শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

গার্মেন্টস ছাড়া অন্য খাতেও কর্পোরেট ট্যাক্স কমবে : বাণিজ্য সচিব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

 এ বছর কর্পোরেট ট্যাক্স কমবে। হয়তো গার্মেন্টসের মতো সমান হবে না, তবে আস্তে আস্তে কমবে। একবার এ সুবিধা দিলে পরে আর কমানো যায় না। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্লাস্টিক টয় ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ১ কোটি লোকের আয়কর দেওয়ার ক্ষমতা আছে, কিন্তু আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছে ২৬ লাখ। কর দিয়েছে আরও কম। যদি সবাই কর না দেয়, তাহলে উন্নয়ন হবে কী দিয়ে? টাকা আসবে কোত্থেকে।
সচিব বলেন, দেশে মার্কেট বিস্তৃত হলেও পণ্য ডাইভারসিটি হচ্ছে না। ৪৫ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভের মধ্যে ৩৮ মিলিয়ন এসেছে পোশাকশিল্প থেকে। আর মাত্র ৭ বিলিয়ন অন্য খাত থেকে। পোশাকশিল্পের মতো এমন আরও কয়েকটি খাত থেকে সমপরিমাণ রিজার্ভ আসলে আমরা আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ হতাম। তিনি বলেন, ২০২৬ সাল পর্যন্ত ৫ বছর আমাদের প্রস্তুতির সময় দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা ইউরোপ থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাই। এই সুবিধা তিনগুণ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ সুবিধা পেলে আমাদের জন্য ভালো হতো। গার্মেন্টস ছাড়া অন্য শিল্পগুলোর দিকেও জোর দিতে হবে। সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ২০২৬ সালের এলডিসি গ্রাজুয়েশন (স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ) আমাদের জন্য গর্বের, একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জেরও। ২০৩১ সালের মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের উন্নত আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার টার্গেট পূরণে প্লাস্টিক শিল্পকে এগিয়ে আসতে হবে।
খেলনা শিল্পের উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা কামনা করে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, খেলনা শিল্পে প্রচুর পরিমাণে মহিলা শ্রমিকের কাজের সুযোগ আছে, তাই এই শিল্প একদিন পোশাকশিল্পের মতো রফতানিতে বড় ভ‚মিকা রাখার সম্ভাবনা আছে।
তৈরি খেলনা আমদানির ক্ষেত্রে ট্যারিফ মূল্য ৭ দশমিক ৫ ডলার অনেক কম, অন্ততপক্ষে ২০ ডলার কেজিতে নির্ধারণ করতে হবে। তাই খেলনা শিল্পের বিকাশের জন্য সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে হবে।
মূল প্রবন্ধের সারসংক্ষেপে বিল্ড-এর সিইও ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোতে আমাদের খেলনা পণ্য খুব বেশি রফতানি হচ্ছে, বিশেষ করে স্পেনে। আমাদের পণ্য শতভাগ রিসাইকেল করা হচ্ছে, যা পরিবেশবান্ধব। আমাদের খেলনা এখন দেশেই বেশিরভাগ তৈরি হলেও মেশিন আনতে হয় বিদেশ থেকে। সেই বিষয়টি ভাবা দরকার।
অনুষ্ঠান আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর দনদন চেন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবসের প্রকল্প পরিচালক মো. মনছুরুল আলম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন