কিশোরগঞ্জে শনিবার পর্যন্ত মোট ৭৬ জনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়েছে। এরমধ্যে চিকিৎসকই রয়েছেন ১৯ জন। এছাড়া তিনজন নার্স ও ব্রাদার এবং ৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। অর্থাৎ কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনা শনাক্ত হওয়া ৭৬ জনের মধ্যে ৩১ জনই স্বাস্থ্য সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট।
সর্বশেষ শনিবার কিশোরগঞ্জ জেলায় নতুন করে ২৪ জনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ১৭ জনই স্বাস্থ্যবিভাগের। তাদের মধ্যে রয়েছেন ৮জন চিকিৎসক, একজন নার্স ও ৮জন স্বাস্থ্যকর্মী।
যাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮জন করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী ও স্বাস্থ্যকর্মী। এছাড়া তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চার চিকিৎসক ও এক নার্স, কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের তিন চিকিৎসক এবং ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এর আগে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনজন চিকিৎসক ও একজন ব্রাদার করোনা আক্রান্ত হন। ফলে হাসপাতালটির শনিবার পর্যন্ত তিনজন চিকিৎসক, একজন ব্রাদার ও ৮ জন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট ১২ জন এখন করোনা পজিটিভ।
এর আগে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরো দুই চিকিৎসকের করোনা শনাক্ত হয়।
নতুন করে হাসপাতালটির চারজন চিকিৎসকের করোনা শনাক্ত হওয়ায় হাসপাতালটির মোট ৬ জন চিকিৎসক ও একজন নার্স করোনা আক্রান্ত হলেন।
এর আগে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরো একজন চিকিৎসকের করোনা শনাক্ত হয়। নতুন করে হাসপাতালটির আরো একজন চিকিৎসকের করোনা শনাক্ত হওয়ায় হাসপাতালটির মোট দুইজন চিকিৎসক এখন করোনা পজেটিভ।
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো শনিবার তিনজন চিকিৎসক করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
উপজেলাওয়ারী হিসেবে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৮ জন, হোসেনপুর উপজেলার ২ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১৬ জন, তাড়াইল উপজেলায় ১১ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ৩ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ২ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৭ জন, ভৈরব উপজেলায় ১৫ জন, নিকলী উপজেলায় ১ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ২ জন, ইটনা উপজেলায় ৫ জন, মিঠামইন উপজেলায় ৩ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন