বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাহিত্য

মহাশ্মশান : অজরামর মহাকাব্য

প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ড. গুলশান আরা
কায়কোবাদের নামের আগে ‘মহাকবি’ বিশেষণটি সংযোজিত হবার কারণ, তিনি বেশ কয়েকখানা মহাকাব্য রচনা করেছেন। মহাকাব্যগুলো হলো- (১) মহাশ্মশান, ২) শিবমন্দির বা জীবন্ত সমাধি (৩) মহরম শরিফ বা আত্মবিসর্জন কাব্য।
মহাকাব্য সম্বন্ধে কায়কোবাদের নিজের একটা ধারণা ছিল। তিনি মনে করতেন- খ- কবিতা কেবল কতকগুলি চরণের সমষ্টি সামান্য একটি ভাব ব্যতীত তাহার বিশেষ কোন লক্ষ্য নাই, কিন্তু মহাকাব্য তাহা নহে, তাহাতে বিশেষ একটি লক্ষ্য আছে- কেন্দ্র আছে। কবি কোন একটি বিশেষ লক্ষ্য ঠিক রাখিয়া ও ভিন্ন ভিন্ন গঠন-প্রণালী অনুসরণ করিয়া নানা রূপ মাল মসলার যোগে বহুকক্ষ সমন্বিত একটি সুন্দর অট্টালিকা নির্মাণ করেন। ইহার প্রত্যেক কক্ষের সহিত প্রত্যেক কক্ষেরই ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ অথচ সকলগুলিই পৃথক, সেই পৃথকত্বের মধ্যেই আবার একত্ব, ইহাই কবির নূতন সৃষ্টি ও রচনা কৌশল। ‘ইহাই মহাকাব্য।’
কবির এই ধারণার সঙ্গে মহাকাব্যের ক্লাসিক ধারণার কোন বিরোধ নাই। বহুকক্ষ সমন্বিত অট্টালিকার দিক দিয়ে বিচার করলে কায়কোবাদ রচিত কাব্যগুলোর মধ্যে একমাত্র মহাশ্মশানকেই মহাকাব্যের মর্যাদা দেওয়া যেতে পারে। মহাশ্মশান সম্বন্ধে কায়কোবাদও খুবই উচ্চ ধারণা পোষণ করতেন। মহাশ্মশানকে তার শ্রেষ্ঠতম কবিকীর্তি বলে মনে করতেন। এ সম্বন্ধে তার মন্তব্য ‘মহাশ্মশান স্বর্গ’ অশ্রুমালা মর্ত্য। এই দুইখানি কাব্যে স্বর্গমর্ত্যরে প্রভেদ। অশ্রুমালাতে কেবল কবির অশ্রুজল আর মহাশ্মশানে হিন্দু ও মুসলমান সা¤্রাজ্যের অতীত স্মৃতির চিতাভস্ম।
মহাশ্মশান ১৯০৪ খৃস্টাব্দে প্রশাশিত হয় বটে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর রচনাকর্ম শুরু হয় অনেক আগে এবং গ্রন্থের প্রথম কয়েক সর্গ রওশন আলী চৌধুরীর, ‘কোহিনূর’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯১৪ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত কায়কোবাদ অন্য কোন গ্রন্থ রচনায় হাত দেননি, একই মহাশ্মশানের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন সাধন করেছেন। কবি নিজে এ কাব্য রচনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এবং এ কাব্যের বিশিষ্টতা সম্পর্কে বলেছেন, ‘মুসলমানগণ বীরপুরুষ, হিন্দুগণও বীরপুরুষ, এই দুই বীর জাতি হৃয়ের উষ্ণশনিতে আপনাদিগের জাতীয় গৌরব ও ভীষণ বীরত্ব কালের অক্ষর পটে লিখিয়া গিয়াছেন। .... তবে হিন্দুগণ বিজিত ও বিধ্বস্ত মুসলমানগণ জয়দৃপ্ত ও বিজয় গৌরবে সম্মানিত। এক জাতি দেশের জন্য, ধর্মের জন্য হৃদয়ের পবিত্র শোনিতে স্বদেশরঞ্জিত করিয়া আত্মপ্রাণ বলিদান করিয়াছেন, অন্য জাতিও দেশের জন্য,  ধর্মের জন্য, স্বজাতির কল্যাণের জন্য হৃদয়ের পবিত্র শোনিতে স্বদেশ প্লাবিত করিয়া বিজয় গৌরবে সৌরবান্বিত হইয়াছেন।’
কবি ঐতিহাসিকতার দিক থেকে মহাশ্মশানকে মৌলিক মহাকাব্য বলেছেন। মহাশ্মশানের পূর্বে যে সমস্ত মাহাকাব্য বা কাব্য বাংলাভাষায় রচিত হয়েছে সেগুলির কোনও কোনটা ইতিহাসকে অবলম্বন করে। কিন্তু কোনটাই প্রকৃত প্রস্তাবে ঐতিহাসিক মহকাব্য নয়। রঙ্গলালের ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ একটি ঐতিহাসিক কিংবদন্তীকে অবলম্বন করে রচিত কাহিনীকাব্য, ১৮৭০  খৃস্টাব্দে প্রকাশিত নবীন সেনের ‘পলাশীর যুদ্ধ’ জাতীয় আবেগমূলক ঐতিহাসিক কাহিনীকাব্য। একমাত্র ১৯১৫ খৃস্টাব্দে প্রকাশিত  যোগীন্দ্রনাথ বসুর ‘পৃথ্বিরাজ’ ও ১৯১৮ খৃস্টাব্দে প্রকাশিত ‘শিবাজী’ ঐতিহাসিক মহাকাব্য। কিন্তু এ দুটি কাব্যই মহাশ্মশানের পরবর্তী। অধিকন্তু যোগীন্দ্রনাথ বসুর সঙ্গে কায়কোবাদের পার্থক্য হচ্ছে এই যে, কোয়কোবাদ যেখানে ইতিহাসকে অবিকৃত রাখার পক্ষপাতী, যোগীন্দ্রনাথ বসু সেখানে  প্রয়োজন অনুরূপ মনোকল্পিত ঘটনা চরিত্র প্রবর্তন করেছেন। পূর্বাপার সম্বন্ধে যাহা সঙ্গত ও কাব্যোপযোগী বোধ হয়েছে সেরূপ সন্নিবেশিত করেছেন।
কায়কোবাদ নিজেই বলেছেন, ‘আমার এই মহাশ্মশান কাব্য কোন গ্রন্থের অনুকরণ কাহারও চর্বিত চর্বন নহে। ইহা আমার নিজস্ব নূতন জিনিস।’ কায়কোবাদের মহাশ্মশান কাব্য পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের ঘটনা নিয়ে লিখিত। ৮৭০ পৃষ্ঠার এই বিপুলায়তন কাব্যগ্রন্থে কবি হিন্দু-মুসলমান উভয় জাতির একটি চরম সংকটকে গ্রন্থের কেন্দ্রীভূত আবেগ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তবে ইতিহাসই এর একমাত্র প্রতিপাদ্য বিষয় নয়। ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে বিচিত্র প্রণয় ব্যাখ্যা দানা বেঁধে উঠেছে। এই দীর্ঘ পরিসরের গ্রন্থে ইতিহাসই একমাত্র আবেগ হলেই কাহিনী পীড়াদায়ক হত। কিন্তু বৈচিত্র্য আছে বলেই একই ছন্দে বর্ণিত হওয়া সত্ত্বেও কাব্যটি পীড়াদায়ক বলে মনে হয় না। আর একটি বিশিষ্টতা কায়কোবাদের এই এবং যে দিক থেকে কায়কোবাদ রঙ্গলাল, হেমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র এদের প্রত্যেকের অনেক ঊর্ধ্বে তা হচ্ছে কবির পরিপূর্ণ অসাম্প্রদায়িকতা। যে আবেগে তিনি মুসলমানের মনোবেদনা বর্ণনা করেছেন, অনুরূপ আবেগে এবং অনেক ক্ষেত্রে অধিকতর আবেগে হিন্দুদের মনোবেদনা বর্ণনা করেছেন। তিনি তার কাব্যের ভূমিকায় এক স্থানে বলেছেন যে, হিন্দু-মুসলমান উভয়েই একটি চরম  আত্মঘাতী সংগ্রামে লিপ্ত এবং উভয়েই বীর এবং ধর্মপ্রাণ। হিন্দুকে দুর্বল করে অংকিত করলে শক্তিমান মুসলমানের কোন গৌরবের কারণ হত না, কেননা শৃগালের সঙ্গে যুদ্ধে সিংহের কোন গৌরব নেই। তাই উভয়কে সমশক্তিমান বলে অংকন করতে হবে। হিন্দুও বীর মুসলমানও বীর। মহাশ্মশানে এই উভয় জাতিরই বীরত্বের প্রশংসা আছে।
এ ব্যাপারে কবির নিজস্ব বক্তব্যÑ ‘আমি বহুদিন যাবৎ মনে মনে এই আশাটি পোষণ করিতে ছিলাম যে ভারতীয় মুসলমানদের শৌর্যবীর্য সংবলিত এমন একটি যুদ্ধকাব্য লিখিয়া যাইব, যাহা পাঠ করিয়া বঙ্গীয় মুসলমানগণ স্পর্ধা করিয়া বলিতে পারে যে এক সময়ে ভারতীয় মুসলমানগণও অদ্বিতীয় মহাবীর ছিলেন। শৌর্যেবীর্যে ও গৌরবে কোন অংশেই তাহারা অন্য কোন জাতি অপেক্ষা হীন বীর্য বা নিকৃষ্ট ছিলেন না; তাই তাঁহাদের অতীত গৌরবের নিদর্শন স্বরূপ যেখানে যে কীর্তিটুকু, যেখানে যে স্মৃতিটুকু পাইয়াছি তাহাই কবি তুলিকায় অংকিত করিয়া পাঠকের চক্ষের সম্মুখে উপস্থিত করিয়াছি এবং তাহাদের সেই অতীত গৌরবের ক্ষীণ স্মৃতিটুকু জাগাইয়া দিতে বহু চেষ্টা করিয়াছি। আমার সেই আশা পূর্ণ হইয়াছে।’
যে সময়ে কায়কোবাদ মনের এই আশা ব্যক্ত করেছেন সে সময়ে ধরেই নেয়া হয়েছিল মুসলমান বাংলা লিখতে বা পড়তে জানে না। মহাকাব্য লেখাতো দূরের কথা। মুসলমান যে বাংলা ভাষায় সাহিত্য সৃষ্টি করতে পারে এ তাদের বিশ্বাসের বাইরে ছিল। ১৮৯৬ খৃস্টাব্দে একটি পত্রে নবীনচন্দ্র সেন, অশ্রুমালা সম্পর্কে এই মন্তব্য প্রকাশ করেন, ‘মুসলমান যে বাঙালা ভাষায় এমন সুন্দর কবিতা লিখিতে পারেন, আমি আপনার উপহার না পাইলে বিশ্বাস করিতাম না।’
হয়ত সে কারণেই মহাশ্মাশনের মত মহাকাব্যও বিরূপ সমালোচনার চাপে পড়ে। সমালোচকরা এই সিদ্ধান্তে উপনিত হন যেÑ মুসলিম অতীত গৌরবের ‘যেখানে যে স্মৃতিটুকু, কীর্তিটুকু তিনি পেয়েছেন সবই এক কাব্যে স্থান দিতে গিয়ে কাব্যটি আকারে যেমন অনাবশ্যক বেড়ে গেছে- তেমনি হয়ে পড়েছে শিথিল-বন্ধন ও খাপছাড়া। মহাকাব্যের জন্য ভাবগত ঐক্য অপরিহার্য-মহাশ্মাশনে সে ঐক্য বজায় থাকেনি। মহাকাব্যে একজন বিশিষ্ট পুরুষ তথা এক সার্বভৌম চরিত্রকে কেন্দ্র করেই বর্ণীত ঘটনাবলী-আবর্তিত হতে থাকে- অথচ  মহাশ্মাশনে তেমন কোন চরিত্র দাঁড় করাতে পারেননি কবি। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মুসলিম পক্ষে নিঃসন্দেহে আহমদ শাহ আবদালী-প্রধান ব্যক্তিত্ব বা নায়ক ছিলেন কিন্তু কায়কোবাদের কাব্যে নজিবদ্দৌলার তুলনায় তিনি অনেকখানি নিষ্প্রভ। কিন্তু  নজিবদ্দৌলাকেও নায়ক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়নি।
এটি যুদ্ধকাব্য হলেও কবি এতে একাধিক প্রণয় কাহিনী যেমন জোহরা-ইব্রাহিম, অমর-হিরণবালা, রতœজী-লবঙ্গলতার সমাবেশ ঘটিয়েছেন কিন্তু কোনটাই সফল পরিণতিতে পৌঁছেনি। সকলের জীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। ফলে পানিপথের ঘটনাচক্রে যারাই জড়িয়ে পড়েছিল- আর ব্যক্তি হিসাবে তাদের জীবনও পরিণত হয়েছে মহাশ্মাশনে।
মহাকাব্যে জীবনের অপূর্ব বেদনাও অসীম আনন্দের উৎসারণ থাকা চাই- আঙ্গিকের চেয়েও অন্তর্নিহিত এই গুণটিই মহাকাব্যের প্রধান লক্ষণ। মহাশ্মশানে এ লক্ষণ অনেকটাই অনুপস্থিত। মহাকাব্যের ভাষা আরো গুরুগম্ভীর ও গতিশীল হওয়া প্রয়োজন- যে অনুপাতে মহাশ্মশানের ভাষা সহজ-সরল ও গীতি কবিতানুসারী। ভাষার ব্যাপারে কায়কোবাদের নিজের মতামতÑ ‘আজকাল অনেকেই কবিতা লিখিতে বসিয়া অভিধান খুঁজিয়া মোটামোটা শব্দ ব্যবহার করিয়া থাকেন; আমি উহার একান্ত বিরোধী। যাহারা সহজ-সরল ও কোমল  শব্দের দ্বারা অতি প্রাঞ্জল ভাষায় কবিতায় গাঢ় ভাব অঙ্কিত করিতে অসমর্থন, তাহাদের কবিতা লিখা বিড়ম্বনা মাত্র।’
বিরূপ সমালোচনার বিরুদ্ধে কায়কোবাদের সাফ সাফ জবাব- আমার এই কাব্যখানা পাঠ করিয়া কেহ আমাকে ভালই বলুন, আর মন্দই বলুন, সে জন্য আমি দুঃখিত নহি। কাহারও নিন্দা বা প্রশংসায় আমার হৃদয়ে কোনরূপ ভাবান্তর উপস্থিত হইবে না। আমি অচল হৃদয়ে সকলি সহ্য করিতে প্রস্তুত আছি।’
কায়কোবাদ মূলত গীতিকবি হলেও মহাকাব্য রচনায় হাত দিয়ে ছিলেন জাতীয় কর্তব্য সাধনের তাগিদেই। জাতীয় মন-মানস আর অভিপ্সার পরিচয় দেওয়াও সাহিত্যের এক মহৎ উদ্দেশ্য। সে উদ্দেশ্য মহাশ্মশানে আংশিক হলেও সার্থক হয়েছে। হতাশাগ্রস্ত, অর্ধচেতন মুসলিম সমাজে এই গ্রন্থ যে যুগে যথেষ্ট আলোড়ন সৃষ্টি করে ছিল, সহায়তা করেছিল সমাজকে আত্মসচেতন হতে, জাগিয়ে তুলেছিল আত্ম প্রত্যয়ে। আধুনিক মুসলিম বাংলা সাহিত্যের সে আদি যুগে আকারে প্রকারে এমন একটা মহাকাব্য রচনার পরিকল্পনা আর উদ্যমও কম প্রশংসনী নয়। কায়কোবাদের এ কৃতিত্বও স্মরণীয়। তাই বলা যায় জাতির আত্মসন্ধান ও আত্ম জিজ্ঞাসার পথে মহাশ্মশান একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। শত দোষত্রুটি সত্ত্বেও মহাশ্মশান শুধু কায়কোবাদের যে শ্রেষ্ঠ কবি কর্ম তা নয়, বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ কীর্তিস্তম্ভ। মহাশ্মশানকে বাদ দিয়ে বাংলা সাহিত্যের কোন ইতিহাস বা আলোচনাই সম্পূর্ণ হতে পারে না।
মানবসৃষ্ট কোন কিছুই ত্রুটিমুক্ত নয়- পৃথিবীর এমন সাহিত্য কর্ম খুঁজে পাওয়া ভার যাতে কোন ত্রুটি নেই। শুধু দোষ সন্ধান তো সমালোচনার উদ্দেশ্য হতে পারে না গুণ-গ্রাহীতাও তার কাজ। কবি নিজেও সমালোচকদের এ কথাটি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সংস্কৃত শ্লোক :
“সজ্জনা গুণমিচ্ছন্তি দোষমিচ্ছন্তি পামরা :
মক্ষিকা ব্রণমিচ্ছন্তি মধূমিচ্ছন্তি ষট্্পদা :।”-এর বাংলা অনুবাদ করেÑ সজ্জন গুণ খোঁজে, দোষ খোঁজে পামর,
মক্ষিকা ব্রণ খোঁজে, মধু খোঁজে ভ্রমর।’
কায়কোবাদের আরেকটি কৃতিত্ব মহাশ্মশানের উৎসর্গ পত্র। একটি চমৎকার-হৃদয়গ্রাহী সুখপাঠ্য উৎর্সগপত্র বলতে যা বোঝায় তা হলো মহাশ্মশানের উৎসর্গপত্র। দু‘এক শব্দ নয়, দু’একটি বাক্যও নয়।-পুরো আড়াই পৃষ্ঠাব্যাপী এর বিস্তৃতি। পাঠকদের কাছে অনুরোধ রাখছি উৎসর্গপত্রটি পড়ে দেখার তাহলেই বোঝা যাবে কত বড় মাপের, কত মহৎ মনের মহাকবি ছিলেন কায়কোবাদ।
১৮৫৮ খৃস্টাব্দে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার অন্তর্গত আগলাগ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শাহামত উল্লা আল্্ কোরেশী এবং মাতার নাম- জোমরত উন্নেসা ওরফে জরিফন্নেসা খাতুন। কায়কোবাদ  হিসেবে পরিচিত হলেও তার পুরো নাম মোহাম্মদ কাজেম আল্্ কোরেশী।
মহাশ্মশানের নতুন সংস্করণের ভূমিকায় মুহম্মদ আব্দুল হাই লিখেছেন- ‘মহাশ্মশান তদানীন্তন ভারতের মহারাষ্ট্র ও মুসলিম শক্তির ট্র্যাজেডির কাহিনী। এত বড় সত্য প্রকাশের মানসিকতা এবং সে মানসিকতা প্রকাশে অনন্ত শ্রম ও ত্যাগের দুর্লভ আদর্শবাদ কায়কোবাদকে বাংলা কাব্য সাহিত্যের ইতিহাসে অমর করে রাখবে।  
মহাকবি কায়কোবাদ ১৯৫১ সালের ২১ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজে মৃত্যুবরণ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন