মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার সামনে সন্তানাদি নিয়ে এক মহিলাকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখা যায়। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বিষয়টি মেনে নিতে পারেন না অনেকেই। স্থানীয় সৈয়দ আবুজাফর সালাউদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ছবি ও ভিডিও আপলোড করেন। ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে।
ফেইসবুকের মাধ্যমে এ ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান মহিলা ও তার সন্তানদের থানায় নিয়ে স্থান দেন। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে শাপলাবাগ কলোনিতে পৌঁছে দিয়ে আসেন।
ওই মহিলা জানান, ৭০০ টাকা বাসা ভাড়া। আড়াই মাসের বকেয়া ছিলো। বাসার মালিক ভাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে কষ্ট করে ১ মাসের ভাড়া পরিশোধ করেন। দেড় মাসের ভাড়া বকেয়া আছে। এই দেড় মাসের বাসা ভাড়ার জন্য শহরের শাপলাবাগ এলাকায় রুবেল মিয়ার ভারাটিয়া মহিলাকে নানান কথাবার্তা বলছিলো শেষ পর্যন্ত তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়।
কলোনির মালিক রুবেল মিয়ার বলেন, এই মহিলা এপ্রিল মাসের ২০ তারিখ তার কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করে থাকার জন্য একটি রুম চায়। পরে তার কলোনির একটি রুম ভাড়া দেয় যার ভাড়া তিনি ১ হাজার টাকা নিতেন। মহিলা কান্নাকাটি করলে এতো টাকা বর্তমানে ভাড়া দিতে পারবে না, করোনাভাইরাস শেষ হলে পুরো ভাড়া দিবো। পরে ৭০০ টাকা ভাড়া নেয়। বর্তমানে ওই মহিলার বকেয়া কোন ভাড়া নেই।
তিনি আরও বলেন, এই মহিলা গত কয়েকদিন আগে আরও একটি বিয়ে করেছে, বিয়ের কয়েক দিন পর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়, তা জি.আর.পি থানা পুলিশ সমাধান করে দেয়। কিছুদিন পর থেকেই এই মহিলাকে রুবেল মিয়া খুঁজে পাচ্ছেন না। তার ধারনা ছিলো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা শেষ হওয়ার পর হয়তো বা অন্য কোথাও গিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন