চাঁদপুরে আরো ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২জন পুলিশ সদস্য ও ২জন ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি রয়েছেন। উপজেলা ভিত্তিক নতুন আক্রান্তের সংখ্যা হলো- চাঁদপুর সদরে ৪জন (সবাই শহরের), কচুয়ায় ১জন, ফরিদগঞ্জে ১জন ও হাজীগঞ্জে ১জন।
এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮জন। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ১১জন। সুস্থ হয়েছেন ২১জন। চাঁদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে শনিবার দুপুরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন জানান, শনিবার শনাক্তকৃত ৪জনের মধ্যে রয়েছেন চাঁদপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত ১জন পুলিশ সদস্য (২২), ব্যাংক কলোনীতে মেসে বসবাসকারী একটি ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি ১জন প্রতিনিধি (৪৬), পুরাণবাজার ঘোষপাড়া এলাকার এক যুবক (৩১), গণি স্কুলের পেছনের একজন যুবক (৪০)।
ডা. পলিন আরো জানান, সারা জেলার ১১৮জন করোনা রোগীর মধ্যে ৬৬জন’ই চাঁদপুর সদর উপজেলার। শুধুমাত্র চাঁদপুর পৌর এলাকার রোগী সংখ্যা ৬০জন। যা সারা জেলার মোট রোগীর অর্ধেকেরও বেশি। সদর উপজেলায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪জন।
সিভিল সার্জন অফিসে সূত্র আরো জানায়, শুক্রবার জেলার মোট ৪৭জনের নমুনা টেস্টের রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ৭জন পজেটিভ। আর বাকী ৪০জনের রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ। চাঁদপুরে জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ১১৮জনের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ৬৬, ফরিদগঞ্জে ১৫, মতলব উত্তরে ৬, হাজীগঞ্জে ৭, মতলব দক্ষিণ ৬, কচুয়ায় ৮, শাহরাস্তিতে ৮ ও হাইমচরে ২জন।
এদিকে কচুয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি কচুয়া থানায় কর্মরত একজন এসআই। অন্যদিকে ফরিদগঞ্জে আক্রান্ত ব্যক্তি একটি ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি (২৯)। তার বাড়ি অন্য জেলায় হলেও কর্মসূত্রে তিনি ফরিদগঞ্জে থাকেন। এছাড়া হাজীগঞ্জে আক্রান্ত ব্যক্তির তথ্য এখনো উপজেলায় পৌঁছায়নি বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন