রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

বেনাপোল দিয়ে ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪৩ মেট্রিক টন বেশি পণ্য আমদানি

প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস : দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে গত বারের চেয়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪৩ মেট্রিক টন পণ্য বেশি আমদানি হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয় ৭ লাখ ৪০ হাজার ৮০৩ মেট্রিক টন। আর ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরে আমদানি হয়েছে ১০ লাখ ১৯ হাজার ৪৪৬ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছেন, ২০১৫ সালের দিকে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসজুড়ে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কমে যায়। অত্যন্ত সৎ ও দক্ষ অফিসার হিসেবে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কমিশনার এ এফএম আব্দুল্লাহ খান, অতিরিক্ত কমিশনার ফিরোজ উদ্দিন ও যু‎গ্ম কমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান যোগদানের পরপরই পাল্টে যায় কাস্টম ও বন্দরের দৃশ্যপট, শুরু হয় ব্যাপক কড়াকড়ি। বিগত দিনের তুলনায় আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে শুল্কায়নসহ নানা অনিয়ম বন্ধ হলে আমদানিকারকরা এ বন্দর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয় বলে অভিযোগ ছিল। কিন্তু অন্যান্য বন্দরেও একই ধরনের কড়াকড়ি শুরু হলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুরু হয় পুনরায় আমদানি। ফলে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়।
যে কারণে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের দশ মাসের চেয়ে গেল অর্থ-বছরের ১০ মাসে আমদানি কমপক্ষে ৭৫ হাজার মেট্রিক টন পিছিয়ে ছিল।
বেনাপোল কাস্টমসের উপকমিশনার মারুফুর রহমান জানান, চলতি অর্থ-বছরের জুলাই মাসের আমদানি পণ্যের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ২৯৭ দশমিক ৯৪ মেট্রিক টন, আগস্ট মাসে ৯৮ হাজার ২৫১ দশমিক ৬৭ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বর মাসে ৭১ হাজার ৮৬৯ দশমিক ৯৬ মেট্রিক টন, অক্টোবর মাসে ৭৫ হাজার ৪৩৪ দশমিক ২৩ মেট্রিক টন, নভেম্বর মাসে ৮১ হাজার ৩৮৯ দশমিক ৭০ মেট্রিক টন, ডিসেম্বর মাসে ৯০ হাজার ৬০৬ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন, জানুয়ারি মাসে ৯১ হাজার ৩৬৮ দশমিক ৪৪ মেট্রিক টন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন, মার্চ মাসে ৮৫ হাজার মেট্রিক টন, এপ্রিল মাসে পণ্য আমদানি করা হয়েছে ৮০ হাজার ৭২৮ মেট্রিক টন, মে মাসে ৯৮ হাজার মেট্রিক টন এবং জুন মাসে আমদানি হয়েছে ৯৮ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান জানান, ‘গেল অর্থ-বছরের শুরুতে লাগাতার অবরোধ আর দফায় দফায় হরতালের কারণে বেনাপোল দিয়ে পণ্য আমদানি কমে গিয়েছিল। এ অবস্থা কেটে যাওয়ার পর ব্যবসায়ীরা চাহিদা পণ্য অনুযায়ী আমদানি করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘বন্দরের অব্যবস্থাপনা বন্ধ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দীর্ঘদিনের দাবিকৃত ক্লিয়ারিং হাউস চালু হলে আমদানি-রফতানিতে গতি ফিরে আসবে এই বন্দরে।
একই সঙ্গে সবার আন্তরিকতা থাকলে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের গতিশীলতা যেমন বাড়বে, তেমনি সরকারের রাজস্ব আদায়ও বেড়ে যাবে।’
বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার এএফএম আবদুল্লাহ খান বলেন, ‘রাজনৈতিক সঙ্কট কেটে যাওয়ার পর পণ্যের চাহিদা বাড়ায় ব্যবসায়ীরা আমদানি বাড়িয়েছেন। গত তিন মাস ধরে বেনাপোল হয়ে আমদানি বাড়ছে। বেনাপোলকে আরও গতিশীল করতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা এক হয়ে কাজ করছি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন