শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পোশাক শ্রমিকদের তান্ডবে গাজীপুর ও আশুলিয়া রণক্ষেত্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ৫:৩৩ পিএম

পোশাক শ্রমিকদের তান্ডবে গাজীপুর ও ঢাকার আশুলিয়া যেন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বেতনভাতা ও কারখানা খোলার দাবিতে গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল, সমাবেশ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আর আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে এবং বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতির সতর্কতার মধ্যেই আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর পার্শ্ববর্তী দুই এলাকা এমন উত্তাল হয়ে ওঠে।
গাজীপুরে লে-অফ ঘোষণা করা এক পোশাক কারখানা চালু করার নির্ধারিত তারিখ ঘোষণা এবং শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করে। ওই কারখানার উত্তেজিত শ্রমিকরা পার্শ্ববর্তী কয়েকটি কারখানা ভাঙচুর করেছে। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা তিনটি মোটরসাইকেল, আটটি বাইসাইকেল এবং টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ অন্তত আট সদস্য আহত হয়েছেন। শিল্প পুলিশ ২৫ রাউন্ড টিয়ার শেল ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) সুশান্ত সরকার জানান, গত ৩১ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গাজীপুর মহনগরীর ভোগড়া এলাকার স্টাইলিশ গার্মেন্টস কারখানা কর্তৃপক্ষ ১ এপ্রিল থেকে লে-অফ ঘোষণা করে। অথচ কারখানাটি ১ এপ্রিলের পরও কিছুদিন পর্যন্ত উৎপাদন অব্যাহত রেখেছিল। কারখানা কবে নাগাদ খোলা হবে তার ঘোষণা দেয়নি মালিকপক্ষ। কারাখানাটি লে-অফ করার আগে ৩০ জন শ্রমিকের বেতন এবং ৮০ জন স্টাফের ৬০ শতাংশ বেতন বকেয়া ছিল। শ্রমিকরা ওই কারখানা চালু করার নির্ধারিত তারিখ ঘোষণা এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনভাতাসহ পাওনা পরিশোধের দাবিতে রবিবার বিক্ষোভ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে।
তিনি আরও জানান, তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় এবং মালিকপক্ষের সাড়া না পেয়ে শ্রমিকরা সোমবার সকাল ৮টার দিকে কারখানার সামনে এসে জড়ো হতে থাকে। কারখানায় কাজ না থাকায় লে-অফ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এরপরও শ্রমিকেরা কারখানা খোলা ও কিছু শ্রমিকের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগ করে। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
শওকত আকবর ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ৫:৪৫ পিএম says : 0
করোনায় গোটা বিশ্ব থমকে গেছে। এর মধ্যে ও শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে এলো কেন? এ মুহুর্তে কারখানা লে-অফ কেন? আজ ও বেতন ভাতার জন্য মিছিল নিয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে আসতে হবে কেন? কে দেবে জবাব।
Total Reply(0)
Injaj ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ৭:০৭ পিএম says : 0
শ্রমিক রা কি মানুষ না? নাকি তারা শ্রমিক বলে তাদের নিয়ে এতো নাটক
Total Reply(0)
Injaj ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ৭:০৭ পিএম says : 0
শ্রমিক রা কি মানুষ না? নাকি তারা শ্রমিক বলে তাদের নিয়ে এতো নাটক
Total Reply(0)
মো: সাইফুল ইসলাম ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৫০ পিএম says : 0
পোষাক শ্রমিকদের মানুষ ভাবুন
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৪১ পিএম says : 0
আশুলিয়া, সাভার, টঙ্গী বা গাজীপুর এইসব এলাকা সরাসরি ভাবে ঢাকায় অবস্থানরত পোশাক শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়ে থাকে। সেজন্যেই এসব এলাকায় আমরা শ্রমিকদের কার্যকলাপ সরকারের বিরুদ্ধে দেখতে পাই। এর কারন হচ্ছে ঢাকায় যেসব পোষাক শিল্পের শ্রমিক ফেডারেশন রয়েছে তার মধ্যে আমার জানামতে ৪ বা ৫টা ফেডারেশনের সভাপতি আওয়ামী লীগের নেতারা রয়েছেন কিন্তু তাদের ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক থেকে প্রায় সব পদেই আছে ওয়ার্কার্স পার্টির লোকজন। ফলে ঢাকার ১০০% পোষাক শ্রমিক ফেডারেশন বলতে গেলে সরকার বিরোধী তাই এদের নিয়ন্ত্রিত সকল সদস্যই সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। এখানে তাই হয়েছে, একটু সুযোগ পেয়ে এরা সড়কে তান্ডব করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে এটাই প্রমাণিত। এখন সরকার কয়েক বছর আগে এই আশুলিয়ায় সরকার বিরুধী আন্দোলন যেভাবে মেনেন গং দেরকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বন্ধ করেছিল ঠিক একই ভাবে এবারও যদি সরকার সেইসব ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ও নেত্রীদেরকে পুলিশি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে তাহলেই সমস্যা আর বৃদ্ধি পাবেনা এটাই অভিজ্ঞদের অভিমত। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে সময় মত সকল সমস্যার আসোল কারন জেনে সেইমত ব্যাবস্থা নেয়ার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)
Nazmul Islam ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫৯ এএম says : 0
শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করেন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন