শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ফটিকছড়িতেই প্রথম এমপির উদ্যোগে চিকিৎসক-কর্মকর্তা-পুলিশের জন্য পৃথক আইসোলেশন সেন্টার চালু!

ফটিকছড়ি উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৪৭ পিএম

ফটিকছড়িতেই প্রথম স্থানীয় এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর উদ্যোগে দু’টি আবাসিক হোটেলকে চিকিৎসক; সরকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের জন্য আলাদা আইসোলেশন/কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি চিকিৎসক-নার্সদের জন্য এবং অপরটি সরকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের জন্য। চিকিৎসক-নার্সদের জন্য করা হয়েছে ফটিকছড়ির নাজিরহাট ঝংকার মোড়ের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত ‘মাউন্ট রয়েল হোটেল’ এবং সরকারী কর্মকর্তা-পুলিশের জন্য করা হয়েছে তার পশ্চিমে অবস্থিত ‘হৃদয় আবাসিক হোটেলকে’। ফটিকছড়ির ইউএনও মোঃ সায়েদুল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার (১৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে ফটিকছড়ি সংসদীয় আসনের এমপি ও ত্বরিকত ফেডারেশন চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। তারই প্রভাব আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেও দেখা দিয়েছে। ফলে দেশবাসী আতংকগ্রস্থ অবস্থায় আছে। কিন্তু করোনা ভাইরাস থেকে দেশের মানুষকে যারা রক্ষা করবে সেই চিকিৎসক; সরকারী কর্মকর্তা এবং পুলিশ সদস্যরা আজ অরক্ষিত। তারা করোনা আক্রান্ত হলে পৃথক কোন আইসোলেশন কিংবা কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা নেই। এতে করে চিকিৎসক-নার্স, সরকারী কর্মকর্তা এবং পুলিশ সদস্যরাও আতংকগ্রস্থ অবস্থায় আছে। ইতোমধ্যে ২/৩ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ঢাকাসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তার-নার্স, সরকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের জন্য পৃথক আইসোলেশন কিংবা কোয়ারেন্টিন সেন্টার চালু করতে হোটেল ব্যবহারের কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত কোথাও তেমন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমার জানা মতে- সরকারের পদক্ষেপ থাকলেও বাস্তবায়নের কোন নাম-গন্ধ নেই। তাই চৌদ্দ দলীয় জোটের একজন হিসেবে আমার ও আমার দলের পক্ষ থেকে জাতীয় স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি- জরুরী ভিত্তিতে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় চিকিৎসক; সরকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের জন্য পৃথক জায়গায় আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র চালু করা হোক। আমিও নিজ এলাকায় তাদের জন্য দু’টি আবাসিক হোটেলকে আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে চালু করিয়েছি।
ফটিকছড়ির এমপির মতো দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় পৃথক আইসোলেশন/কোয়ারেন্টিন সেন্টার চালু করা হলে চিকিৎসক-নার্স; সরকারী কর্মকর্তা এবং পুলিশ সদস্যরা উপকৃত হবে। তাদের মধ্য থেকে শংকা কেটে যাবে। তারা করোনা পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত সেবা দিতে নির্ভীক হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন