বিশেষ সংবাদদাতা : ত্রুটিপূর্ণ অ্যাকশনে সন্দেহজনক বোলারদের যে তালিকা তৈরি করেছে বিসিবি, সেই ১১ বোলারের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা শুরু হয়েছে গতকাল। গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামের ইনডোরে দুই বাঁ হাতি স্পিনার নাঈম ইসলাম জুনিয়র ও অমিত কুমার নয়নের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা নিয়েছে বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি। শরীরজুড়ে সেন্সর বসানো যায়নি, তবে ৬ প্রান্তে স্থাপিত ৬টি টি২-ডি ক্যামেরার সামনে নিজেদের সহজাত বোলিং করেছেন নাঈম ও নয়ন। দাঁড়িয়ে তা গভীর দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করেছেন জাতীয় দলের সাবেক লেগ স্পিনার ওমর খালেদ রুমী। প্রায় ৩৬টি বল করেছেন তারা দু’জন। ২ সপ্তাহ পর তাদের বোলিং অ্যাকশন সম্পর্কে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
এই দুই বোলারের করা ডেলিভারিগুলো ভিডিওতে ধারণ করে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে দেখে তা পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের কম্পিউটার অ্যানালিস্ট নাসির আহমেদ নাসু। তিনি জানিয়েছেনÑ‘আমরা মূলত ওদের বোলিং অ্যাকশনের ভিডিওগুলো করেছি, ভিডিও ক্যামেরা ব্যবহার করে ছয়দিক থেকে ছয়টি ক্যামেরা দিয়ে ছয় আঙ্গেল থেকে আমরা ওদের বোলিংগুলো ভিডিও করেছি। তারপরে আমরা বিভিন্ন অ্যাসেসমেন্টে যাব।’
নির্দিষ্ট কোনো ডেলিভারি নয়, নয়ন এবং নাইম ইসলাম জুনিয়রকে পরীক্ষাগারে সব ধরনের স্টক ডেলিভারী দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাসুÑ‘ওদেরকে আমরা জিজ্ঞেস করে নিয়েছি ওরা কি কি টাইপের বল করে, তখন এক একটা ওভারে এক এক ধরনের বল করিয়েছি। একটা নির্দিষ্ট রকমের বল না, ওদের যত রকম ভেরিয়েশন আছে, যত রকম স্টক বল আছে সব রকম করানো হয়েছে।’
প্রথম দিনের পরীক্ষা পদ্ধতিতে সন্তুস্ট বোলিং রিভিউ কমিটির সদস্য ওমর খালেদ রুমী বলেনÑ‘আমার কাছে পজিটিভ মনে হয়েছে। খালি চোখে তো বোঝা মুশকিল। ভিডিও যখন দেখব, তখন ছবিগুলো কেমন আসছে, তা দেখতে হবে, হাতের অ্যাঙ্গেল দেখতে হবে, ওদের বিশেষ কোন বলে কোন সমস্যা আছে কিনা,তা দেখতে হবে। তখনই আমরা বলতে পারবো তার কোনো সমস্যা আছে কিনা। এর আগে কিছু বলা যাবে না। তারপর কিভাবে তাদেরকে শুধরানো যায়, সে ব্যাপারে সুপারিশ করব।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন