করোনার উপসর্গ গোপন করে হাসপাতালে ভর্তির এক ঘন্টা পর নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে ২২ বছর বয়সী এক রোগী। পলায়নের ১৩ঘন্টা পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে।
সোমবার দুপুরে পলাতক রোগীর নিজ বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ওই রোগীর বাড়ী বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ভানাবাড়িয়া গ্রামে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ১২টার দিকে ২২ বছর বয়সী ওই রোগী অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসেন। এ সময় তার স্বজনরা করোনার উপসর্গ গোপন করে বুকে ব্যথা বলে হাসপাতালে ভর্তি হন। জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা: ফজলে রাব্বী রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তার জ্বর, শ্বাসকষ্ট দেখতে পান। পরে তিনি তাকে হাসপাতালের ৯নং ওয়ার্ডে (করোনা ভাইরাস ওয়ার্ড) ভর্তি করেন। সেখানে এক ঘন্টা থাকার পর রাত ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্মচারীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় সে। বিষয়টি সোমবার সকালে হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকদের কাছে ধরা পড়লে তারা বিষয়টি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিমকে জানান।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সকালে ভর্তি রোগীর রেজিস্ট্রার থেকে ওই রোগীর নাম, ঠিকানা সংগ্রহ করে বেগমগঞ্জ পুলিশকে দেওয়ার পর দুপুরে তাকে আটক করা হয়। তাকে পুনঃরায় হাসপাতালে ভর্তি করার চেষ্টা করলেও সে রাতে হাসপাতালে এসে আরএমও এর সাথে কথা বলবে বলে হাসপাতাল থেকে চলে গেছে। ওই রোগীর শ্বাস কষ্টসহ করোনা কিছু উপসর্গ রয়েছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, জেনারেল হাসপাতাল থেকে রোগীর নাম, ঠিকানা পেয়ে সোমবার দুপুরে রোগীর বাড়ীতে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে আটক করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন