শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দেশের সর্বদক্ষিনে বিচ্ছিন্ন চরে নৌকায় করে ত্রান নিয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ৪:৫৮ পিএম

বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী বাংলাদেশের সর্বদক্ষিনে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর কাশেমে করোনার প্রভাবে অসহায় অর্ধশতাধিক পরিবারের মাঝে খাবার সামগ্রী নিয়ে গেলেন নৌকায় করে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাশফাকুর রহমান । রাঙ্গাবালী উপজেলা সদর থেকে ২ ঘন্টা নৌকা পড়ি দিয়ে ঐ চরে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।খাবার সামগ্রী হিসেবে ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি পিঁয়াজ ও ১ লিটার সোয়াবিন তেল দেয়া হয়।

একমাত্র নৌপথে যোগাযোগ রক্ষাকারী রাঙ্গাবালী উপজেলার বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী চরকাশেম, চরনজীর, চরআন্ডা ও কলাগাছিয়া নামের বিচ্ছিন্ন ৪টি দ্বীপচর রয়েছে। যেখানে সড়ক পথে কোন যোগাযোগ নেই। অনেকের কাছে এই চরগুলোর নাম অজনা। সেখানে যেতে হয় নৌকা অথবা ট্রলারে করে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ওই দ্বীপগগুলোর নি¤œ আয়ের মানুষ প্রায় এক মাস যাবৎ কর্মহীন।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাশফাকুর রহমান জানান, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহীনদের ত্রাণ দেয়ার জন্য রাঙ্গাবালীতে ৯০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ হয়েছে। যা সকল ইউনিয়নে জনসংখ্যা হারে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।বিচ্ছিন্ন এ চর গুলোর অধিকাংশ লোকই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে ,তাদের মাছগুলো রাঙ্গাবালীর মহাজনরা কিনে নেন,তা দিয়েই তাদের সংসার চলে ,কিন্তু করোনার কারনে মহাজনদের ঢাকা সহ দেশের অন্যান্ন প্রান্তে মাছ পাঠানো বন্ধ থাকায় তাদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা পরেছে চরম বিপাকে। কয়েকটি গনমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পরে আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধীদের বিষয়টি জানাই ,তার সেখানে পরবর্তীতে সামান্য পরিমানে ত্রান বিতরন করেছেন বলে আমি ঐ স্থানে গিয়ে জানতে পারি।নিজেই সেখানে খাবার পৌঁছে দিয়েছি, এখন দ্বীপ চরগুলোর মানুষ ভালোই আছেন। আমি চাই কোনভাবেই যেন মানুষ অনাহারে না থাকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন