিবাসী সম্প্রদায়ের। তাদের জীবনযাপন বা চলাফেরা স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
এদিকে নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের নতুন বসতি আপস্টেটের বাফেলো সিটিতে করোনা আক্রান্ত দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন স্থানীয় মসজিদে তাবলিগ জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে এসে আক্রান্ত হন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন