অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সদ্য সমাপ্ত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশের জাতীয় রপ্তানি আয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। গতকাল সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাংলাদেশ (ইপিবি) প্রকাশিত দেশের পণ্য রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পের বিকাশ ও উৎসে কর কর্তনের হার কমানো, বস্ত্রখাতের মূলধনী যন্ত্রপাতির শুল্কমুক্ত আমদানির সুবিধা, টেক্সটাইল খাতের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের কারণে রপ্তানি আয় বাড়ছে। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩১ হাজার ২০৮ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা ৩ দশমিক ৩৯।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৩ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ডলার। জাতীয় রপ্তানি আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ হাজার ২৪১ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার। যা বিগত অর্থবছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৭২ ভাগ বেশি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যে সকল পণ্যের রপ্তানি বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে, তার মধ্যে প্রধান প্রধান পণ্যের আয় ও প্রবৃদ্ধি হচ্ছে যথাক্রমে- নিটওয়্যার পণ্যের রপ্তানি আয় ১৩ হাজার ৩৫৫ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এছাড়া ওভেন গার্মেন্টস ১৪ হাজার ৭৩৮ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ৮১ শতাংশ, প্রকৌশল দ্রব্যাদি ৫১০ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
পেট্রোলিয়াম বাই প্রোডাক্ট ২৯৭ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ২৮২ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ক্যাপ ১৪৮ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ১৩০ দশমিক ৬৯ শতাংশ হয়েছে। এছাড়াও শুকনো খাবার, মসলা, রাবার, চামড়াজাত পণ্য, পেপার এন্ড পেপার প্রোডাক্ট, স্পেশালাইজড টেক্সটাইল, ফার্ণিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, হস্তশিল্প এবং ওষধ সামগ্রী উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রপ্তানি আয় ও প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
একই সময়ে যে সকল পণ্যের রপ্তানি বিগত বছরের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে তার মধ্যে হিমায়িত চিংড়ি ও কাঁকড়া, হিমায়িত মাছ, ক্যাটফ্লাওয়ার ও ফলিয়েজ, প্লাস্টিক প্রোডাক্ট, চামড়া, হোমটেক্সটাইল, বাইসাইকেল, চা এবং টোব্যাকো উল্লেখযোগ্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন