বাংলাদেশে দিন দিন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সর্বশেষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আমাদের দেশে কয়েক জন মারাও গিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে নারী ও পুরুষ উভয়ই রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একই পরিবারেরও রয়েছেন, যারা সম্প্রতি অন্য থেকে দেশে ফিরেছেন। এছাড়া আরও অনেককে হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে এবং চীনসহ আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাঁচ লাখের বেশী। সম্প্রতিক এই করোনাভাইরাস মানুষের মাঝে আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্কতাও জারি করেছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতার সাথে সাথে বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান এর প্রতিরোধে করণীয নিয়ে মানুষকে সচেতন করে আসছে। বাংলাদেশে আমাদের অনেক সতর্কও সচেতন হতে হবে । কেননা আমরা খুব ঘণ-বসতিভাবে বসবাস করি এবং আমাদের অপর্যাপ্ত সামর্থের মধ্যেই চলতে হয়। তাই এ সময়ে আমরা আতংকিত না হয়ে একটু সচেতন হলে এ মহামারি থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি।
সম্প্রতিক এই ভাইরাসটির কারনে বৈশ্বিক মহামারি আকার ধারন করেছে। তারপরও এটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সংগঠনটি আটটি পরামর্শ দিয়েছে। নিচে পরামর্শগুলো দেয়া হল।
১. করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে। মাস্ক ভাইরাসটিকে প্রতিরোধ করতে পারে। তাই মাস্ক ব্যবহার করুন।
২. করোনাভাইরাসটি ভারি হওয়ায় এটি ড্রপলেটের মাধ্যমে বেশী ছড়ায়, এটি বাতাসে তেমন ছড়ায় না। তবে সতর্ক থাকতে হবে।
৩. কোনো ধাতব তলে বা বস্তুতে করোনা পড়লে প্রায় ১২ ঘণ্টা জীবিত থাকতে পারে। তাই সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুলেই যথেষ্ট হবে।
৪. করোনাভাইরাস কাপড়ে ৯ ঘণ্টা জীবিত থাকতে পারে। তাই কাপড় ধুয়ে রোদে দুই ঘণ্টা রাখলে ভাইরাসটি মারা যাবে।
৫. করোনাভাইরাস হাত বা ত্বকে ১০ মিনিটের মতো জীবিত থাকতে পারে। তাই ৭০% অ্যালকোহল মিশ্রিত জীবাণুনাশক হাতে মেখে নিলে ভাইরাসটি মারা যাবে।
৬. বেশী গরমে করোনাভাইরাস বাঁচে না। ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপমাত্রাই ভাইরাসটিকে মারতে পারে। বেশি বেশি গরম পানি পান করুন। আইসক্রিম থেকে দূরে থাকুন।
৭. লবণ মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে গারগল করলে গলা পরিষ্কার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টনসিলের জীবাণুসহ করোনাভাইরাস দূর হবে। এছাড়া ফুসফুসে সংক্রমিত হবে না।
৮. করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নাকে, মুখে আঙ্গুল বা হাত দেয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। কারণ, মানব শরীরে জীবাণু ঢোকার সদর দরজা হলো নাক-মুখ-চোখ।
ডাঃ জেসমিন আক্তার লীনা
সহকারী অধ্যাপক (চর্মও যৌন রোগ বিভাগ)
স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,
আনোয়ার খাঁন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিরপুর রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা।
সেল- ০১৭২০১২১৯৮২
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন