করোনা পরিস্থিতির কারণে খুলনায় নিয়মিত বাজার বসছে না। প্রশাসনের তদারকিতে অস্থায়ী এবং স্থায়ী বাজার চলমান থাকলেও রয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। রমযানেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হয়নি। যার ফলে নিম্নবিত্তদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও নির্ভর হয়ে পড়েছেন ট্রেড কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র পণ্যের ওপর।
নগরীর ২৫টি পয়েন্টে ট্রাকে করে বিক্রি হচ্ছে টিসিবির পণ্য। তবে পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, দাকোপ এবং বটিয়াঘাটা উপজেলায় এখনও টিসিবি’র পণ্য পৌঁছায়নি। ফলে লাখ লাখ মানুষ এখনও নিয়ন্ত্রিত মূল্যে পণ্য কিনতে পারছেন না। এসব ক্ষেত্রে ডিলারদের অনীহা অনেকটা দায়ী বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ডুমুরিয়া উপজেলার ডিলারদের অনীহার রয়েছে, একাধিকবার তাগিদ দেওয়ার পরও ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করতে রাজি হচ্ছে না তারা। পাশাপাশি দাকোপ, বটিয়াঘাটা এবং পাইকগাছা উপজেলায় কোন ডিলার না থাকায় সেখানে পণ্য বিক্রি করা যাচ্ছে না। এর ফলে চারটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষ টিসিবি’র পণ্য কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা যায়, টিসিবি’র উদ্যোগে প্রতি রমযানেই বাজার থেকে কম মূল্যে চিনি, সয়াবিন তেল, মুসুরির ডাল, ছোলা এবং খেজুর বিক্রি করা হয়। কিন্তু এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে রমযানের আগে থেকেই ছোলা এবং খেজুর বাদে অন্য পণ্য বিক্রি করা শুরু হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বিক্রির পয়েন্ট।
টিসিবি আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস প্রধান মোঃ রবিউল মোর্শেদ বলেন, নগরীর ২৫টি পয়েন্টে এবং ৫টি উপজেলায় ১টি করে ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য আমাদের মজুদ আছে। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই পণ্য বিক্রি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিলারদের।
তিনি আরও জানান ডুমুরিয়া উপজেলায় ডিলারদের অনীহার কারণে সেখানে পণ্য বিক্রি করা যাচ্ছে না। দাকোপ, বটিয়াঘাটা এবং পাইকগাছা উপজেলাতে ডিলার সংকটের কারণে ট্রাক যাচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন