স্টাফ রিপোর্টার : যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে গেলেও বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। বিগত দিনের মতো বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে সফররত যুক্তরাজ্যের ডেলিগেশন প্রধান মেথিউস।
নাইরোবিতে আঙ্কটাড কনফারেন্সে যোগদানরত যুক্তরাজ্যেও ডেলিগেশন প্রধান মেথিউস বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে এ কথা বলেন। গতকাল বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
মেথিউস জানান, বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক পার্টনার। এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য যুক্তরাজ্যের প্রদত্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত থাকবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসার বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদনের পরবর্তী দুই বছর সব বিষয় পূর্বের মতো অব্যাহত থাকবে। এরপরও যুক্তরাজ্য সরকারের নীতির কোনো পরিবর্তন হবার সম্ভাবনা নেই। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার। যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির পরেই যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশ রফতানি করে আসছে। গত বছর বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে রফতানি করেছে ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যেও তৈরি পোশাক। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েই চলছে। সঙ্গত কারণেই যুক্তরাজ্য বাংলাদেশর কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে ‘এভ্রিথিংকস বাট আর্মস’ অর্থাৎ অস্ত্রছাড়া বাংলাদেশ সকল পণ্য যুক্তরাজ্যে রফতানির সুযোগ দিয়েছে এবং ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দিয়েছে। এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য এ সুবিধা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে এখন প্রায় ২০টি কোম্পানির বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে ১০০টি স্থানে স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে। যুক্তরাজ্য এখানে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন