ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গার্মেন্টস কারখানা খোলা থাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে শ্রমজীবী মানুষের ঢল নেমেছে। চাকরি বাঁচাতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে শ্রমজীবী এই মানুষরা। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন পাল্টে কর্মস্থলে ছুটছেন তারা।
ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সাধারণ ছুটি চলছে। এতে করে অ্যাম্বুলেন্স ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ জরুরি যানবাহন পারাপারের জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে সীমিত আকারে ৫টি ফেরি সচল রাখা হয়েছে। কিন্তু ফেরি সচল থাকায় বিভিন্ন জরুরি পণ্যবাহী যানবাহনের সাথে কর্মস্থলে ফেরা মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে নদী পারাপার হচ্ছেন। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আরোও বেড়ে যাচ্ছে। গত ২৬ এপ্রিল বিআইডবিøউটিসির দুই কর্মকর্তার শরীরে করোনাভাইরাস সনাক্ত হওয়ায় সংস্থাটিতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুন্নাফ বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া থেকে কোন যাত্রী যাতে কোন নৌযানে পারাপার হতে না পাড়ে আমরা সর্বদা সেই চেষ্টা করছি। কিন্তু হঠাৎ করেই সকালে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ পড়ায় আমাদের লোকবল কম থাকায় যাত্রী পারাপার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরেও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, সরকারি আদেশে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। নৌপথে শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্স ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ জরুরি যানবাহন পারাপারের জন্য সীমিত আকারে ফেরি সচল রাখা হয়েছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার সকাল থেকে মানুষের চাপে আমরা ঠিকমত পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার করতে পারছি না। প্রতিটি ফেরিতেই মানুষের উপচেপড়া ভিড়। এরা সকলেই বিভিন্ন গার্মেন্টস ও অন্যান্য ছোটখাটো কারখানা ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মী। করোনা ঝুঁকি থাকলেও ফেরিতে এদের এভাবে পারাপার ঠেকানো আসলে সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন