প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস পুরো বিশ্বকে অসহায় করে তুলেছে। বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ আর বড় বড় বিজ্ঞানীদের নাস্তানাবুদ করে দিচ্ছে। তারপরও করোণা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার কোন ঔষধ এখন পর্যন্ত আবিস্কার করতে পারেনি। সামাজিক বন্ধনকে বিচ্ছিন্ন করে অর্থাৎ সংঘনিরোধ পালনের মাধ্যমে চেষ্টা করা হচ্ছে বিস্তার রোধের। এজন্য পবিত্র মক্কা নগরীতে কারফিউ জারী করা হয়েছে। মসজিদে জামাত অনুৎসাহিত করা হয়েছে। সভা-সমাবেশ সবকিছুই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জরুরী কাজ ছাড়া ঘরে থাকার জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অসহায় বেকার হয়ে পড়া মানুষদের খাওয়ার দেয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। কিন্তু তারপরেও থামছে না করোনাভাইরাসের থাবা। ভাইরাসটির সঠিক উৎপত্তি নিয়েও গবেষনা চলছে।
কিন্তু সকল গবেষকের মহা গবেষক সকল বিজ্ঞানীর মহা বিজ্ঞানী মহান আল্লাহ’ই যে মুসলমানের একমাত্র ভরসা। সাধারন শিক্ষায় বড় না হলেও গ্রামের সহল সরল মানুষদের কাছে পবিত্র কোরআণ যেমন সত্য তেমনি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই সকল কিছুর মালিক এবং তিনিই দিতে পারেন মুক্তি। এই বিশ্বাসকে সামনে রেখে দিনাজপুরের সুইহারী মাঝাডাঙ্গা নামক ্একটি গ্রামের নারী-পুরুষ-কিশোর কিশোরী থেকে শিশু সবাই একযোগে মহান রাব্বুল আল-আমিনের কাছে দু’হাত তুলে পানাহ চেয়েছে। মুক্তি চেয়েছে মহামারি’র মরন থাবা থেকে।
পূরো গ্রামের ১২টি মসজিদের মাইক থেকে একসাথে দোয়া প্রচার করা হয়। এজন্য রওশন পাড়া জামে মসজিদের মাইকের সাথে অন্যান্য মসজিদগুলির মাইকে সংযোগ স্থাপন করা হয়। ধর্মপ্রাণ সকল সকল স্তরের মানুষ নিজ বাড়ীসহ যে যেখানে বসার সুযোগ পেয়েছে সেখানে বসেই দোয়ায় অংশ নিয়েছে। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ জহোবুল ইসলাম।
মসজিদের ইমাম ও মুরুব্বীদের সহযোগিতায় স্থানীয় যুব সমাজ এই দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দোয়া অনুষ্ঠানে সংঘনিরোধ মেনে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা হয়।
বিকেল ৫টায় আছর নামাজের পর দোয়া শুরুর আগে দুপুর থেকে কোরান তেলওয়াত (খতম) এর আয়োজন করা হয়।
ব্যাতিক্রমি এই দোয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আশপাশের এলাকা থেকে অনেকে অংশগ্রহন করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন