করোনাভাইরাসের লকডাউনের কারণে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ জন বিদেশী শিক্ষার্থী আটকা পড়েছে। সকলেই পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালের বাসিন্দা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সেশনে ভর্তি হয়েছে। ছুটি হওয়ার পর নানা জটিলতার কারণে দেশে ফিরতে পারিনি তারা। এদিকে শিক্ষার্থীদের কাছে গচ্ছিত টাকা প্রায় শেষ পর্যায়ে। যার ফলে খুব দ্রæত খাবার ও চিকিৎসা সংকটের পড়ার শঙ্কায় রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, প্রায় দুই মাস আগে নেপালের ১১ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে ভেটেনারি এ্যানিমেল এন্ড বায়োমেডিকেল সাইন্স বিভাগে ৭ জন এবং এগ্রিকালচার বিভাগে ৪ জন শিক্ষার্থী। প্রাথমিকভাবে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অল্প দিনের ছুটি দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা নেপালে না ফিরে নগরীর দেয়ানা ও বয়রার দু’টি হোস্টেলে অবস্থান করেন। কিন্তু এরপরই বর্ডার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আর দেশে না ফিরে বর্তমানে হোস্টেলে আটকা পড়েছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও বিদেশী শিক্ষার্থীদের সকল ধরণের সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি।
নগরীর দেয়ানা মোল্লাপাড়ায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্রবাসে বর্তমানে ৮ জন নেপালী ছেলে এবং নগরীর বয়রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্রীবাসে ৩ জন ছাত্রী রয়েছেন। এরা হলেন আদর্শ কুমার রায় চৌধুরী, নিরাজ বিস্ট, চন্দ্রকলা ইয়োগী (ছাত্রী), অনিল ইয়াদব, ঐশ্বরিয়া দেব (ছাত্রী), কৃষ্ণা কুমার ইয়াদব, অর্জুন কুমার অধিকারী, সন্তোষ শাহ, জীবন ছান্টিয়াল, চন্দ্র রাজ রোকেয়া এবং লাক্সমী ধুঙ্গার (ছাত্রী)।
শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের কাছে যা টাকা ছিল আমরা পরিবারকে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আর দিতে পারছি না। এভাবে আমরা এখানে থাকতে চাই না। নেপালে যেতে যাই। এদিকে ছাত্রবাসে স¤প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন নিযুক্ত ডাক্তার এখনও রেগুলার চেকআপে যাননি বলে তারা জানান। অন্যদিকে নগরীর বয়রায় অবস্থিত ৩ জন ছাত্রীর তেমন সমস্যা নেই। তারা নিজেরা রান্না করে খাচ্ছেন। পর্যাপ্ত টাকা এবং চিকিৎসার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছে বলে তারা জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন