ঢাকার হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত এক স্বাস্থ্যকর্মী টাঙ্গাইলের সখিপুরের নিজ বাড়িতে চারদিন অবস্থানের পর ঢাকার হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন। রোববার (১৯ এপ্রিল) ওই স্বাস্থ্যকর্মী ঢাকায় ফিরে তাঁর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন। আজ সোমবার (২০ এপিল) বেলা ৩টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় সখিপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ওই গ্রামের ১০ বাড়ি লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা যায়, করোনা আক্রান্ত ওই স্বাস্থ্যকর্মী রাজধানী ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজেজেস অ্যান্ড ইউরোলোজির হাসপাতালের একজন ওয়ার্ড বয়। কয়েকদিন আগে এ হাসপাতালের দুইজন রোগীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ওই দুটি ওয়ার্ডের সব চিকিৎসক ও রোগীদের সংস্পর্শে আসা স্বাস্থ্যকর্মীদের গত বুধবার নমুনা সংগ্রহ করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত শনিবার (১৮ এপ্রিল) ফলাফলে শুধু ওই স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা ‘পজেটিভ’ পাওয়া যায়। পরে ওইদিনই ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তিকে খোঁজাখুজি শুরু করে। পরে তাঁরা জানতে পারে নমুনা দিয়েই ওই স্বাস্থ্যকর্মী গ্রামের বাড়ি সখিপুরের দাড়িয়াপুর গ্রামে স্বজনদের সাথে দেখা করতে গেছেন। হাসপাতালের ফোন পেয়ে গতকাল রোববার (১৯ এপ্রিল) করোনা আক্রান্ত ওই স্বাস্থ্যকর্মী তাঁর কর্মস্থল ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজেজেস অ্যান্ড ইউরোলোজি হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি হন। দাড়িয়াপুর আবাদী বাজার থেকে আক্তারের সিএনজিতে সে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
ওই রোগীর গ্রামের বাসিন্দা ও দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম শাইফুল ইসলাম শামীম জানান, গত বুধবার ঢাকায় নমুনা দিয়েই সে সখিপুরের নিজ বাড়িতে চলে আসেন। চারদিন বাড়ি থেকে গতকাল রোববার বিকেলে সে তাঁর কর্মস্থল ঢাকার ওই হাসপাতালে চলে যান। যে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই স্টেশনে গিয়ে নেমেছেন সেই অটোরিকশার চালকের বাড়িও লক ডাউন করা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান জানান, সখিপুরে এ পর্যন্ত ৪৭জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ দুপুরে ১২টা পর্যন্ত ৩৯জনের নমুনার ফলাফল আমাদের কাছে এসেছে। এরমধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। তবে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর অজ্ঞতার কারণে সখিপুরে করোভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমির হোসেন বলেন, ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে। সখিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)বলেন,করোনা পজিটিভ ওই ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন,১০বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন