কাপাসিয়া উপজেলায় গত শুক্র , শনি ও আজ রবিবার সহ -এ ৩ দিনে ৭ শ্রমিক সহ মোট ৯ জন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে । গত শুক্রবার দস্যু নারায়নপুর গ্রামের ছোয়া এগ্রো প্রোডাক্টসের এক শ্রমিকের দেহে প্রথম করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়।
পরে ৭৬ শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইসিডিডিআর - এ পাঠানো হয়।
পরের দিন শনিবার উপজেলার আরো দুই গ্রামে দু’জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের এক যুবক করোনায় আক্রান্ত হয় ।
আরেকজন ঘাগটিয়া ইউনিয়নের খিরাটি গ্রামের। সে গাজীপুর সিভিল সার্জন অফিসে কর্মরত।
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আবদুস সালাম সরকার জানান, উপজেলার রামপুর গ্রামের এক যুবক নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর এলাকা থেকে গত ৮ এপ্রিল গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। এ সময় তিনি জ্বর ও ঠান্ডা কাশি সহ করোনার উপসর্গে ভোগছিলেন বলে জানতে পেরে তার বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। শনিবার বিকেলে তার পজিটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে গাজীপুর সিভিল সার্জন অফিসে কর্মরত উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়নের খিরাটি গ্রামের এক যুবকের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত শুক্রবার ছোঁয়া এগ্রো প্রোডাক্টস লিমিটেডের এক শ্রমিকের দেহে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে কারখানার ৭৬ শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। নমুনা সংগ্রহ কারীদের মধ্যে ১২ এপ্রিল রবিবার ওই ছোয়া এগ্রো প্রোডাক্টসের ৬ শ্রমিকের দেহে করোনা ভাইরাস সনাক্ত করা কাপাসিয়ায় এ পর্যন্ত মোট ৯ জনের দেহে করোনা পাওয়া গেছে । পুরো কাপাসিয়ায় লকডাউন চলছে। শহরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং চলছে - ছোঁয়া এগ্রো প্রোডাক্টসের কোন শ্রমিক যাতে ঘরের বাইরে বের না হয়। সকল শ্রমিকদের হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন