ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর বাজারে দাম বেড়েছে সব ধরনের সবজির। তবে গাজর ও পোল্ট্রি মুরগির দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক। এক লাফে গাজরের কেজি ওঠে যায় ১০০ টাকা ও পোল্ট্রি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৮০-১৯০ টাকায়। অন্যান্য সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৮-১৫ টাকা। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, আগে দাম ছিল ৪০-৫০ টাকা। একদিনে গাজরের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। গাজরের সঙ্গে শসা, পটল, ঝিঙে, পাকা টমেটো, বরবটি, করলাসহ সব ধরনের সবজির দাম একদিনের মধ্যে বেড়ে গেছে। ১৫-২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসার দাম বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা। পাকা টমেটোর দাম ৪০-৬০ টাকা। পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। বরবটির কেজি ৬০ টাকা। ঝিঙার কেজি ৫০-৬০ টাকা। চিচিংগার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। কচুর লতির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। বেগুনের কেজি ৬০-৮০ টাকা।
কয়েকদিন ধরে বাড়তে থাকা পোল্ট্রি মুরগির দাম আরও বেড়েছে। পোল্ট্রি মুরগির এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে অনেক ক্রেতা পরিমাণে কম কিনছেন। পোল্ট্রি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা। পোল্ট্রি মুরগির দাম বাড়ার সাথে সাথে লাল লেয়ার ও পাকিস্তানি কক মুরগির দামও কিছুটা বেড়েছে। লাল লেয়ার মুরগি ২২০-২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখন লাল লেয়ার মুরগি বেশি বিক্রি হচ্ছে। গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দামে।
তবে স্থির রয়েছে মাছের দাম। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-৫০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ১১০-১৬০ টাকা, পাঙাশ ১৩০-১৭০ টাকা কেজি, শিং ৩০০-৪৫০ টাকা, শোল ৪০০-৭৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫৫০ টাকা, বোয়াল ৫৫০-৭৫০ টাকা, টেংরা ৪৫০-৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সয়াবিন তেল ৯০-৯৫ টাকা, ভালো মানের পাম অয়েল ৭৫-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বড় দানার মশুরের ডাল ৮০-৯০ টাকা, ছোট দানার মশুরের ডাল ১২০-১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন ৯০-১০০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন ১২০-১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে চাষিরা ঠিক মতো সবজি তুলতে পারছেন না। এছাড়া দুইদিন পরেই ঈদ। এ কারণে আড়তে ঠিক মতো সবজির গাড়ি আসেনি। ফলে বাজারে সবজির সরবরাহ কম। তাই একদিনেই আড়তে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকার ওপরে বেড়েছে। ঈদের পর সবজির সরবরাহ বাড়বে, তখন আবার দাম কিছুটা কমতে পারে।
ক্রেতারা বলছেন, তুলনামূলক সবজির দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। গরু ও খাসির গোশত আগে থেকেই অনেক বেশি। মুরগির দামও এখন মনে হয় নাগালের বাইরে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন