প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস আতঙ্কের সময় খেলোয়াড়দের ফিটনেস নয়, নিরাপদে থাকার উপরই গুরুত্ব দিচ্ছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। এমনিতেই বাংলাদেশে নারী ফুটবল লিগ নিয়মিত হয়না। এবার তা মাঠে গড়িয়েছে ছয় বছর পর। কিন্তু প্রথম পর্ব শেষ হতে না হতেই করোনার প্রভাবে বন্ধ হয়ে যায় সেই নারী লিগ। খেলা নাই তাই এখন দেশের নারী ফুটবলাররা যে যার ঘরবন্দী থাকলেও এই দুর্যোগের সময় ফিটনেস ধরে রাখাটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এটা নিয়ে ভাবতে নারাজ কোচ ছোটন। তার উপলব্ধি ফিটনেসের চেয়ে এখন নিরাপদে থাকাটাই বেশি জরুরী।
তার কথায়, ‘করোনাভাইরাসের কারণে এখন নিরাপদ থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ। খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ আছে। প্রায়ই কথা হয় তাদের সঙ্গে। আমি তাদের সব সময় বলছি, আগে নিরাপদে থাকো। তারপর ফিটনেস নিয়ে সচেতন হবে। এতে হয়তো কেউ নিজের ঘরে ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে পারবে, কেউ পারবে না।’
খেলা বন্ধ এক মাসের বেশি সময় ধরে। তাতে নারী ফুটবলারদের ফিটনেসে এক ধরনের প্রভাব পড়তেই পারে। এ প্রসঙ্গে ছোটন বলেন, ‘এই সমস্যাটা এখন সারা বিশ্বেরই, বাসায় বসে কী করতে হবে, খেলোয়াড়রা তো জানেই। বিশেষ করে যারা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ক্যাম্পে ছিল। আর চলমান করোনা সমস্যাটা তো সারা বিশ্বেরই। তবে আমি মনে করি, সবার আগে এখন নিজেদের সুরক্ষ রাখতে হবে, তারপর ফিটনেস।’
জাতীয় নারী দলের প্রধান কোচ মনে করেন, এখন সচেতন অবস্থায় নিরাপদে ঘরে থাকলে পরে ফিটনেস নিয়ে কাজ করা যাবে। তিনি আরো বলেন, ‘এই এক মাসে খেলোয়াড়দের ফিটনেস লেভেল অনেক কমে যাওয়ার কথা। যেহেতু খেলা নাই। তাই মাঠের অনুশীলনও নাই। বাড়িতে বসে একা একা অনুশীলন করে ফিটনেস ধরে রাখাটাও কঠিন। আগের মতো তো আর ফিটনেস থাকবে না। তবে খেলোয়াড়েরা যদি নিজেদের নিরাপদে রাখতে পারে, তাহলে করোনাভাইরাস কেটে গেলে নতুন করে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার সুযোগ থাকবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন