করোনা বিশেষায়িত নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে গতকাল শনিবার রাত আটটা থেকে অন্ধকারে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর রাত সাড়ে দশটায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত করোনা ইউনিট অন্ধকারেই নিমজ্জিত ছিল।
বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন ওখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক-নার্স ও রোগীরা। হাসপাতালে বর্তমানে দায়িত্বরত আছেন দুইজন চিকিৎসক ও ৬ জন নার্স। হাসপাতলে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন ৮ জন। এদের মধ্যে ২ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ।
দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকা এবং জেনারেটর না থাকায় চিকিৎসক-নার্সরা খুব দুরবস্থার মধ্যে পড়েছেন। কারণ তাদের প্রত্যেকের পরনেই ব্যক্তিগত সুরক্ষার সরঞ্জাম (পিপিই)।
হাসপাতলে ভর্তি একজন রোগী জানান, চিকিৎসক ও নার্সসহ রোগীরা দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় চরম অস্থিরতার মধ্যে কাটাচ্ছেন। কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান ইনকিলাবকে বলেন, করোনা ইউনিটে সবসময় বিদ্যুৎ থাকার কথা। বিষয়টি স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের বিবেচনা করা উচিত ছিল। আর যদি এভাবে বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করে সেক্ষেত্রে জেনারেটর ব্যবস্থা করা দরকার ছিল।
তিনি বলেন, এভাবে দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসক-নার্সরা পিপিই পড়ে থাকা খুবই কষ্টকর। স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন