করোনা ভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আটকেপড়া ২৪২ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের ভাড়া করা বিশেষ বিমান ওয়াশিংটন ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৫ মে শুক্রবার রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিদায় জানান। এ সময় দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অত্যাধুনিক A-350-900 এয়ারবাস ওয়াশিংটন সময় রাত ১১:০৪টায় যাত্রা শুরু করে। ১৬ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় বিমানটি দোহা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবে। ১ ঘন্টা টেকনিক্যাল যাত্রা বিরতির পর বিমানটি দোহা স্থানীয় সময় রাত ৮টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। যাত্রা বিরতির সময় সকল যাত্রী বিমানের অভ্যন্তরে স্ব-স্ব আসনে অবস্থান করবেন। ১৭ মে রবিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় বিমানটি ঢাকার হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রী, ট্যুরিস্ট ও বিজনেস ভিসায় আগত বাংলাদেশের নাগরিক এবং সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়া যাত্রীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এডুকেশন ও কালচারাল কর্মসূচির অধিনে বাংলাদেশ থেকে আগত ৪৯ জন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
যুক্তরাষ্ট্রের এডুকেশন এবং কালচারাল এ্যাফেয়ার্স ব্যুরো’র এসিসটেন্ট সেক্রেটারী মিজ্ ম্যারি রয়সে বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন। আলোচনাকালে মিজ রয়সে যুক্তরাষ্ট্রে এডুকেশন ও কালচারাল কর্মসূচির অধিনে বাংলাদেশ থেকে আগত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দেশে প্রত্যাবর্তনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রদূতকে প্রসংশা করেন। মিজ রয়সে আশা প্রকাশ করেন ৪৯ জন ছাত্র-ছাত্রী তাদের নিজ নিজ আবাসস্থলে নিরাপদে শীঘই পৌঁছাবে।
বাংলাদেশ সরকার আটকে পরা বাংলাদেশের নাগরিকদের দেশের প্রত্যাবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ৪ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাতার এয়ার লাইন্সের বিশেষ বিমানটি ভাড়া করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অরিক্স এভিয়েশন লিঃ বিমান ভাড়া এবং টিকিট প্রদানের কার্য সম্পাদন করে।
এর পূর্বে ৩০ মার্চ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলেস বাংলাদেশ কনস্যুলেট তাদের ওয়েবসাইটে নিজ খরচে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশীদের তথ্য পাঠানোর অনুরোধ করেন।
পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক যাত্রী কোভিড-১৯ উপসর্গবিহীন মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদর্শনপূর্বক বিমানে আরোহন করেন। ঢাকায় অবতরণের পর প্রত্যেক যাত্রী হেলথ্ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে জমা দিবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন