স্পোর্টস ডেস্ক : আবারো কোচিং ক্যারিয়ারে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন আর্জেন্টাইন গ্রেটেস্ট ডিয়েগো ম্যারাডোনা। এক্ষেত্রে দলটি যদি হয় আর্জেন্টিনা, তাহলে তো সোনায়-সোহাগা। এমনকি বিনা বেতনে হলেও এই দায়িত্ব নিতে তিনি রাজি। ফক্স স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে নিজের এমন ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার।
আর্জেন্টিনার ফুটবলও এখন একজন কোচকে খুঁজছে। শতবর্ষির উপলক্ষে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার বিশেষ আসরের সেই ফাইনালের বেদনা-কাব্যের পর দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়ার মত প্রকাশ করেন। এর কিছুদিন পর জেরার্ডো মার্টিনোও কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। পর পর দুই বছরে অনুষ্ঠিত দুই কোপার ফাইনালে দলকে নিয়ে ব্যর্থ হন আর্জেন্টিনা ফুটবলের এই দুই অগ্রপথিক। অলিম্পিকে দলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য হুলিও ওলার্তিকোয়েচেয়াকে।
মার্টিনো দলের দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকে ডিয়েগো সিমিওনেকে দলের কোচ হিসেবে নিয়োগের কথা ভাবতে থাকে আর্জেন্টিনা। কিন্তু বেতন-ভাতা নিয়ে বনিবনা হচ্ছে না অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচের সাথে। ম্যারাডোনার কথায় তেমনই ইঙ্গিত, ‘আর্থিক কারণে সিমিওনে চাকরিতে আসতে আগ্রহী না। অর্থ আমার কাছে কোন ব্যাপার না। আমি বিনা বেতনেও দলের কোচ হতে পারি।’ ১৯৮৬’র বিশ্বকাপ জয়ী কোচ যোগ করেন, ‘অধিকাংশ মানুষই মনে করে আমি খুবই ব্যয়-বহুল একজন কোচ। কিন্তু মোরিনহো? এছাড়া আনচেলত্তি অথবা সিমিওনে? আমি জানি না তারা কতটা ব্যয়বহুল, শুধু তুলনা দিতে চাইছি।’ আবারো কোচিং ক্যারিয়ারে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে ম্যারাডোনা বলেন, ‘আমি কোচিং পেশাকে খুব খুব মিস করছি। আমি মিস করছি খেলোয়াড়দের সাথে কাজ করা এবং মিস করছি সাংবাদিকদের সাথে বাকযুদ্ধ।’
৫৫ বছর বয়সী এর আগেও ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের ভূমিকায় ছিলেন। ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে সেই ৪-০ গোলের বেদনাদায়ক হারের পর জাতীয় দলে তার কোচিং ক্যারিয়ার শেষ হয়। এরপর দুবাইয়ের ক্লাব আল ওয়াসলের যোগ দেন ২০১১ সালে। পরের বছর সেখান থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর কোচিং পেশা থেকে এখনো বাইরে আছেন ম্যারাডোনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন