স্টাফ রিপোর্টার : বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোট ৯১টি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে এনামুল হকের (রাজশাহী-৪) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। এর আগে বিকাল সাড়ে ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় লাইসেন্স বাতিল হওয়া ৯১টি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের নিকট থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৮ কোটি ২১ লাখ ৭ হাজার ৯০০ টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অসাধু রিক্রুটিং এজেন্সি এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের জন্য মহান জাতীয় সংসদে বৈদেশিক কর্মসংস্থা ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ পাস হয়েছে এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি, নিরাপদ অভিবাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন, সকল অভিবাসীকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য সরকার কর্মসংস্থা ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করেছে। এ আইনের আওতায় স্বল্পব্যয়ে বৈধ উপায়ে নিরাপদ অভিবাসন ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় জড়িত হলে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে। আইনের ৪০ ধারা মতে উক্ত আইনটি মোবাইল কোর্ট ২০০৯ এর তফসিলভুক্ত করা হয়েছে এবং ধারা ৩২ ও ৩৫ অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রেটগণ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারেন।
এম আব্দুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১০ সালে হতে ২০১৬ (জুন) পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৯ হাজার ৫৪৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশীর লাশ দেশে ফেরত আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ হাজার ৬১১ জন প্রবাসী কর্মী হওয়ায় তাঁদের প্রতি পরিবারকে লাশ পরিবহন ও দাফন খরচ বাবদ ৩৫ হাজার টাকা করে মোট ৫৩ কোটি ৫৬ লাখ ৩ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন