শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রণোদনা বাস্তাবয়ন হলে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে : সিপিডি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ২:১৪ পিএম

করোনা ভাইরাসের আর্থিক ক্ষতি মোকাবেলায় সরকার বিভিন্ন খাতের জন্য যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে তা যথাযথ বাস্তবায়ন হলে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) ‘কোভিড-১৯ - সরকার গৃহীত পদক্ষেপ সমূহের কার্যকারিতা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও আয় নিরাপত্তাঃ সিপিডির প্রাথমিক বিশ্লেষণ ও প্রস্তাব’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ অভিমত দেন।

রোববার (১২ এপ্রিল) এক পূর্বাভাসে বিশ্ব ব্যাংক’র পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনা ভাইরারেস কারণে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিতে ধস নামতে পারে। এ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ থেকে ৩ শতাংশ।

বিশ্ব ব্যাংকের এই তথ্য তুলে ধরে বিষয়টি সিপিডি কিভাবে দেখছে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হল ফাহমিদা বলেন, এখন জিডিপির যে হিসাবগুলো করা হচ্ছে তা বৈশিক প্রেক্ষাপটে করা হচ্ছে। এটা করা হচ্ছে এক একটা সিনারিও’র (দৃশ্যপট) ভিত্তিতে। এই সিনারিওগুলো কিন্তু পালটাতে থাকবে। সেই সিনারিও’র প্রেক্ষিতে দেখা যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার মধ্যে পড়বে। বলা হচ্ছে এমন মন্দা হবে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হয়নি। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কি ধরনের প্রভাব পড়তে পারে তার ভিত্তিতে তারা (বিশ্ব ব্যাংক) হিসাবটা করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকার যে প্রণোদনাগুলো দিয়েছেন তার উদ্দেশ্য- অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা, চাহিদাকে চাঙ্গা রাখা, ব্যবসায়ীক কার্যক্রম সচল রাখা, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ধরে রাখা, এবং বাজারে সরবরাহ সচল রাখা। যাতে উপাদান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার মাধ্যমে বাজারে জিনিসপত্র থাকে এবং বাজরের জিনিসপত্র যেন মানুষ কিনতে পারে। প্রণোদনা কিন্তু এ জন্যই দেয়া হয়।

ফাহমিদা বলেন, পৃথিবীর অনেকে দেশে কিন্তু জিডিপির ১১-১২ শতাংশ, এমনকি ১৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা দেয়া হয়েছে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য। সুতরাং আমরা মনেকরি সরকার যে প্রণোদনাগুলো দিয়েছে তা যথাযথ বাস্তাবায়ন করা হলে অর্থনীতিতে চাঙ্গাভাব দেখতে পারবো।

একই প্রশ্নের উত্তরে সিপিডির সম্মানিত ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, করোনা ভইরাস আঘাত আসার আগেই বাংলাদেশের অর্থনীতি একটা দুর্বল জায়গায় ছিল। রেমিটেন্স ছাড়া সব সূচকই ছিল নিম্নমুখী। সে রকম পরিস্থিতিতেই করোনা ভাইরারেস আঘাত এসছে। সুতরাং তুলনামূলক দুর্বল অবস্থানে থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এই আঘাতটাকে সহ্য করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির বড় শক্তির জায়গা ৮০-৮৫ শতাংশ অভ্যান্তরিন চাহিদার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ জন্য আমরা যে প্যাকেজটির কথা বলেছি, এর মাধ্যমে চাহিদাকে চাঙ্গা করতে পারবো এবং এটার মাধ্যমে সরবরাহ ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারবো। যেহেতু অভ্যান্তরিন চাহিদার ওপরে আমাদের অর্থনীতি বেশি নির্ভরশীল, সুতরাং এগুলো করতে পারলে অন্যান্য অনেক দেশের থেকে আমাদের এখানে স্বার্থক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সুতরাং আমরা ধকল কাটিয়ে উঠতে পারবো বলে মনে করি, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন