সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

এবার তালওয়াশের ম্যাচ উইনার সাকিব

প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : ২০১৩’র ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (সিপিএল) কি অভিষেকই না হয়েছিল সাকিবের। ৪-১-৬-৬, এমন বিস্ময় বোলিংয়ের পর সাকিব যেনো নিজেকে আর চেনাতেই পারছিলেন না টি-২০’র বিশ্বসেরা এই অল রাউন্ডার। চলমান আসরে ১ লাখ ১০ হাজার ডলারে জ্যামাইকা তালওয়াশে বিক্রি হয়েও পাদ প্রদীপের আলোয় আসতে পারেননি প্রথম ৪ ম্যাচে। ওই ম্যাচ ৪টিতে শিকার সংখ্যা মাত্র ২টি, রান সেখানে ৩২। এওয়ে ভেন্যুতে গায়ানা আমাজন ওরিয়ার্সের বিপক্ষে ২৫ রানের ইনিংসেও দলকে পারেননি জেতাতে। আগের দুই জয়ে অবদান রেখেছেন ঠিকই, তবে আসতে পারেননি আলোচনায়। বৃষ্টিতে ক্যারিয়ারের ২০০তম টুয়েন্টি টুয়েন্টি ভেসে যাওয়ায় আক্ষেপ রেখেছিলেন পুষে। অবশেষে গেইল, সাঙ্গাকারাদের মতো টি-২০ স্পেশালিস্ট টীমমেটদের ছাড়িয়ে জ্যামাইকা তালওয়াশের ম্যাচ উইনার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন সাকিব।
গত পরশু জ্যামাইকার হোম গ্রাউন্ডে কি দুঃসহ পরিস্থিতিতেই না পড়তে হয়েছিল জ্যামাইকা তালওয়াশের। গায়ানা আমাজন ওরিয়র্সের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে ১২৯ চেজ করতে এসে ২ পেস বোলারের (সোহেল তানভীর, আলী খান) তোপে ছিন্নভিন্ন তালওয়াশ স্কোরশিটে ২ রান উঠতে হারিয়েছে ৪ উইকেট! এমন পরিস্থিতিতে লোয়েস্ট স্কোরের লজ্জা এড়ানো যখন দূরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন এক এন্ড আগলে রেখে এই দলটিকেই কিনা জয়ের বন্দরে পৌছে দিয়েছেন সাকিব। ২৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতে করেছে সাকিবের দল অসাধ্য সাধন। তার পুরো কৃতিত্ব সাকিবের।
ইনিংসের প্রথম ওভারে তিন ব্যাটসম্যান এবং দ্বিতীয় ওভারে সাঙ্গাকারা উইকেট দিয়ে আসায় যে মহাদূর্যোগে পড়েছে জ্যামাইকা তালওয়াশ, সেখান থেকে আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে ৫ম জুটিতে ৪৩ রানের পার্টনারশিপে ম্যাচে ফেরার সাহস পেয়েছেন সাকিব। অবশিষ্ট দায়িত্ব পালন করেছেন এই বাঁ হাতি ওপেনিং থেকে ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা গেইলকে নিয়ে ৬৫ বলে ৮৭ রানের অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপে নেতৃত্ব দিয়ে। সিপিএলে এটাই আবার ৫ম জুটির রেকর্ড।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই সাকিব চড়াও হয়েছেন সোহেল তানভীরের উপর, তৃতীয় ওভারে পর পর ২ বলকে করেছেন সীমানা ছাড়া। যার মধ্যে একটি ওয়ান বাউন্স বাউন্ডারি! ৬ষ্ঠ ওভারে একটু বেশিই বাগে পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে খেলতে আসা পেসার আলী খানকে। টুয়েন্টি-২০ অভিষেকে সাঙ্গাকারার উইকেটে রোমাঞ্চিত এই পেস বোলারকে পাড়া মহল্লা মানের বোলারে নামিয়ে এনেছেন সাকিব, মেরেছেন ওই ওভারে ৩টি বাউন্ডারি! যার মধ্যে প্রথম ২ বলে পর পর চার। পেস বোলার ডুয়াইন স্মিথ, রায়াদ এমরিত কেউ বাদ যাননি সাকিবের আগ্রাসী ব্যাটিং থেকে। টুয়েন্টি-২০ ক্যারিয়ারে ১৪তম ফিফটি উদযাপনের দিনে ৪৭ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৫৪ রানের হার না মানা ইনিংসে মাতিয়েছেন সাকিব স্যাবাইনা পার্ক। আলী খানকে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কায় দলের উইনিং শটটি নিয়েছেন গেইল। ২৯ বলে ২ চার ৪ ছক্কায় ৪৫ রানের হার না মানা ইনিংসে গেইল শো দেখেছে স্বাগতিক দল। তবে এক এন্ড আগলে রেখে দলের জয়ে নেতৃত্ব দেয়া সাকিব পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ৩ বছর আগে ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো রেড স্টিলের বিপক্ষে বারবাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ৪-১-৬-৬ এ পেয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার, ৩ বছর পর জ্যামাইকা তালওয়াশের হয়ে অল রাউন্ড পারফরমেন্সে (১/২০ও ৫৪ নট আউট) পেলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
এই জয়ে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষে উঠে এলো সাকিবের জ্যাম্াইকা তালওয়াশ (৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট)। অন্যদিকে হেরেও পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে গায়ানা আমাজন ওরিয়র্স (৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন