রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

তরুণদের বিপথগামিতা থেকে ফেরাতে রাষ্ট্রে ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন -পবা

প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : কিশোর-তরুণদের বিপথগামিতা থেকে ফেরাতে প্রকৃতিসম্মত মনোসামাজিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ব্যক্তিজীবন থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন বলে মনে করেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। তাদের মতে, সন্ত্রাসীদের হত্যা করে বা জেলে ঢুকিয়ে এই সমস্যার পুরোপুরি সমাধান সম্ভব নয়। সমস্যার মূল উৎপাটন করতে হলে অপরাধীদের বিচারের সাথে সাথে যে সব মনোসামাজিক কারণে কিশোর-তরুণেরা বিপথগামী হচ্ছে সেগুলো খুঁজে বের করে তার সমাধান করতে হবে। গতকাল শনিবার পবার নিজ কার্যালয়ে বেলা ১১টায় বিপথগামী কিশোর-তরুণ ও মনোসামাজিক পরিবেশ আলোচনা সভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, এডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী, মোখলেছুর রহমান সাগর প্রমুখ। বক্তারা বলেন, আমাদের পারিবারিক, সামাজিক জীবন ক্রমাগত অস্থির হয়ে পড়ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সামাজিক পরিবেশের অবক্ষয় হচ্ছে, আমরা সজ্ঞানে বা না জেনে এই পরিবেশ ধ্বংসকে ত্বরান্বিত করছি। তরুণ-কিশোরদের বিপথগামী হওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ। সব কিশোর-তরুণদের বিপথগামী করে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীতে রূপান্তিত করা হচ্ছে। তারা আত্মঘাতী হামলাকারী হয়ে যাচ্ছে। মগজ ধোলাই দেয়ার সাথে সাথে বোধবুদ্ধি বিলোপকারী ভয়ংকর নেশা তৈরিকারী ঔষধ দিয়ে এইসব কিশোর তরুণদের মানব রোবটে পরিণত করা হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, সভ্যতা ও প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে কিশোর-তরুণদের অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। এছাড়া বাবা, মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের অসদাচারণ, মিথ্যাচার, দুর্নীতিপরায়ণতা, ভারসাম্যহীন ব্যবহার শিশুকে বিপথগামী করে তোলে। প্রতিবেশি ও আত্মীয়স্বজন দ্বারা শিশুরা দারুণ প্রভাবিত হয়। স্কুল-কলেজ হচ্ছে শিশু কিশোরের অনন্য ভুবন। এখানে লেখাপড়ার সাথে সাথে শিশূ কিশোরদের সামাজিকীকরণ হয়। ব্যক্তি জীবন থেকে রাষ্ট্রজীবন পর্যন্ত সদাচারী হতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। সর্বপর্যায়ে শিক্ষা হবে আনন্দময় ও প্রকৃতিসম্মত। শিশুদের জন্য আনন্দের বিনোদনের পর্যাপ্ত আয়োজন রাখতে হবে। খেলার পর্যাপ্ত মাঠ, পার্ক রাখতে হবে। প্রকৃতির বিন্যাসের সাথে সামঞ্জস্য জীবনধারা গড়ে তুলতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন