মানুষ যখন প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস আতঙ্কে স্বেচ্ছা-অনিচ্ছায় ঘরে বন্দি। অনেক জনপ্রতিনিধি আর বিত্তশালী যখন নিজের জীবনের নিরাপত্তার দুশ্চিন্তায় বাইরে বের হয়ে অবলোকন এবং অনুধাবন করতে পারছেন না গরিব-দু:খি-অসহায় মানুষের করুণ অবস্থা। ঠিক তখন বিবেকের তাড়নায় নিজের জীবনের নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী। করোনার এই ভয়াল পরিস্থিতিতে দিন নেই- রাত নেই, হরদম ছুটছেন নিজ এলাকার কষ্টে থাকা মানুষের হাড়ির খবর জানতে। যার উনুনে জ্বলছে না আগুন, যার ঘরে নাই দু’মুটো চাল-ডাল- দাঁড়াচ্ছেন তাদের পাশে। বাড়িয়ে দিচ্ছেন সহায়তার হাত।
তিনি নিজ উদ্যোগেও ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার ১০ হাজার কর্মহীন হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এক সপ্তাহ ধরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তিনি নিজেই হতদরিদ্র অসহায় মানুষের বাড়ি ঘুরে ঘুরে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন।
ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার তিনি দোয়ারাবাজার উপজেলার দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এর মধ্যে বাংলাবাজার ইউনিয়নের হাসপাতাল মাঠ নরসিংপুর ইউনিয়নের বাজার সংলগ্ন মাঠসহ বিভিন্ন গ্রামে তিনি নিজে গিয়ে সবমিলিয়ে ১হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন ।
এদিকে, এই দুর্দিনে জনদরদি মিজান চৌধুরী সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় গরিব, দু:খি ও অসহায় মানুষরা তার জন্য করছেন অন্তরের অন্তস্থল থেকে অনবরত প্রার্থনা। করোনার কারণে বিপদে পড়া মানুষজন বলছেন- প্রত্যেক এলাকায় যেন মিজান চৌধুরীর মতো ভালো এবং উদার মনের মানুষের জন্ম হয়। সহায়তা পাওয়া মানুষজন বলছেন- মিজান চৌধুরীর জন্য আমরা অনেকটাই কম কষ্টে আছি। আল্লাহ যেন তাকে দুনিয়া-আখেরাতে এর উত্তম প্রতিদান দেন।
উপহার সামগ্রী বিতরণকালে মিজান চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাস বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। মানুষ খাদ্য সঙ্কটে ভোগছে। বিশেষ করে সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারার দিনমজুর, রিকশাশ্রমিক ও খেঁটে খাওয়া মানুষ আজ খুব কষ্টে আছেন। তাদের কষ্ট দেখে আর ঘরে বসে থাকতে না পেরে বিবেকের তাড়নায় নিজের জীবনের নিরাপত্তার কথা না ভেবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদরে ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সকল বিত্তবানদের প্রতি উদাত্ব আহ্বান, আপনারাও এভাবে গরিব-অসহায়দের পাশে দাঁড়ান।
মিজান চৌধুরী সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যার ঘরে খাদ্য নাই, তার খাবার নিশ্চিত করুন। মানুষ এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা পাচ্ছে না। প্রতিটি মানুষের চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করুন। জনগণকে ভালো রাখুন, আপনিও ভালো থাকবেন। জনগণ কষ্টে থাকলে আপনার ভালো থাকার স্বার্থকতা নেই।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে দোয়ারাবাজার উপজেলার বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক হেলাল মিয়া,খোরশেদ আলম, উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য শামসুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য, উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা লয়লুছ খান, নুর আলী ইমরান, আব্দুল মোতালিব ভুইয়া, যুবদল নেতা এ এস এমন নোমান, আব্দুর আজিজ, মকবুল হোসেন, সানোয়ার হোসেন ও উপজেলা,ইউনিয়ন, ওয়াড বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন