বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার থেকে : ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশ অনূর্ধŸ-১৯ দলকে দেখে নেয়ার সে কি হুংকার নামিবিয়া কোচের! রাঙ্গিরি মানিয়ান্ডে নামের জিম্বাবুইয়ান বংশোদ্ভ‚ত এই কোচ ম্যাচের আগে বাংলাদেশকে ফেভারিট মানতে পর্যন্ত রাজি ছিলেন না। বরং ২ রাউন্ড শেষে রান রেটে বাংলাদেশের উপরে ছিলেন তারা, তাতে আপসেটের স্বপ্ন দেখেছেন তিনি। তার এই জারি-জুরির জবাবটা ভালোই দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধŸ-১৯ দল। মাত্র ৬৫ রানে অল আউট করে, ২০৪ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জিতে নামিবিয়া কোচের হুংকারের জবাব দিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। পরিস্থিতির মুখে তাই সুর পাল্টে ফেলেছেন নামিবিয়া অনূর্ধŸ-১৯ দলের কোচÑ ‘সত্যি বলতে কি, আমরা সহযোগী সদস্য দেশ, এই প্রথম উপমহাদেশে খেলতে এসেছি। শুধু খেলোয়াড়রাই নয়, আমাদের কোচিং স্টাফও অনভিজ্ঞ। তারা স্বাগতিক এবং তারা জিতেছে। তারা দারুণ খেলে ম্যাচটি জিতেছে, সন্দেহ নেই। আমরাও এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।’
বাংলাদেশের স্পিনে ঘায়েল হয়েছে নামিবিয়া। বাংলাদেশের স্পিনকে নামিবিয়া কোচ তার দেখা সেরা বোলিং অ্যাটাক বলে সার্টিফিকেট দিয়েছেনÑ ‘আজ (গতকাল) বাংলাদেশের স্পিনাররা দারুণ বল করেছে। বাংলাদেশ স্পিনে এতটা ভালো, তা কখনো ভাবিনি। এর আগে কখনো এত ভালো স্পিন আক্রমণের বিপক্ষে খেলিনি। এটাই আমার দেখা সেরা বোলিং আক্রমণ। পরবর্তী ম্যাচে স্পিন বোলিং মোকাবিলায় উন্নতি করতে হবে।’ তবে বাংলাদেশের স্পিনের প্রশংসা করলেও পরিবর্তিত চেহারার উইকেট নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন এই কোচÑ ‘আমরা সীম বোলিংয়ে কতটা ভালো, আজ বাংলাদেশ তা জেনেছে। এখানে আমরা ২ সপ্তাহ ধরে আছি, এই ভেন্যুতে আগেও খেলেছি। তবে এই প্রথম ঘাসহীন পিচ দেখলাম।’
লো স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নামিবিয়া বোলারদের লড়াইয়ে সন্তুষ্ট মানিয়ান্ডেÑ ‘এই ম্যাচে বাংলাদেশ সবসময়ই আমাদের উপরে ছিল। একটি পর্বেও আমরা একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারিনি। যদি আমরা ১৪০ থেকে ১৮০ স্কোর করতে পারতাম, তাহলে বাংলাদেশের উপর চাপ সৃষ্টি করা যেত। তারপরও কিন্তু ৬৫ স্কোর পুঁজি নিয়ে দারুণ বল করেছি, নিয়েছি ২ উইকেট। আরো দু’তিনটি সুযোগ ছিল। এছাড়া নো ম্যান্স ল্যান্ডে পড়েছে যে ক্যাচগুলো, তা নিতে পারলে এই লো স্কোর নিয়েই বাংলাদেশকে চাপে ফেলা যেত।’
অনূর্ধŸ-১৯ ক্রিকেটে এই প্রথম নামিবিয়া শেষ ৮ এর নাগাল পেয়েছে। তবে এখানেই থামতে চান না নামিবিয়া কোচ। কাপ পর্বে লক্ষ্য তার অপসেটÑ ‘দারুণ খেলে আমরা পরবর্তী রাউন্ডে উন্নীত হয়েছি। তবে বিশ্বকে দেখাতে এটাই আমাদের শেষ নয়। আমরা আরো ভালো করতে চাই। এখান থেকে আমাদেরকে আরো দুই তিন ম্যাচ খেলতে হবে এবং সম্ভব হলে ম্যাচগুলো জিততে হবে। এখনো আমরা কাউকে না কাউকে বিস্মিত করতে চাই। সে সামর্থ্য রাখি আমরা।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন