করোনা মহামারির কারণে থাইল্যান্ডের রাস্তা এখন জনশূন্য, আন্তর্জাতিক পর্যটকদের হার, দেশটির সুর্বণভূমিক বিমানবন্দরের ব্যস্ততা শূন্যের কোঠায়। থাইল্যান্ডের জিডিপিতে ২০ভাগ অবদান রাখা এই বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। -ডয়েচে ভেলে
জাতীয় নেতাদের এমন সংকটে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া আশা করা হলেও থাই রাজা মাহা বাজিরালঙ্কন করোনা ধরা পড়ার সময় থেকেই নিজের রাজ্য ছেড়ে দূরে আছেন। বিলাসবহুল কোয়ারেন্টাইন জীবন উপভোগ করছেন জার্মানির ব্রাভেরিয়ান আল্পসের হোটেলে। ভাজিরালঙ্কনের উপস্থিতিতে সাধারণের জন্য বন্ধ রয়েছে হোটেলটি।
একাকী কোয়ারেন্টাইন কাটাচ্ছেন না রাজা। মার্চের শেষের দিকে ব্যক্তিগত বোয়িং৭৩৭ এ করে ১০০ সঙ্গী-সাথী নিয়ে জার্মানি সফরে আসেন থাই রাজা। এদের মধ্যে রয়েছেন থাই হেরেমের ২০ নারী।
২০১৯ সালের মে মাসে বাবার স্থলে স্থলাভিষিক্ত হন ভাজিরালঙ্ঘন। তার বাবা থাই জনগণের কাছে অতি পূজনীয় ছিলেন। তবে বাবার পথে হাঁটেন নি বর্তমান রাজা। তার নামে অনেক স্ক্যান্ডাল রয়েছে।
সাংবাদিক ও অধিকার কর্মী অ্যান্ড্রু ম্যাকগ্রেগর মার্সেল বলেছেন, করোনা ভাইরাস মহামারীর সময় রাজার এই আচরণ থাই রাজতন্ত্রের সম্মানের জন্য ব্যাপক হুমকিস্বরুপ। তার ক্লিষ্ট, ধর্ষকামী ও কর্তৃত্ববাদী রাজতন্ত্রের ২১শতকে কোনো স্থান নেই।’
থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রের সমালোচনা করার অধিকার নেই। কেউ রাজা, রাজপরিবার ও রাজতন্ত্রের সমালোচনা করলে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। তবে নতুন প্রজন্ম এই আইন তোয়াক্কা করছে না। এক টুইটার ব্যবহারকারী বলেন, ‘আামাদের এমন রাজার দরকার নেই যিনি কেবল বাবা রাজা ছিলেন বলে রাজা হয়েছেন’। এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমাদের কেনো রাজার প্রয়োজন তাই বুঝতে পারছি না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন